কোন রকম দোষ না করেও
আমি যখন অপরাধী,
দরজা-জানলা বন্ধ করে
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদি।
ভীষণ রকম লজ্জার ব্যাপার
কারও দৃষ্টিগোচর হলে,
জোরেশোরে যায় না কাঁদা
গা-গতরে বড় বলে।
ফ্যানের দিকে চেয়ে চেয়ে
ঝোলার কথা ভাবতে থাকি,
হু হু করে ওঠে বুকটা-
কারও চোখে পড়ে তা কি?
পড়বে না কারও চোখে,
ঢেকে রাখি আপনাকে;
মাঝেমাঝে চোখে পড়লেও
দুনিয়ায় কে কার খোঁজ রাখে?
বিষের শিশি হাতে নিয়ে
নাড়াচাড়া করি প্রায়ই,
পুরো শিশি পুরবো মুখে
আমার এমন সৎসাহস কই?
অনেক কথা ভাবার পরে
যত্নে সেটা রাখি তোলে,
সাহস করে নিশ্চয় একদিন
শিশিটাকে দেখবো খুলে।
রেলস্টেশনের আশেপাশে
মাঝেমাঝে হেঁটে বেড়াই,
সময় সুযোগ পাবো যখন;
ট্রেনের নিচে ঝাঁপাতে চাই।
সময়-সুযোগ হওয়ার পরেও
হয় না কাজটা করে ওঠা,
প্রিয়জনদের মনে পড়ে;
তারাই আমার জগৎ গোটা।
আমার যদি কিছু হয় তো
তাদের দেখে রাখবে কারা?
নিজেই কি আর থাকতে পারবো
একা একা তাদের ছাড়া?
যদিও আমি সুখে থাকি,
আসলেই কি থাকবো সুখে?
অপূর্ণতায় দুঃখের ঢেউ
উঠবে না এই শূন্য বুকে?
অনেক কথা ভেবে ভেবে
মনটাকে তাই শান্ত করা,
যে যা খুশি বলে বেড়াক-
আমি কি আর ঘাটের মড়া?
হুটহাট কেনো মুষড়ে পড়ি,
ভেসে চলি চোখের জলে?
সইতে হবে অনেককিছুই
বাঁচার মতো বাঁচতে হলে।
সংগ্রাম করেই বাঁচতে হবে
সবই যখন প্রতিকূলে,
আত্মহত্যা করে কেনো
আপনাকেই চড়াই শূলে?
২৪ মাঘ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ
গাজীপুর।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৫