
যখন তুমি আমায় গ্রহণ করো,
আমি তখন স্রোতের মতো নরম,
পাহাড়ি নদীর মত অক্লান্ত;
শালুকের পাতায় জমে থাকা জলে
ফুটে উঠি আমি—
এক অপূর্ণ বিকেলের স্মৃতি হয়ে,
আমার শব্দগুলো তখন
নীরবতার ঢেউয়ের নিচে চাপা পড়ে যায়।
তুমি যখন আমায় গ্রহণ করো,
আমি তখন এক বিস্মৃত উপত্যকা,
যার বুক জুড়ে কুয়াশা লিখে রাখে আমার না-কবুল স্বপ্নগুলো।
তুমি যখন আমায় গ্রহণ করো,
তখন আমি এক প্রাচীন বন,
যার প্রতিটি গহীন ছায়ায় ইতিহাস গড়ে রেখেছে ঘুমন্ত নদী।
তুমি যখন আমায় গ্রহণ করো,
তখন আমি নিসর্গে হারিয়ে যাওয়া এক ঘূর্ণি হাওয়া,
নির্বাক, অথচ গভীর,
আমার কণ্ঠে ছিল পাথরের সুর—
সেখানে প্রতিধ্বনির মতো জেগে ওঠে প্রাচীন বেদনার রাগ।
তুমি যখন আমায় গ্রহণ করো,
আমি খুলি আমার সমস্ত স্তর,
অরণ্যের নিচে লুকিয়ে রাখা জলাভূমির মতো,
যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ এক বিপন্ন সম্ভাবনা।
তুমি জানো না, আমি কতোবার নিজেকে গড়েছি,
ধ্বংসের পরে নির্মাণ,
ভালবাসার ছদ্মবেশে যুদ্ধে হেরে গিয়ে
প্রতিবার নতুন মাটিতে বুনেছি নিজের নাম।
তোমার স্পর্শে আমি প্রেমিক, আমি নগর, আমি নক্ষত্র,
আমি বৃষ্টির মতো অনিশ্চয়, তবু আর্দ্র,
তুমি যখন আমায় গ্রহণ করো—
আমি নিজেকে ফিরে পাই
প্রকৃতির স্বরলিপিতে রচিত এক চুপচাপ মহাকাব্যে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




