somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তি -ন-ব-ছ-র

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বরাবর,

সামহোয়্যার ইন ব্লগের সকল ব্লগার এবং মডু বৃন্দ

বিষয়: বুঝিয়া লউন


জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে, কিছু সময় পূর্বে আমি সামুতে লগইন করিয়া দেখিলাম, অদ্য আমার এই ব্লগে তিন বছর পূর্তি হইয়ছে!
ইহা দেখিয়া আমার কন্ঠ হইতে 'আল্লাহ গো' ধরনের একটা আর্তচিৎকার আপনাতেই বাহির হইয়া গেলো! সময় এত দ্রুত চলিয়া যায় কিরূপে ইহা ভাবিতে ভাবিতে কিছু কালক্ষেপন করিয়া ভাবিলাম, যাহারা এই তিন বছর ধরিয়া আমার বস্তাপচাঁ সব কপিপেস্ট লেখা (যাহার কোনটিই সৃজনশীল ছিল না, দুই একটা আবার চুরি করাও ছিল) পড়িয়া আমাকে বাহবা দিয়াছেন তাহাদিগকে একটা ধন্যবাদ না দিলেই নয়!
তাই সাহস করিয়া কী-বোর্ড হাতে তুলিয়া লইলাম!

এই তিন বছরে কি পাইলাম ব্লগ হইতে আর কি হারাইয়াছি! ভাবিয়া দেখিলাম, হারাইবার লিস্টি হইতে পাইবার লিস্টিখানিই বৃহৎ!
হারাইয়াছি শুধু মাত্র 'মাইনাস' বাটন নামক আমার অতি প্রিয় মানসিক শান্তি প্রদানকারী যন্ত্রটিকে, মাঝে মাঝে উপযুক্ত লেখায় যাহা প্রয়োগ করিয়া পৈশাচিক আনন্দ লাভ করিতাম (অবশ্য আমার লেখায় কেহ উহা প্রয়োগ করিলে মনে মনে মুন্ডপাত করিতাম তাহার)।

এই একখানি মাইনাস বাটন ছাড়া আর সবই 'পাইবার' জিনিস! অনেকে বলিয়া থাকেন, ব্লগ লিখিয়া কি হয়, শুধুই সময়ক্ষেপন! আমার কাছে কদাপিও তাহা মনে হয় নাই, প্রতিনিয়ত মনের খোরাপ জুটিয়াছে ব্লগের অতি সৌকর্ষময় সব লেখনি হইতে!

আপিস আসিয়া কম্পি খুলিয়া প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার খুলিবার সাথে সাথে ব্লগও খুলিয়া ফেলিতাম! মেইল চেক করিবার আগে নিজের ব্লগের 'অদেখা মন্তব্যের' ঘর খানি আগে দেখিয়া লইতাম, এখনও তাহাই করি! সেই কারণে অবশ্যি কিছু দুষ্ঠু প্রকৃতির ব্লগার মাঝে সাঝে আমার আপিসের বড়কর্তা কে নালিশ করিয়া আমার বেতন কর্তনের হুমকিধামকি দিয়াছে!! আর সম্প্রতি কিছু কিছু অপবাদকারী আমাকে 'মডু' বলিয়া নিন্দা ছড়াইতেছে, এই সকল দুস্কৃতিকারীদের জন্য রইলো তীব্র ধীক্কার।

যাক সে সকল কথা, এই তিন বছরে আমি অবশ্য খুব বেশি লেখা লিখিতে পারি নাই, আমার সর্ব মোট পোস্টের সংখ্যা মাত্র ১১১, ইহা দেখিয়া নিজের অক্ষমতার কথা ভাবিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলি, হায় কবে আমি ৩০০, ৪০০ এর ঘর ছুইতে পারিব?

তবে লেখা লিখিতে না পরিলেও আমি যে এই সময়ে রেজোওয়ানা হইতে রেজ, রেজু, রেজুপি, রেজো খালা, নানী, দাদী ইত্যাদি সম্বোধনে ভূষিত হইয়াছি, ইহাই আমার অনেক বড় পাওনা! এই প্রত্যেকটি ডাক আমার কাছে অতীব প্রিয়।

ব্লগ ভ্রমন এখনও আমার নিকটে সেই প্রথম সময়কার মতোই সুখময়, এখনও কাহারো প্রিয়তে নিজের লেখা দেখিলে আনন্দে একটা লাম্ফ দিতে ইচ্ছা করে (নেহায়েত ভুমিকম্প হইয়া যাইবার ভয়ে দেই না)!

অতএব, ভদ্রমহোদয়গন, এতক্ষন ইনাইয়া বিনাইয়া যাহা বলিতে চাইলাম, উহার সারমর্ম এই যে আমি আরও কিছুকাল আমার গিয়ানী লেখা সমূহ নিয়া আপনাদের চক্ষুকর্ণের আশেপাশে হাউকাউ করিতে চাই! আশাকরি আপনারা আমার সেই সকল লেখা পড়িয়া আমাকে বাধিত করিবেন!





বিনীত নিবেদক,
রেজোওয়ানা
তারিখ:১/০৯/১২ ইং



পুনশ্চ: ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনেক কিছুই লিখিতে চাহিয়াছিলাম, কিন্তু 'কি লেখমু খুইজ্জা পাই না' :|
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০৫
১৫৮টি মন্তব্য ১৫৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×