
তোমার চোখের কোণে
একটি নদীর জন্ম হয়েছিলো -
সেই সন্ধ্যায়
যখন শালবনের গায়ে
ঝুলন্ত বাদলার রেশ
আমাদের কাঁধে নামছিল
অবাধ্য শিশুর মতো।
নদীর নাম রেখেছিলাম "অন্তর্বতী"
কারণ তার স্রোত
শুধুই ভেতরের দিকে
বইতো...
আমার হাতের রেখায়
এঁকেছিলাম তোমার গন্তব্য -
একটি লাল মাটির পথ
যে পথ যায় চলে
কাঁঠালতলার চায়ের দোকান পেরিয়ে
সেই কোথায়
যেখানে জেলেরা
নৌকা বাঁধে
অর্ধেক জলে
অর্ধেক স্বপ্নে।
মায়াবিনীর ঘাটে
একটি ভাঙা নৌকো
আমাকে শেখায়
কীভাবে ডুবে থাকা যায়
তবুও ভাসতে হয় -
ঠিক যেমন তুমি
আমার স্মৃতিতে
ডুবে আছো
আবার ভাসছো
প্রতিটি বর্ষার নতুন নামে।
আজ এই কবিতায়
খুঁজে পাবে
সেই সব জিনিস
যা কখনো হারাইনি -
একটি শামুকের খোল
যাতে ধ্বনিত হয় সমুদ্র,
একটি শুকনো পাতা
যাতে লেখা আছে বনের ঠিকানা,
এবং তোমারই
এক টুকরো অবিন্যস্ত চুল
যা আটকে ছিল
আমার ডায়েরির শেষ পাতায়...
তুমি যদি জিজ্ঞাসা করো
"এসব লেখার মানে কী?"
আমি শুধু দেখাবো
সেই পাহাড়টাকে
যার ওপারে
আমাদের অর্ধেক কথোপকথন
ঝুলে আছে
আলো-আঁধারের সন্ধিক্ষণে -
একটি অনন্ত অস্পষ্টতা
যাকে বলা যায়
ভালোবাসা
অথবা
বৃষ্টিস্নাত একাকিত্ব...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




