িবজ য় একাত্তর
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বিজয়-৭১ যশোরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ
স্মরণ করিয়ে দেয় যশোরের মানুষের বিরত্বগাথা
আমিনুর রহমান মামুন, যশোর : দেশের প্রথম শত্র“মুক্ত জেলা যশোর। দীর্ঘ ন’মাস যুদ্ধ শেষে ৭ ডিসেম্বর’৭১ বাংলার বীর সেনারা স্বাধীন করেন যশোরকে। তীব্র আক্রমনের মুখে ৬ ডিসেম্বর রাতেই পাকবাহিনী যশোর ক্যান্টমেন্ট ছেড়ে পালায়। পরম পাওয়ার আনন্দ-উচ্ছ্বাস আর স্বজন হারানোর একবুক ব্যথা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন যশোরের মানুষ। তাদের সেই বীরত্ব গাথা বর্ণনাতীত। সব শ্রেনীর মানুষ যে যেমনি পারেন দেশ স্বাধীনে ভূমিকা রাখায় যশোর প্রথম শত্র“মুক্ত জেলা হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারে। যশোরের মানুষের সেই বীরত্বগাথাকে স্মরণ করতে যশোরে নির্মিত হয়েছে স্মৃতি স্তম্ভ ‘ বিজয়-৭১’। যশোর শহরের পশ্চিম প্রান্তে শহরের অন্যতম প্রবেশ মুখ পালবাড়ি মোড়ে নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের এ স্মৃতি স্তম্ভ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোর ছিল ৮ নম্বর সেক্টরের অধীন। এ জন্য প্রতীকটিতে ৮টি পেশাজীবী মানুষের এক সাথে যুদ্ধে অংশ নেয়ার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সুদৃশ্য ও মনোমুগ্ধকর এ স্মৃতি স্তম্ভটি দেখলেই মানুষের হৃদয় পটে ভেসে ওঠে বীর বাঙালীর একাত্তরের সাহসীকতা আর ত্যাগের কথা। ২১ ফুট উচু এ ভাস্কর্যের নির্মতা যশোরের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী খন্দকার বদরুল আলম নান্নু। চিত্রে যিনি নিপুন হাতে ফুটিয়ে তুলেছেন মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা।
যশোরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নির্মিত বেশ কয়েকটি ভাস্কর্য রয়েছে। তবে সেগুলো তেমন দর্শনীয় স্থান নয়। বিজয়’৭১ যা দূর করেছে। শহরের পালবাড়ি মোড়ের যে স্থানটিতে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে তাতে বাইরে থেকে যশোরে আসলেই তাদের চোখে পড়বে। যশোরের সাবেক জেলা প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মিয়া ছিলেন এ ভাস্কর্য নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তা। পরে বদলী হয়ে আসা জেলা প্রশাসক আমিনুর রসুলও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার সাথে স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশ নেন যশোরের প্রায় সব শ্রেনীর মানুষ। সবার আন্তরিকতায় ১৯৯৯ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয় এ ভাস্কর্যের। যশোর মুক্ত দিবসে ঐ বছরের ৭ ডিসেম্বর এ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন ৮ নং সেক্টর কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরী। বিজয় ৭১ এর সামনে দাঁড়ালে গর্বে বুক ভরে যায়। আমাদের মহান স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী মানুষগুলো মাথা উচু করে দাঁড়ানোর শক্তি এবং সাহস পায়। বিজয়-৭১ যশোরের মানুষের বীরত্ব গাথার গৌরবময় প্রতীক। দূর থেকে দেখলেও এ ভাস্কর্য যেন হাত ছানি দিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাহসীকতার কথাই জানিয়ে দেয় । #
যশোর।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।