somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বায়ান্ন বাজার, তিপান্ন গলি'.....ধ্বংসপ্রাপ্ত এক পুরাত্বাত্তিক নগরীর কথা

১৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ দু'জন বিদেশীর কথা বলবো যারা প্রেমে পড়েছিলেন এই বাংলার ঐতিহ্যের, বাংলার নি:সর্গের।

প্রথমেই ভারতীয় সিভিলিয়ান ও চিত্র শিল্পী, ইপসুইচের পার্লামেন্ট সদস্য স্যার চার্লস ড'য়লীর কথা।
তাঁর নামটা অপরিচিত ঠেকলেও আমি নিশ্চিত, তাঁর আঁকা ছবি গুলো আপনারা অনেক অনেক বার দেখেছেন। এমন কি ফ্যাশান হাউস "নিত্য উপহারের" টি-শার্ট, মগেও রয়েছেন ড'য়লী।

স্যার চার্লস ড'য়লী ১৮০৮ সালে ঢাকার কালেক্টর হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, বাংলাদেশে তিনি ছিলনে ১৮১৮ সাল পর্যন্ত।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ১৭৭২ সালে বাংলার দেওয়ানী লাভ করার পর থেকে সাধারণ প্রশাসন ও ভুমি প্রশাসনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছিল, এরই এক পর্যায়ে তৈরি হয় কালেক্টের পদটি।
যাক সে কথা, ১৮০৮ সালে ড'য়লী যখন ঢাকায় এলেন, তখন এক সময়ের জমজমাট ঢাকা দূর্দশা আর ধ্বংসের চুড়ান্তে উপনীত হয়েছিল।

সুবা বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়েছিল ১৬১০ সালে এবং মুর্শিদকুলী খাঁয়ের সময়ে আবার সেই কেন্দ্রীয় শাসনটাকে ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে দেওয়ানী স্থানন্তর করা হয়!
মুলত: এরপর থেকেই ঢাকার পতন শুরু হতে থাকে। খ্রী: ১৭১৫/১৬ সালের দিকে ঢাকা পরিণত হয় একটা উপ-প্রদেশে!
১৮২৮ সালের মধ্যে তথাকথিত Pax Britannica এর কারণে ঢাকা ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হয় প্রায় মৃত এক শহরে, বেঁচে থাকে কেবল অর্ধমৃত একটা জেলা সদর!
মূলত: রাজনৈতিক, সামরিক ও প্রশাসনিক সকল কাজের কেন্দ্র হিসাবে কোলকাতার উথ্থান আর ঢাকার পতন একই সুত্রে গাঁথা।


রেনেলের করা ঢাকার মানচিত্র

তো সেই সময়ে রোমান্টিক শিল্পী ড'য়লী ঢাকায় এসে দেখলেন প্রায় ধ্বংস প্রাপ্ত এক পুরাতাত্বিক নগরী। হয়তো এক সময়েরই সেই ঐশ্বর্যশালী নগরীর দীনহীন রূপ তাকে আপ্লুত করে, গভীর মমতায় এই শিল্পী তখন হাতে নিয়েছিলেন কাগজ আর পেন্সিল!

তাঁর আকাঁ ছবিতে ইতিহাস হয়ে আছে সেই ঢাকা..........

ঢাকার অবস্থানের কথা ড'য়েলি এভাবে উল্লেখ করেছিলেন
"ঢাকা বঙ্গ দেশের পূর্বাংশে গঙ্গার মোহনা থেকে প্রায় একশ' মাইল উজানে এবং কোলকাতা থেকে সড়ক পথে একশ' আশি মাইল দূরে অবস্থিত। ভারতের সর্বত্র যে লাল রং এর 'ঢাক' (বুটিয়া ফ্রন্ডাসা) ফুলের গাছ দেখা যায়, সেই গাছের আধিক্য থাকার করাণেই এই নাম করন করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করে, তবে সেটা সম্ভবত সাধারণ জনের ভ্রান্তিবিলাস মাত্র"!
আবার অনেকে বলেন পাল রাজা বল্লাল সেন একবার বুড়ীগঙ্গার উত্তরের জঙ্গলে একটি দেবী মূর্তি পেয়েছিলেন, মূর্তিটি পাবার পরে সেখানে তিনি একটা মন্দির গড়ে তোলেন। সেই মন্দিরটি ছিল জঙ্গলে ঢাকা, তাই ঐ মন্দিরের নাম হয়ে গিয়েছিল "ঢাকা ঈশ্বরী", সেখান থেকে অপভ্রংশ হয়ে "ঢাকেশ্বরী" মন্দির। আর এই ঢাকেশ্বরী থেকেই উদ্ভব ঢাকার!
আবার ইসলাম খাঁকে নিয়েও গল্প আছে একটা, সেই গল্প অনুযায়ী ঢাকার নামার পরে ইসলাম খাঁ একদল ঢাকীকে ঢাক বাজাতে বলে চারজন অনুচরকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন চারিদিকে, ঠিক হয়েছিল ঢাকের শব্দ যতদূর যাবে, নতুন রাজধানীর সীমানাও ততদূর হবে! সেই ঢাকের শব্দ থেকেই নাকি ঢাকা নামের উদ্ভব! আবার কেউ কেউ বলেন আসলে ঢাকায় এক সময়ে একটা নৌঘাটি ছিল যার নাম "ঢাক্কা"। সেই "ঢাক্কা"ই পরে হয়ে গেছে ঢাকা। আবার অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, আরও প্রাচীন কালে ঢাকা ছিল এক সমৃদ্ধ নগরী এবং এর নাম ছিল "বাহান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি"!


ঢাকা নগরীর ভেতরের দৃশ্য

যাই হোক, রোমান্টিক শিল্পী ড'য়েলী আকাঁয় অবশ্য দেখা যায় তৎকালীন ঢাকা শহরে সুরম্য অট্টালিকার চাইতে মাটি, খড়, বাঁশ কিংবা ঘাস জাতীয় দ্রব্যে বাননো কুড়েঘরের আধ্যিক ছিল বেশি। কথিত আছে, মাঝে মাঝেই আগুন লেগে মহল্লার পর মহল্লা এই সব খড়ের ঘর গুলো পুড়ে যেতো। "ঘরকাচি" মহলের লোকেরা ইচ্ছা করে মাঝে মাঝে আগুন লাগিয়ে দিত ঘরে। "ঘরকাচি মহল" হলো খড়, বাঁশ, নলখাগড়া এই সব ঘরবাড়ি তৈরির জিনিসপত্রের দোকান, নিজেদের মালামাল বিক্রীর জন্য এরা মাঝে মাঝে এই কান্ড করতো!



নগরীর একটি কুড়ে ঘর, বেশির ভাগ ঘরই ছিল এমন!

তিনি এই সব জীর্ণ কুড়ে ঘরের পাশাপাশি ধ্বংস প্রাপ্ত মসজিদ, কাটরা এসবও তুলে এনে ঢাকার অতীত গৌরব আর বর্তমান দারিদ্রকে পাশাপাশি দেখিয়ে দিয়েছিলেন!



ধোলাইখালের পার থেকে দূরে ঢাকা

প্রাদেশিক সরকারের কেন্দ্র হিসাবে ঢাকা নগরীর শহরতলীর সীমানা সহ দক্ষিনে বুড়াগঙ্গা ও উত্তরে টঙ্গী সেতু পর্যন্ত এবং পশ্চিমে জাফরাবাদ থেকে পূর্বে পোস্তাগোলা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল!



পাগলার পুল, দূরান্তে ঢাকা

ফরাসী পর্যটক তাভের্নিয়া ১৬৬৬ খ্রী: ঢাকায় এসেছিলেন, তার যাত্রা বিবরনী তে তিনি লিখেছিলেন "ঢাকা থেকে দুই ক্রোশ বা চার মাইল দূরত্বে উত্তর পূর্ব দিকে থেকে প্রবাহিত লক্ষ্যা নদীর উভয় পাশে দুটি কামান সজ্জিত কেল্লা আছে। এরপরে আধ ক্রোশ ভাটিতে মীর জুমলা কতৃক নির্মিত একয়ি সেতু আছে, এরও আধ ক্রোশ ভাটিতে কদমতলী নদীর উপরে আরেকটি সুন্দর সেতু আছে, যার নাম পাগলার পুল!"



পাগলার পুল

সেটা দেখে পরে ড'য়েলিও এই সেতুকে পাগলার পুল বললেও তাঁরা জায়গা পারিপার্শ্বিকের যে বিবরনী দিয়েছেন তাতে করে বর্তমান গবেষকগণ মীর জুমলা আর পাগলার পুল একই সেতু হিসাবে নিশ্চিত হয়েছেন! দারা শামসুদ্দীনের মতে "এটা তার স্মৃতি-বিভ্রমজনিত প্রতিস্থাপনের ফল"!!! তার মানে শিল্পী তার ছবিতে ভুল জায়গার বিবরনী দিয়েছিলেন! তবে তা কি করে সম্ভব, কারণ ডয়ে'লী সেখানে বসেই ছবিটি একেঁছিলেন, এত বড় ভুল করা কি সম্ভব কিনা, সেটা খাতিয়ে দেখার বিষয়!
ড'য়েলীর আকাঁয় ঢাকার দুটি সেতু আমারা দেখি, একটা পাগলার পুল, আরেকটা টংগী সেতু। যদিও সেই সময়ে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই ভাল ছিলনা, ছিলনা তেমন কোর রাস্তা ঘাট। সেই মোঘল আমলে মোহাম্মদ আজম আরমানিটোলায় হাতি ঘোড়া চলাচলের জন্য ইট বিছানো রাস্তা অল্প একটু তৈরি করেছিলেন। চলাচলের জন্য লোকজন ব্যবাহর করতো পালকি, নয়তো নৌকা আর বড়লোকেরা হাতি বা ঘোড়া! ১৮৬০ সালে বাকল্যান্ড বাঁধ তৈরির পরে কিছু রাস্তাঘাট বানানো হয়েছিল! শহরের মূল রাস্তা ছিল সাহেব বাজার থেকে নবাবপুর পর্যন্ত, এই রাস্তা ছিল ঝামা বিছানো!

নদী বেস্টিত বাংলায় জলপথে শত্রুর আক্রমন রক্ষার জন্য নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়েছে কেল্লা বা দূর্গ! এমন একটা দূর্গ খোদ ঢাকায় এখনও আমরা দেখি, লালবাগের কেল্লা!


লালবাগ কেল্লা

ড'য়েলির বর্ণনা মতে ঢাকার একদম কাছে আর দুটি কেল্লা ছিল! বেগমুরাদ নামে পরিচিত এই দুটি কেল্লার অবস্থান ধোলাইখালের কাছে! এরপরে কেন্দ্রীয় কারাগারের কাছে 'পুরান কেল্লা" নামেও একটি কেল্লা ছিল।



লালবাগের কেল্লায় বাইরের দেয়াল

আমরা এখন যেই লালবাগের দূর্গটা দেখি, এটা আসলে একটা অসম্পূর্ণ দূর্গ। শায়েস্তার খাঁর পুত্র মোহাম্মদ আজিম ১৬৭৭ সালে জাঁকজমক পূ্র্ণ ভাবে এর নির্মান কাজ শুরু হলেও মূল নকশা অনুযায়ী তা আর শেষ করা হয়নি, তার আগেই দূর্গটা পরিত্যাক্ত হয়েছিল! এই কেল্লার পোষকী নাম ছিল "আওরঙ্গবাদ"!



বড় কাটরার উত্তরের তোরন

কাটারা বা কুটেরা শব্দের অর্থ হলো খিলান যুক্ত দালান!
এই যে বড় কাটরাটি আমরা দেখি এটি এক সময়ে তৈরি হয়েছিল, যুবরাজ মুহম্মদ সুজার প্রাসাদ হিসাবে। কিন্তু শাহজাদার এই প্রাসাদ পছন্দ না হবার কারণে তিনি এটা নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধায়ক মীর আবুল কাশিমকে উপহার দিয়েছিলেন। পরে এটা মুসাফির আর বনিকদের সারাইখানা হিসাবে ব্যবহৃত হতো! ড'য়েলির ভাষায় " স্হানীয় নিরতিশয় দরিদ্রজনেরা এই বড় কাটারর কক্ষ গুলিতে থাকেন"।



ছোট কাটরা আর কাটারার মসজিদ

বড় কাটার থেকে সিকি মাইল পূর্বে অবস্থিত ছোট কাটরা। এটা নির্মান করেছিলেন আমীরুল শায়েস্তার খান (১৬৬৩ খ্রী:)



চক এবং হোসেনী দালান

ঢাকার অন্যতম প্রাচীন বাজার হলো চক', মূর্শিদ আলি খান প্রায় ২০০ গজ আয়তনের এই চৌকোনা বাজার টি স্থাপন করেছিলেন! সেই সময়ে নগরীর এই অঞ্চলটাকে বলা হতো পুরানা নেকাউস! নেকাউস বা নাখাস শব্দের অর্থ হলো দাস! তাহলে ধরে নেয়া যায় মোঘল আমলে এই "চক", দাস বিক্রীর কেন্দ্র হিসাবেও খ্যাতি অর্জন করেছিল!

ড'য়েলির বর্ণনায় চকে তখন শাকসব্জি, ফলমুল, খেলনা-সামগ্রী, মিষ্টান্ন, খুচরা দ্রব্যাদির নিত্য বেচাকেনা হত। সেই হিসাবে চকবাজার এখনও তার প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রেখেছে!
চকের সাথেই আছে হোসেনী দালান। ১৬৭৬ সালে নির্মিত এই দালানে সেই সময়ের নবাবেরা নামাজ আদায় করতেন।



বুড়াগঙ্গার তীরের মসজিদ

ডয়ে'লি বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত এই মসজিদের তুলনা করেছেন ভেনিসের সাথে। এখানে একটা কথা বলতে হয়, আমরা এখন বুড়িগঙ্গা বললেও সেই ষোড়শ সপ্তদশ শতকের অনেক পর্যটক, চিত্রশিল্পী যেমন:চিনারী, বুড়িগঙ্গাকে "বুড়া গঙ্গা" হিসাবে উল্লেখ করেছেন। বুড়াগঙ্গা মানে হলো 'পুরানো নদী", পরবর্তীকালে সৃষ্ট গঙ্গার অপরাপর নতুন শাখা থেকে আলাদা করার জন্যই নদীটির এমন নামকরণ হয়েছিল, তবে এর লিঙ্গান্তর কবে হলো, সেটা খুঁজে দেখার বিষয় বটে!

ড'য়েলির চি্ত্রনে এমন অনেক চমৎকার স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যময় ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের ছবি আমরা পাই।



মগবাজারের মসজিদ


মগবাজারের এই মসজিদ নির্মানে অনেক হিন্দু মন্দির উপরকণ নাকি ব্যবহার করা হয়েছিল!


সাইফ আলি খানের মসজিদ

সাইফ আলি খানের মসজিদটি জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে রাজা মোহন সিং গোড়াপত্তন করেছিলেন। প্রথমে একে হিন্দু মন্দির হিসাবে তৈরির ইচ্ছা থাকলেও পরে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে সেই পরিকল্পনাটিও বদলে গিয়েছিল!



একজন মসলিন তন্তুবায়

ড'য়েলির সকল ছবির মূল উপজিব্য ছিল নি:সর্গ, শুধুমাত্র একটায় মসলিনের এক তাতীঁর ছবি।
তিনি বাংলার মসলিনের ভূয়সি প্রশংসা করেছিলেন। তিনি লিখেছেন, সোনারগাঁওয়ে একজন তাতী এমন মিহি সুতো বানিয়েছিলেন যে সেটার ৮৮ গজের ওজন ছিল মাত্র দুই গ্রেণ!
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, ১৮০০ সালে মসলিন রপ্তানী করে ১৮ লাক্ষ টাকা আয় হয়েছিল!

এই ছিল সংক্ষেপে স্যার চার্লস ড'য়েলির "Antiquities of Dacca" বইয়ের ছবিতে ঢাকার ইতিহাস নির্মানের খুব সামান্য কিছু উদাহরণ! এই বইটি ছিল উনবিংশ শতকের প্রথম দিকে ঢাকার উপরে রচিত আকর গ্রন্থ সমূহের অন্যতম। ঢাকা নগরীর আর্থ-সামাজিক ক্রমাবনতির সাক্ষী হিসাবে বিভিন্ন স্থাপত্যের ধ্বংসাবস্থায় এই সব ছবির তথ্যগত মুল্য এক কথায় অপরিসীম।

ড'য়েলীর এই মহামূল্যবান বইটির একটি মাত্র মূল কপি আছে বাংলাদেশে, এবং সেটা আছে ঢাকা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে। তাও আবার শেষর কিছু পৃষ্ঠা হারিয়ে গেছে।
যাই হোক, এই চমৎকার বইটির অনুবাদ আর ছবি গুলোর কপি নিয়ে দারুন একটা বই প্রকাশ করেছেন এপিপিএল পাবলিশার্স। হায়াৎ মাহমুদের সম্পাদনায় "ঢাকার প্রাচীন নিদর্শন: স্যার চার্লস ড'য়লী' বইটা ইতিহাসপ্রেমীদের অবশ্য সংগ্রহে থাকার মতোন।

ক্রমশ:..........
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪
৯৩টি মন্তব্য ৯৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×