somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দশ দিগন্তঃ আহারে জীবন, আহা জীবন জলে ভাসা পদ্ম যেমন

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রুচি-অভিরুচি
পোষাক-আশাকের প্রতি আকর্ষণ কোনকালেই ছিল না। তারপরও কিছুটা সতর্ক থাকতেই হয়, যেহেতু সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মেলামেশা করি।
মার্কেটে যাই কেনাকাটা করার জন্য। বাজেট কমও না, বেশিও না- মাঝারি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যে জামাটা পছন্দ করি সেটা অনিচ্ছাকৃতভাবেই বাজেটের চেয়েও কম হয়ে যায়। অর্থনৈতিক অবস্থার মতো রুচিও কি নিম্নগামী হয়ে গেল? কী জানি বাপু!

সর্বাঙ্গে ব্যথা ওষুধ দেব কোথা
রোগ-বালাই খুব একটা হয় না। যখন হয় একসাথে কয়েকটা হয়। চোখে হয়, পেটে হয়; মাথায়ও হয়। ওষুধ খেয়েও কোন কাজ হয় না। মনোবল পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।

বিষবৃক্ষ
ঘৃণার যে বিষবৃক্ষ রোপণ করেছে ধর্মান্ধরা বিশ্ববাসী ইতিমধ্যেই তার কুফল পেতে শুরু করেছে। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই নিরপরাধ। একের পাপের ফল অন্যদের ভোগ করতে হয়।

চাকরি
চিনে স্বাধীনতার পর ১২ বছর কলেজ-ইউনিভার্সিটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। বেকারদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। চিন এখন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পোন্নত দেশ। বাংলাদেশকেও এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন সরকার সাড়া দেয় নি। সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হলে বাংলাদেশ এখন চিনের মতো হয়ে যেত।

অভিজ্ঞতা
পড়লে জ্ঞান বাড়ে আর অভিজ্ঞতা বাড়ে বয়সে। জগৎ-সংসারে শুধু জ্ঞান দিয়ে কিছু হয় না, অভিজ্ঞতারও দরকার পড়ে। যে যত বেশি অভিজ্ঞ, তার জীবন তত উন্নত।

বিজ্ঞান ও ধর্ম
বিজ্ঞান প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আর ধর্ম বিশ্বাসের। একটার সাথে আরেকটা গুলিয়ে ফেলা ঠিক না। তাছাড়া বিজ্ঞানের মতবাদ পরিবর্তনশীল। ধর্মীয় মতবাদ এরকম পরিবর্তনশীল হলে দেখা যাবে শেষে ধর্মটাই আর নেই।

ভোট
ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই। কারণ কী? হয় এ সরকারের ওপর লোকজন সন্তুষ্ট অথবা পূর্ববর্তী সরকার এমন কিছু করতে পারে নি যে লোকজন তাদের চাইবে। শুধু শুধু তাদের জন্য আন্দোলন করে কী হবে? তারচে বরং যেমন আছে তেমন চলুক।
জনগণকে ভোটের দিকে টেনে আনতে হলে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে লড়াই করতে হবে। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। এরাই পাকিস্তানিদের তাড়িয়েছে, সামরিক শাসকদের তাড়িয়েছে। প্রশাসনের দোহাই দিয়ে পিছপা হলে চলবে না।

রোম যখন পুড়ছিল নীরু তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন
সঙ্গীতপ্রেমী রোমান সম্রাট নীরু তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। তাকে যখন খবর দেওয়া হলো নগরে আগুন লেগেছে, উনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। মনের সুখে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। সঙ্গীত সাধনা শেষে তিনি যখন নগর পরিভ্রমণে বের হলেন, দেখলেন গ্রামের পর গ্রাম জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে গেছে। চির শান্তির এ নগরীর জন্য তখন হা-হুতাশ করা ছাড়া উনার আর কিছুই করার ছিল না।
চকবাজার, বনানী সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে হারে আগুন লাগছে, দিব্যদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে দেশবিরোধী একটা সংঘবদ্ধ চক্র এমন হীন কাজে জড়িত আছে, তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে চায়। দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা তো আর ঘটে নি। তারা কারা? সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী কী করছে?

মৃত্যু
মৃত্যু খুব ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার। কার কীভাবে মৃত্যু হবে কেউ জানে না। এটা এমন একটা অনুভূতি কেউ কাউকে বলতেও পারে না। মরে গেলে তো আর ফিরে আসা যায় না।

প্রেমিক বনাম ধর্ষক
প্রেমিক কখনও ধর্ষক হতে পারে না, আবার ধর্ষক কখনো প্রেমিক হতে পারে না। আজকাল প্রেমিকের চেয়ে ধর্ষকের সংখ্যাই বেশি দেখা যায়। এরা ফাঁদ পেতে বসে থাকে। অবলারা তাদের ফাঁদে পা দেয়। মূর্খ সমাজ প্রেমিক আর ধর্ষকের পার্থক্য বোঝে না। প্রেমিককে ধর্ষক ভেবে ভুল করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫১
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×