somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

স_লামিসা
লেখা লেখির ধরা বাধা কোন নিয়ম আমার জানা নেই, সঠিক ব্যাকরণ প্রয়োগ করা ও আমার জানা নেই, তবে নিজের মতামত আর চিন্তা প্রকাশ করতে যতটূকু সম্ভব লেখার মাধ্যমে তা বের করে আনতে পছন্দ করি।আমি স্বল্প ভাষী একজন মানুশ :)

স্বপ্ন-বাস্তব-স্বপ্ন ১

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুশের ভাবনা-চেতনা, সবকিছুর যেমন পরিণতি থাকে না, তেমনি কিছু কিছু ঘটনা বা সম্পর্কের বেলাতে এরকমটা ঘটে ; যার কোন ব্যাখ্যা থাকে না, হয়তো প্রয়োজন পড়ে না হয়ত । এমন কিছু ঘটনার একটির স্বীকার রুদ্র ।
রুদ্র রাস্তার পাশ ধরে -দৌড়াচ্ছে । শরীর এর সমস্ত শক্তি দিয়ে এগিয়ে চলছে । মাথার ভেতর শুধু একটা চিন্তা , এট সত্যি হতে পারে না ; সত্যি হবার নয় এটা । ঠিক তুপা’র বাড়ীর সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেল , কলিং বেল দিতেই তুপা’র ছোট চাচা দরজা খুলে বেড়িয়ে এলেন।

- কি ব্যপার রুদ্র ? তোমাকে এমন দেখাচ্ছে যে ?
- কাকু, তুপা’র সাথে একটা জরুরি দরকার ছিল। সে কি আছে ?
- হা, ও আর কোথায় যাবে বল দেখি ? তুমি ছাদে গিয়ে বোস, আমি তুপা কে ডেকে দিচ্ছি ।
- আচ্ছা ! কাকু এক গ্লাস পানি খাবো
- আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি ...
রুদ্র ছাদে বসে থাকতে ভাল লাগছে না। পানি টা ঢক ঢক করে গিলে চট করে ছাদের মেঝেতে শুয়ে পড়লো আকাশ দেখতে, এভাবে শুয়ে আকাশ দেখতে তার খুব ভাল লাগে । এক ঝাক সাদা কবুতর এক সাথে উড়ে বেড়াচ্ছে আকাশে । তাদের মধ্যে ২/১ টা মাঝে মাঝা আলাদা হয়ে যাচ্ছে । আবার পথ ফিরে ও পাচ্ছে । একটা ক্যামেরা থাকলে মন্দ হত না নিশ্চয়ই ।
তুপা ঠিক মুখের সামনে এসে দাড়াতে, উঠে বসলো রুদ্র । তুপা দেখতে পেলো, রুদ্র কে খুব অস্থির দেখাচ্ছে ।
- কি হয়েছে রুদ্র ? এত জরুরী তলব ?
- আমার কিছু প্রশ্নের জবাব চাই ।
- প্রশ্ন গুলো যদি উত্তর দেয়ার মত হয়, অবশ্যি দিবো ।
- মিথ্যা বলা যাবে না ।
- কেন ? মিত্থ্যা বললে কি হবে?
- তোমার শরীরের এক একটী অঙ্গ মাটির মত স্থির হতে থাকবে, এবং খসে পড়বে ।
- হা হা হা । তাই কি ? ঠিক আছে । আমি মিত্থ্যা বলবো না। তোমার প্রশ্ন গুলো করো ।
- তুমি কি আমাকে ভালবাসো ?
- হ্যা ।
- তোমার কি মনে হয় আমি ও তোমাকে ভালবাসি ?
- হ্যা । ... রুদ্র, আমার তো মাটির মত নিথর হয়ে যাবার কথা , কই হলাম না যে ? হা হা হা ...
- কারন তুমি সত্যি উত্তর দিচ্ছো । আমি কি আমার পরের প্রশ্ন গুলো করবো ?
- নিশ্চয়ই ...
- তুমি গত রাতে কবির এর সাথে ছিলে ?
- না ।
- তুমি কি আর কবির কে তোমার একান্ত কাছে আসার সুযোগ দিয়েছিলে, যেটা শুধু আমার হবার কথা ছিল ?
- না , রুদ্র ।
- তুমি কি আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চাইছো ।
- না, রুদ্র , না ...
- তুমি কি আমার এবং আমারই হয়ে থাকবে ?
- হ্যা ... আমি তোমার ছিলাম, আর তোমার থাকবো , আমি তোমাকে ...

তুপা’র কথা থেমে গেল । রুদ্র খেয়াল করলো, তুপা’র সমস্ত শরীর নিষ্প্রাণ মাটিতে পরিণত হয়ে গেছে । রুদ্র, হাত দিইয়ে ছুয়ে দেখতে, তুপা’র নিথর দেহ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। রুদ্র’ঢ় কেন যেন খুব কষ্ট হচ্ছে । তুপা যদি আগে থেকে বুঝতো, মিত্থ্যা’র পরিণতি এমন ভয়াবহ হবে , তবে নিশ্চয়ই সে বলতো না । তুপা কে হারাতে হত না ।

রুদ্র’র ঘুম ভেঙ্গে গেল, সারা শরীর জুড়ে ঘাম বয়ে যাচ্ছে । মনে হচ্ছে, অনেক পরিশ্রম গেছে । কিন্তু এরকম অদ্ভুত একটা স্বপ্ন কেন দেখলো। বিছানা ছেড়ে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো রুদ্র, পর্দা সরাতে দেখতে পেল ...

তুপা রাস্তার পাশ ধরে -দৌড়াচ্ছে । শরীর এর সমস্ত শক্তি দিয়ে এগিয়ে চলছে ।
বাসার নিচে এসে কলিং বেল দিতেই, রুদ্র’র মা দরজা খুলে দিল ।
- কি ব্যপার তুপা ? তোমাকে এমন দেখাচ্ছে যে ?
- খালা, রুদ্র’র সাথে একটা জরুরি দরকার ছিল। সে কি আছে ?
- হা, ও আর কোথায় যাবে বল দেখি ? তুমি ছাদে গিয়ে বোস, আমি রুদ্র কে ডেকে দিচ্ছি ।
- খালা ... এক গ্লাস পানি খাবো ।
- আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি ...

রুদ্র’র গলা শুকিয়ে গেল । ঘড়ির ঠক ঠক শব্দটা কানে আসতে লাগলো ... ...
তুপা’র ছাদে যাবার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ।




সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×