রুচি-অভিরুচি
পোষাক-আশাকের প্রতি আকর্ষণ কোনকালেই ছিল না। তারপরও কিছুটা সতর্ক থাকতেই হয়, যেহেতু সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মেলামেশা করি।
মার্কেটে যাই কেনাকাটা করার জন্য। বাজেট কমও না, বেশিও না- মাঝারি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যে জামাটা পছন্দ করি সেটা অনিচ্ছাকৃতভাবেই বাজেটের চেয়েও কম হয়ে যায়। অর্থনৈতিক অবস্থার মতো রুচিও কি নিম্নগামী হয়ে গেল? কী জানি বাপু!
সর্বাঙ্গে ব্যথা ওষুধ দেব কোথা
রোগ-বালাই খুব একটা হয় না। যখন হয় একসাথে কয়েকটা হয়। চোখে হয়, পেটে হয়; মাথায়ও হয়। ওষুধ খেয়েও কোন কাজ হয় না। মনোবল পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।
বিষবৃক্ষ
ঘৃণার যে বিষবৃক্ষ রোপণ করেছে ধর্মান্ধরা বিশ্ববাসী ইতিমধ্যেই তার কুফল পেতে শুরু করেছে। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই নিরপরাধ। একের পাপের ফল অন্যদের ভোগ করতে হয়।
চাকরি
চিনে স্বাধীনতার পর ১২ বছর কলেজ-ইউনিভার্সিটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। বেকারদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। চিন এখন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পোন্নত দেশ। বাংলাদেশকেও এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন সরকার সাড়া দেয় নি। সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হলে বাংলাদেশ এখন চিনের মতো হয়ে যেত।
অভিজ্ঞতা
পড়লে জ্ঞান বাড়ে আর অভিজ্ঞতা বাড়ে বয়সে। জগৎ-সংসারে শুধু জ্ঞান দিয়ে কিছু হয় না, অভিজ্ঞতারও দরকার পড়ে। যে যত বেশি অভিজ্ঞ, তার জীবন তত উন্নত।
বিজ্ঞান ও ধর্ম
বিজ্ঞান প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আর ধর্ম বিশ্বাসের। একটার সাথে আরেকটা গুলিয়ে ফেলা ঠিক না। তাছাড়া বিজ্ঞানের মতবাদ পরিবর্তনশীল। ধর্মীয় মতবাদ এরকম পরিবর্তনশীল হলে দেখা যাবে শেষে ধর্মটাই আর নেই।
ভোট
ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই। কারণ কী? হয় এ সরকারের ওপর লোকজন সন্তুষ্ট অথবা পূর্ববর্তী সরকার এমন কিছু করতে পারে নি যে লোকজন তাদের চাইবে। শুধু শুধু তাদের জন্য আন্দোলন করে কী হবে? তারচে বরং যেমন আছে তেমন চলুক।
জনগণকে ভোটের দিকে টেনে আনতে হলে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে লড়াই করতে হবে। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। এরাই পাকিস্তানিদের তাড়িয়েছে, সামরিক শাসকদের তাড়িয়েছে। প্রশাসনের দোহাই দিয়ে পিছপা হলে চলবে না।
রোম যখন পুড়ছিল নীরু তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন
সঙ্গীতপ্রেমী রোমান সম্রাট নীরু তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। তাকে যখন খবর দেওয়া হলো নগরে আগুন লেগেছে, উনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। মনের সুখে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। সঙ্গীত সাধনা শেষে তিনি যখন নগর পরিভ্রমণে বের হলেন, দেখলেন গ্রামের পর গ্রাম জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে গেছে। চির শান্তির এ নগরীর জন্য তখন হা-হুতাশ করা ছাড়া উনার আর কিছুই করার ছিল না।
চকবাজার, বনানী সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে হারে আগুন লাগছে, দিব্যদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে দেশবিরোধী একটা সংঘবদ্ধ চক্র এমন হীন কাজে জড়িত আছে, তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে চায়। দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা তো আর ঘটে নি। তারা কারা? সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী কী করছে?
মৃত্যু
মৃত্যু খুব ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার। কার কীভাবে মৃত্যু হবে কেউ জানে না। এটা এমন একটা অনুভূতি কেউ কাউকে বলতেও পারে না। মরে গেলে তো আর ফিরে আসা যায় না।
প্রেমিক বনাম ধর্ষক
প্রেমিক কখনও ধর্ষক হতে পারে না, আবার ধর্ষক কখনো প্রেমিক হতে পারে না। আজকাল প্রেমিকের চেয়ে ধর্ষকের সংখ্যাই বেশি দেখা যায়। এরা ফাঁদ পেতে বসে থাকে। অবলারা তাদের ফাঁদে পা দেয়। মূর্খ সমাজ প্রেমিক আর ধর্ষকের পার্থক্য বোঝে না। প্রেমিককে ধর্ষক ভেবে ভুল করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫১