somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোহাম্মদ (সাঃ) মাওলা আলী (আঃ) কেই তাঁর প্রতিনীধী করে গিয়েছিলেনঃ (পর্ব-২)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হযরত রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অসুস্থতাঃ ৩০শে সফর শেষ বুধবার হযরত রসুলুল্লাহ (সাঃ) জ্বর ও মাথার বেদনায় আক্রান্ত হন। পরের দিন বৃহস্পতিবার ১লা রবিউল আউয়াল রোমকদের বিরুদ্ধে অভিযানে পাঠাইবার জন্য উসামা ইবনে জায়েদ (রাঃ) এর মাথায় নিজ হাতে সেনাপতিত্বের পাগড়ী বেধে দেন। অসুস্থতার চতুর্থ দিনে ৩রা রাবিউল আউয়াল সঙ্গীদের নিয়ে হযরত রসুলুল্লাহ (সাঃ) “বাকিউল গারকাদ” মদীনার গোরস্থানে শেষবারের মত মাজার জিয়ারত করেন। তিনি বলেনঃ আমাকে আদেশ করা হয়েছে যারা ইন্তিকাল করেছে তাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে। এ সময় হযরত রসুলুল্লাহ (সাঃ) হযরত মায়মুনার (রাঃ) এর ঘরে ছিলেন। ৮ই রবিউল আউয়াল বৃহস্পতিবার রোগের প্রকোপ বেরে যায় এবং তিনি কিছু লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে “আল মুরাজায়াত [পত্রালাপ]” – আল্লাহমা সাইয়্যেদ আবদুল হুসাইন, শারাফুদ্দিন আল মুসাভী বইয়ের ৩২১ পৃষ্ঠায় লেখা আছেঃ
নবী (সাঃ)-এর নির্দেশ অনুযায়ী আমল (কর্ম সম্পাদান ) না করার ঘটনা অসংখ্য। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও কষ্টদায়ক ঘটনা হলো বৃহস্পতিবার এর বেদনা দায়ক ঘটনা।

সহীহ হাদিস গ্রন্থ সমুহ ছাড়া অন্যান্য সুনান লেখকগণও এ ঘটনাটি বর্ননা করেছেন। ইতিহাস ও হাদিস বর্ননাকারীদের সকলেই তা উল্লেখ করেছেন। যেমন বুখারী (সহীহ বুখারীর ৪র্থ খন্ডের ৫ম পৃষ্ঠায় “কিতাবুল মারযা” অধ্যায়) উবাইদুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ্‌ ইবনে উতবা ইবনে মাসউদ সূত্রে ইবনে আব্বাস হতে বর্ননা করেছেন, নবী (সাঃ)-এর ওফাতের পুর্বে একদল লোক রাসুলের ঘরে সমবেত হয়েছিলেন যাঁদের মধ্যে উমর ইবনুল খাত্তাবও ছিলেন। রাসুল (সাঃ) বললেনঃ “আন, তোমাদের জন্য এমন কিছু লিখে দিয়ে যাব যাতে তারপর তোমরা পথভ্রষ্ট হবেনা”। “(হানবী নিজ হতে কিছুই বলেননা যা বলেন তা আল্লাহর ওহী ব্যতীত কিছু নয়-সুরা নজম)
উমর বললেনঃ “তার ব্যাথা তীব্র হয়েছে, তোমাদের নিকট কোরান আছে। আল্লাহর কিতাবই আমাদের জন্য যথেষ্ট”। তখন উপস্থিত জনতার ভিতর বিভেদ সৃষ্টি হলো ও পরষ্পর বিতর্ক সৃষ্টি হলো। কেউ কেউ বলল “কাগজ নিয়ে এসো। নবী (সাঃ) এমন কিছু লিখে দিয়ে যাবেন যাতে আমরা বিচ্যুত না হই। কেউ কেউ উমরের কথা পুনরাবৃত্তি করতে লাগল। যখন বিতর্ক তীব্র হলো তখন রসুল (সাঃ) বললেন “তোমরা এখান থেকে বেরিয়ে যাও”।

ইবনে আব্বাস প্রায়ই বলতেন, “বিপদ তখন থেকেই শুরু হয়েছে যখন বিতর্ক ও চিৎকারের মাধ্যমে রাসুল (সাঃ)- লেখা হতে বিরত রাখা হলো”।

এ হাদিসটি সহীহ হাদিস সমুহের অন্তর্ভুক্ত ও এর বিশুদ্ধতার বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। বুখারী (১ম খন্ডের কিতাবুল ইলম, পৃষ্ঠা ২২) তাঁর সহীহ এর কয়েক স্থানে হাদিসটি বর্ননা করেছেন এবং মুসলিম তাঁর সহীহতে (২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১৪) ‘ওয়াসাইয়া’ অধ্যায়ের শেষে এটি এনেছেন। আহমদ তাঁর মুসনাদে (১ম খন্ড, ৩২৫ পৃষ্ঠা) ও অন্যান্য সুনান লেখকগণ তাদের গ্রন্থে ইবনে আব্বাস হতে হাদিসটি বর্ননা করেছেন। কিন্তু হাদিসটির হুবুহু শাব্দিক বর্ননা না করে ভাবগত বর্ননা করেছেন। কারন হযরত উমর যে শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন তা হলো “নবী প্রলাপ বকছেন” (নাউজুবিল্লাহ)। কিন্তু তারা বলছেন “নবীর ব্যাথা তীব্র হয়েছে”। এভাবে তারা চেয়েছেন কথাটির কর্কশতাকে কমিয়ে সাধারন পর্যায়ে আনতে। আমাদের দাবীর পক্ষে প্রমান হলো আবু বকর আহমদ ইবনে আযীয জাওহারীর ‘আস্‌সাকীফা’ (ইবনে আবিল হাদীদ তাঁর শারহে নাহজুল বালাগার ২য় খন্ডের ২০ পৃষ্ঠায় সেখা হতে বর্ননা করেছেন) গ্রন্থে যেখানে তিনি এই বিষয়ে লিখেছেন। মুসলিম শরীফ তাঁর সহীহ গ্রন্থের ‘কিতাবুল ওয়াসিয়াহ্‌” অধ্যায়ের শেষে, মুসনদের ১ম খন্ডের ২২ পৃষ্ঠায়, বিভিন্ন জায়গায় খুব ভালো করে পড়ে দেখতে পারেন, উমর-ই প্রথম বলেছেন নবী প্রলাপ বকছেন।শব্দটি ছিল “ইয়াহজার”-এর অর্থ “সে প্রলাম বকছে” বা লোকটি প্রলাপ বকছে”। আর ওমর (রাঃ) এর অতি প্রেমিকগণ এবং আহলে বাইয়েত এর বিদ্বষ্কারীগণ উক্ত ভাষাকে খুব মোলায়েম ভাবে পেশ করেছেন আপামর জনতার সামনে-“নিশ্চয়ই রোগ যন্ত্রনা অভিভুত হয়েছে বা রোগ যন্ত্রনা প্রবল হয়েছে ইত্যাদি সরলীকরন ভাষা প্রয়োগ করে চরম সত্য বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। কারন উক্ত ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট তৎকালীন ঘটিত ঘটনাবলীর ইতিহাস বিজড়িত আছে-যা হতে রসুল (সাঃ) ও তার আহলে বাইয়েতের বিদ্ব্বেষী ও শত্রুগণের আকিদা, চিন্তা চেতনা ও কর্ম পদ্ধতির সুস্পষ্ট নির্দেশ পাওয়া যায়। বোখারী শরীফের মতে “কিতাবুল জিহাদ” অধ্যায়ের ২৮২৫ নং হাদিসটির ভাষ্যমতে “ প্রলাপ বকছেন বা অর্থহীন কথা বলছেন” বলা হয়েছে।

খুব চিন্তা করার বিষয় হাদিসটিতে বলা হচ্ছেঃ নিয়ে আস কাগজ ও কলম তোমাদের উদ্দেশ্যে কিছু লিখে দেই যেন তোমরা পথভ্রষ্ট না হও। তাহলে দেখা যাচ্ছে পরবর্তীতে পথভ্রষ্ট হবে তা শুনিশ্চিত। কেননা নবী আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিত কোন কথাই বলেন না। আবার নবী যিনি সৃষ্টির পুর্বেও নবী, যিনি আখেরে বাতেনে, জাহেরে সর্ব ক্ষেত্রে নবি তিনি কখনও প্রলাপ বকতে পারেন না, বা রোগে শোকে তিনি কখনও ভুল কিছু বলতে পারেন না। দেহ অসুস্থ হতে পারে, তাদের পরমাত্না তখনও তিনি নবী। তিনি জলে স্থলে অগ্নি কুন্ডে সর্বকালে, সর্বযুগে সর্ব সময়ে একই রকম নবী। এই বিশ্বাস না থাকলে সে মুসলমানই না। তার ঈমানের কোন অংশই থাকতে পারেনা।

যাইহোক যদিও তারা খুবই আল্লাহর কেতাব এর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী ভাব আছে কিন্তু তারা কেতাবের ভিতরের বিষয় বস্তুই বুঝতে পারেনা বা বুঝতে চায় না, কি হবে সেটা বিজ্ঞ পাঠকদের হাতে। কেননা কোরানে বলছেঃ নবী তোমাদের যা দেন তা গ্রহণ কর এবং যা বিষয় হতে তোমাদের নিষেধ করেন তা হতে বিরত হও( হাশরঃ৭)
নবী প্রলাপ বকছেন- এ কথাটি বলার সময় মনে হয় তারা করানের এই আয়াত বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন; এই ধরনের আলেম, জ্ঞানী দ্বারা আজ সমাজ ভরপুর, কোরানের নাম ভাঙ্গিয়ে যা খুশি তাই বলছে, করছে। অথচ করান কি বলছে সেটা মাথার ঘিলুর দুইশ গজ দূর দিয়েও যাচ্ছে না। আমার এই লেখা পড়েও দেখবেন অনেকে বলতে চাইবে “ভাই করান হাদিস আগে ভালো করে পড়ুন”। কিন্তু কি লিখলাম সেটা বুঝা ত বহু দুরের কথা বরং উলটা বোকার মত কিছু কটুক্তি করবে।

আবার এ কথাটিও হয়ত বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন সেই সময় উমর (র)

এ বানী সন্মানীত রাসুলের যিনি শক্তিমান ও আরশের অধিপতির নিকট বিশিষ্ট মর্যাদার অধিকারী। আসমানসমুহে তাঁর আনুগত্য করা হয় এবং তিনি বিশ্বস্ত। তোমাদের বন্ধু (মহানবী) উন্মাদ নন (সুরা তাকভীরঃ২২)

যেন তাঁরা এরুপ কোন কথা শুনেনি অন্যান্য সুস্পষ্ট আয়াত যেখানে বলা হচ্ছে- “নবী নিস্পাপ, তাঁর কথা প্রলাপ নয়, চিন্তা ও যুক্তি ব্যতিত তিনি কথা বলেন না”।

যেমন রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর পবিত্র শরীর মোবারকে ইহুদীর যাদুর প্রভাব থাকা সত্ত্বেও যখন তার উপর সুরা নাস ও সুরা ফালাক নাজিল হয়েছিল তখন কেউ বলেনি তিনি প্রলাম বকছেন বা অর্থহীন কথা বলছেন। কারন, এ আয়াতের নাজিলের সাথে তো খেলাফতের স্বার্থ জড়িত নাই। নবী-রাসুল্গণ সর্বদা জ্ঞানযোগে চেতন থাকেন।

নবী করিম (সাঃ) এর ওফাতের কিছুকাল পুর্বেই ঘটে যাওয়া ঘটনা গাদিরে খুম। তাই সত্য এই যে, তারা জানতেন নবী (সাঃ) খেলাফতের প্রতিশ্রুতিকে দৃঢ় ও আহলে বাইয়েতের ইমামদের সর্বজনীন নেতৃত্বকে সুন্নাহর ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিশেষত আলী (আঃ) এর অভিভাবকত্ব ও স্থলাভিষিক্ত হবার বিষয়টিক তাগিদের জন্য তেমনটি করতে চেয়েছিলেন।

হযরত আবু বকর (রাঃ) যখন স্বীয় খেলাফতের বিষয়ে হযরত ওমর (রাঃ) এর ঋণ শোধ করতে গিয়ে মানে হযরত ওমরকে (রাঃ) স্বীয় মতামতে খলীফা বানানোর উইল হযরত ওসমান (রাঃ) কে দিয়ে লিখাতে ছিলেন, তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) অসুস্থতার কারন হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। এ ফাঁকে ওসমান (রাঃ) উইল নামায় ওমরের (রাঃ) নাম ঢুকিয়ে ফেলেন। কই এখানেত কেউ বলল না আবু বকর প্রলাপ বকছেন? ওসমান (রাঃ) কেমনে বুঝল এখানে ওমর (রাঃ) এর নাম হবে? এরপর জ্ঞান ফিরলে আবু বকর (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন কার নাম দেয়া হয়েছে? ওমরের (রাঃ) নাম শুনে তিনি খুশী হলেন।

এখানে নবী করিম (সাঃ) বলছেন কাগজ কলম আনো আমি লিখে দিয়ে যাই কিছু যা তোমরা পথভ্রষ্ট হবেনা। এর কিছুদিন পুর্বে যে হাদিস গাদিরে খুমে তিনি বলেছিলেন সেটা হল “তোমাদের জন্য দুইটি জিনিস রেখে যাচ্ছি একটি আল্লাহর কেতাব ও অপরটি আমার আহলে বাইয়েত...।(হাদিসে সাকলাইন) এই দুই হাদিসের ভিতরে একটা মিল আছে। বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে পরবর্তি আশংকা যা হবার তাই হয়েছে। যদি আহলে বায়াতকে খলিফা করা হত নবী (সাঃ) নির্দেশ মতে তাহলে পরথভ্রষ্ট হত না তখন হতে আজব্দী এই মুসলিম সমাজ।

মোহাম্মাদী ইসলাম এত উচচাঙ্গের একটি জীবন দর্শণ যে, ইহা সাধারনের বুঝবার বা পালনের কোন ধর্ম নয়। অথচ একে সাধারনের আওতাভুক্ত করে সংখ্যাধিক্কের (মেজরিটি) আওআজ তোলা হচ্ছে। ফলে সংখ্যাগুরুর হাতে পরে এর বেহাল অবস্থা হয়ে পড়েছে। যারা প্রকৃ্ত সংরক্ষক এবং জিম্মাদার তাঁদেরকে বলপূ্র্বক সরিয়ে দিয়ে ইসলাম লেখা সাইনবোর্ড (দাড়ি, টুপি, জুব্বা) গলায় ঝুলিয়ে জয় ডংকা বাজাচ্ছে, আর নিজেদেরকে মুসলিম মুসলিম বলে চিৎকার করছে। অতএব ইহার স্বাভাবিক পরিনতির দূর্ভোগ ভুগতেই হবে।

শুধু ধর্মবিজ্ঞান জগতেই নয়, বস্তুবিজ্ঞান জগতেও একথা সত্য-যারা বস্তুবিজ্ঞান ক্ষেত্রে চরম জ্ঞানসম্পন্ন হয়ে থাকেন একমাত্র তারাই নতুন নতুন আবিষ্কারের দ্বারা বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন করে মানুষের বোইজ্ঞানীক সমাজ গঠন করে দিতেছেন। অবশিষ্ট সকলে মিলে তাদের দেওয়া নিয়ম সমুহ গ্রহন করে পার্থিব উন্নতি সাধন বিষয়ে উহাকে কার্যকরী করে তুলছে এবং তদ্বারা উপকৃত হচ্ছে।
ধর্মবিজ্ঞান এবং আধ্যাত্নবিজ্ঞান বিষয়ে আমরা তার বিপরীত ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। যারা এ বিষয়ে প্রকৃত নিয়ন্তা তাদের নিয়ন্ত্রন ত্যাগ করে সে বিষয়ে নিন্ম শ্রেনীর অবুঝ লোকদের ব্যবস্থা গ্রহন করছি। ফলত ধর্ম বিষয়ে সমাজের অধোগতি হওয়া স্বাভাবিক।
মানবীয় প্রচেষ্টার সাহায্যে বস্তুবিজ্ঞানি তৈরি করা যায় কিন্তু ধর্মবিজ্ঞানী জ্ঞান্ধার নবী ও ইমাম তৈরি করা যায়না। আমাদের সমাজে আজ যেই ইমাম মসজিদ মসজিদ ঘরে দেখি তা ইমাম নয়, শুধু বেশ ভুষার আড়ালে একটি খোলস। কেননা ইমাম হবার যোগ্যতা, পরীক্ষা, সব কিছু এক আল্লাহর হাতে।

ইহা বড়ই হাস্যকর আমাদের দেশে আড়াই লক্ষ মসজিদ আছে বলে জানতে পারি, আরও বেসিহ হবে। তাহলে ধরে নিচ্ছি আড়াই লক্ষ ইমাম আছে সেই মসজিদে। তাহলে যেই দেশে এত ইমাম থাকে সেই দেশ বলে বিজ্ঞান, রাষ্ট্রনীতি, ধর্মনীতি প্রতিটি বিষয়ে এত পিছিয়ে থাকে???? আজব মানুষ। ইমাম কি সেটাই জানলনা। থাক এ বিষয়ে পরে লিখব।

গনতন্ত্রের ভোটে নবুয়ত এবং ইমামত সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। মোসলেম রাষ্ট্র তাও করায় দেখাইছে। নবুয়ত শেষ, ঠিক আছে তার মানে ইমামত শেষ হয়নাই। নবুয়তের পর একধারে ইমামত চলিতে থাকবার জন্যই গাদিরে খুমে তার ভিত্তি স্থাপন করা হইয়াছিল, সেহেতু আমরা দেখতে পাইঃ রাজধানীর ইমাম, মফস্বলের ইমাম, , ফেকা হাদিস লেখার ইমাম, রাজদরবারের ইমাম কত আইটেমের ইমাম আজ চলে আসছে। এই ইমাম আর নবীর (সাঃ), গাদিরে খুমে সৃষ্টি করে যাওয়া ইমাম কি এক জিনিস? যেই ইমামের পিছে দাঁড়ায় নামাজ পরিপুর্ন হয় সেই ইমাম কোন ইমাম??? আজ শুধু ধর্মের নামে ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই নাই।

যাইহোক এরপরের লেখায় আপনাদের জানাবো নবী করিম (সাঃ) মৃত্যুর সময় বিভিন্ন সাহাবাদের অবস্থান ও তার পর বিভিন্ন সাহাবাদের কর্মকান্ড।

দোহার
কাদরীয়া দরবার শরীফ
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×