somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তাহলে কি সে কথাটাই সত্যি !

১২ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছোট বেলায় আমি মাদ্রসায় পড়তাম। আরবি নিয়ে পড়তে যেতাম পাশের বাড়ির এক হুজুরের কাছে। যাতায়াতের পথে প্রায় দেখা হতো জব্বার নানার সাথে। জব্বার নানা আমাকে হুজুর বলে পোতেন। আমি হুজুর হওয়ার পে কিছু বললেই তিনি আরো পেয়ে বসতেন। বলতেন- ‘আরে হুজুররা যা বলে তা করে না। তুইওতো তাহলে তাই করবি।’ বয়সের কারণে নানার সাথে আমি যুক্তি-তর্কে পেরে উঠতাম না। সে কথা অনেক বছর আগের। তারপর লেখাপড়া করতে গ্রাম ছেড়ে শহরে আসি। বয়সের কারণে নানাও ইতিমধ্যে চিরবিদায় নিয়েছেন। তবে নানার সেই কথা মাঝে মাঝে মনে পড়ে। কোন কোন েেত্র যেন তার সেই কথার মিল পেয়ে যাই। তবে তা নিয়ে কখনো মাথা ঘামাইনি। হুজুররা যা বলেন তা সত্যি সত্যি তারা তা করেন কি না তাও কোন দিন মিলিয়ে দেখতে যাইনি। তবে গত ৪ এপ্রিল ইসলামি ঐক্যজোটের একাংশের ডাকা হরতাল চলাকালে একটি দৃশ্য দেখে নানার কথা খুব বেশি মনে পড়ছিল। হরতাল চলাকালে যশোর শহরের মোড়ে মোড়ে কাঠ আর বাঁশের লাঠি হাতে অবস্থান নেন হরতাল সমর্থনকারিরা। আওয়ামী লীগ-বিএনপিরমত বড় দলগুলোর হরতাল চলাকালে ফাক ফোকর দিয়ে দু’একটা ভ্যান-রিক্সা চালানোর সুযোগ থাকলেও এদিন সে সুযোগ পাওয়া যাচ্ছিলো না। এমনকি বাই সাইকেল চালকদের পর্যন্ত নামিয়ে দেয়া হচ্ছিলো। নামিয়ে দেয়া হচ্ছিলো ছোট ছোট বাচ্চা আর মহিলাদেরকেও। জবরদ¯িÍ করে হরতাল পালন ইসলাম সমর্থন করেকিনা তা আমার জানা নেই। তবে একটি দৃশ্য দেখে আমার বারবার মনে পড়ছিল জব্বার নানার কথা। সে দৃশ্যটি হলো- হরতাল চলাকালে ইসলামি ঐক্যজোট যশোরের সেক্রেটারি মাওলানা শহিদুল ইসলাম ও অপর এক নেতার দিব্যি রিক্সায় চড়ে বেড়ানো। সাধারণ মানুষকে হরতাল পালন করার জন্য তিনিসহ তার দলের অন্য নেতারা কয়েকদিন ধরে নির্ঘুম প্রস্তুতি নিয়েছেন। সভা-সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন হরতাল সফল করতে। তাদের মারমুখি আচরণের কারণে সাধারণ মানুষ যানবাহন নিয়ে রা¯Íায় বের হতে পারেন নি। সেখানে তিনি নিজেই কি ভাবে রিক্সা নিয়ে শহরে বের হলেন তা আমি বুঝতে পারিনি। আর সে জন্যই মনে পড়ছিল, তা হলে কি জব্বার নানা ঠিক কথাই বলতেন !

যশোর।
১২ ই এপ্রিল, ২০১১
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×