আমিনুর রহমান মামুন
নববর্ষের রঙে রঙ্নি হয়ে উঠবে যশোর। বর্তমানে নামকরা সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সে কাজেই ব্যস্ত। এরমধ্যে একটি অলিখিত প্রতিযোগিতাও চলছে তাদের মধ্যে। সে প্রতিযোগিতা কে কত ভাল করতে পারে তার। এ জন্য সংগঠনগুলোর কর্মীরা রাত-দিন কাজ করছে। শহরে বের হলেই তার প্রমান পয়া যায়। মোড়ে মোড়ে নববর্ষ পালনের আহবান সম্বলিত লেখনি ও ফেস্টুন। কোথাও কোথাও দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিকৃতি। আর বিপণী বিতানগুলো সাজানো হয়েছে নববর্ষের বর্ণিল পোষাকে। সবকিছু মিলে যশোরে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
নববর্ষ পালনে রাজধানীর বাইরে যে কটি জেলা এগিয়ে যশোর তার মধ্যে অন্যতম। যশোর অনেক আগথেকেই ব্যতিক্রমি আর আকর্ষণীয় নানা আয়োজন করে একটি নিজস্ব স্থান করে নিয়েছে। এজন্য এখন যশেরের নববর্ষের অনুষ্ঠান কোন না বেসরকারি টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে থাকে। এবারো চলছে তার প্রস্ততুতি। যশোর পৌর উদ্যান থেকে উদীচী যশোরের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করেব দেশ টেলিভিশন। গতবার করেছিল বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি টিভি চ্যানেল ওয়ান। এ জন্য কোথাও ফাঁক রাখছেন না উদীচী যশোরের কর্মীরা। বর্ণিল অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার সবপ্রস্তুতিই চলছে সংগঠনটির। ইতিমধ্যে অনুষ্ঠান উপভোগ করার আহবান জানিয়ে দেয়ালে দেয়ালে নববর্ষের চিত্র আর মোড়ে মোড়ে ফেস্টুন ঝুলিয়ে নববর্ষের আগামণী বার্তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বসে নেই অন্যান্য সংগঠনগুলোও। চারূপীট, বিবর্তন, শেকড়, সুরবিতান, চাঁদেরহাট, তির্যক প্রভৃতি সংগঠনগুলো ভাল করার জন্য নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে প্রতিয়োগিতা চালিয়ে যাচ্ছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি যশোরের সংগঠনগুলো ব্যতিক্রমি নববর্ষের কার্ড বানাতে সিদ্ধ হস্ত। প্রতিবারই তারা ভিন্নধর্মীর কার্ড বানিয়ে যশোরবাসেিক বিমোহিতকরেন। এবারো তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এজন্য চলছে জোর প্রস্তুতি। উদীচী যশোর সবসময় কাঠ দিয়ে দৃষ্টিকাড়া কার্ড তৈরী করে। এবারো তারা তাই করছেন। উদীচীর একটি সুত্র জানায়-এবারো তারা যশোরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষকে নববর্ষের কার্ড দিয়ে আনন্দে ভরিয়ে দেবেন। ব্যতিক্রমি কার্ড বানায় আরো একটি সংগঠন। সেটি হলো বিবর্তন যশোর। এবার তারা মাটির প্রলেপের ইপর এক পল্লী বধূর ধান ঝাড়ার দৃশ্য সম্বলিত কার্ড বানিয়েছে। তাতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রকৃত ধান। বধূটিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রঙের আচড়ে। বিবর্তনের কার্ড এবারো সবার দৃষ্টি কাড়বে। অন্য সংগঠনগুলোও চেষ্টা করছে তাদের নিজস্বতা ধরে রাখতে।
এদিকে নববর্ষকে বরণ করতে বসে নেই সাধারণ মানুষও। নববর্ষ উপলে উৎসবের াামেজ বিরাজ করছে শহরজুড়ে। শহরে বের হলেই তার প্রমান পাওয়া যায়। কারণ বিপণী বিতানগুলো লাল-সাদার সংমিশ্রণ তৈরী পোশাক দিয়ে ভরে ফেলেছে। সে সব পোশাক দৃষ্টি কাড়ছে। কেনাকাটাও হচ্ছে ব্যাপক। কে কত নজর কাড়া পোশাক কিনতে পারে তার একটা প্রতিযোগিতাও চলছে। এর অন্যতম কারণ নববর্ষের সকালে যশোর শহরে মানুষের ঢল নামে। পৌর উদ্যানে হাজির হয় হাজার হাজার মানুষ। এখানে উদীচী যশোর এবার যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে তাতে অংশ নেবে অন্তত পাঁচ শতাধিক শিল্পী। আর বিবর্তণের অনুষ্ঠানে অংশ নেবে চার শতাধিক সাংস্কৃতিক কর্মী। এ থেকেই বোঝা যায় যশোরে নববর্ষ পালনের চিত্র। এই দৃটি সংগঠন ছাড়াও আরো ডজন খানেই নামকরা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা সাড়ম্বরেই নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। তাদের সেই আয়েজন স্বার্থক করতে যশোরবাসীও তাতে অংশ নেন। সকাল থেকে রাত অবধি মানুষ মেতে থাকেন নববর্ষ বরণের উৎসবে। বর্তমানে তার প্রস্তুতি চলায় এখই যশোরে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। #
যশোর। তাং-০৮.০৪.১১
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।