১৩-১২-২০১১ সন্ধ্যা ৭টা
![:|](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_18.gif)
—-
![:)](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_03.gif)
এখন তো গ্রামেও বাবুই পাখি দেখা যায় না। হারিয়ে যেতে যেতে একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তার যে মিষ্টি একটা ইচ্ছে , আমার মন ভালো করে দিয়েছে অনেক। আমি না দেখতে পেলেও আশা করে থাকব একদিন বাবুই পাখি সত্যি বাসা বানাবে।
—-
![:(](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_15.gif)
---------
১৫/১১/২০১১ সকাল ১০:৪৭
![:-/](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_24.gif)
------
২৮/১২/২০১১ বিকেল ৪:৩০
![:((](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_16.gif)
তাই বিকেলে হাঁটতে বের হই। একাই আশে পাশে হাঁটি। নতুন নতুন রাস্তা চেনা হচ্ছে। কোথায় কি আছে জেনে রাখছি। মজাই লাগে। আজতো সেই পুরনো দিনের মত রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ভেল পুরি খেয়েছি!
![:|](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_18.gif)
মজার ব্যাপার হচ্ছে, শীতকালে যেটা সবসময় দেখা যায়। রাস্তা বা বড় মাঠ, বা খালি জায়গা পেলেই বাচ্চারা দাগ কেটে, নেট লাগিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলা চলে। এত দিন কলোনিতে ছিলাম বলে আমরাও ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ পেয়েছি ছোট বেলায়।
হাঁটতে গিয়ে সেটাই দেখলাম যত ফাকা জায়গা আছে সব পিচ্চিদের দখলে। তখনি চট করে একটা ইচ্ছে হল, যেয়ে কোন এক পিচ্চিকে বলি, "ভাইয়া, আমাকেও দলে নাও। আমিও তোমাদের সাথে একটু খেলব" !
কিন্তু অন্য সব এমনি পাগলাটে ইচ্ছের মত এটাও ভুলে গিয়ে কিছু না বলেই হাঁটা চালিয়ে গেলাম।
![:(](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_15.gif)
--------
ঠিক এক বছর আগে আমি একটা ছোট চাকরী পেয়েছিলাম টাঙ্গাইলে। সেখানে থেকেছি ৪ মাস প্রায়। জীবনে এক বার হলেও ট্রেনে চড়ার শখ, বাসে করে দূরের পথে যাওয়া, কচি ধান গাছ থেকে সোনালী হয়ে বেড়ে উঠা, রাস্তার দুপাশের মাঠের পর মাঠ হলুদ সর্ষে ক্ষেত-এর মত অনেক কিছু দেখার ইচ্ছে আমার পূর্ণ হয়েছিল এ সময়।
শীতের ঠান্ডা বাতাসের সাথে দমকা হাওয়ায় গাছের পাতা ঝরে পরার দৃশ্য তো ভুলে যাবার মত না। আমি শুধু থমকে দাড়িয়ে গিয়েছিলাম কয়েক সেকেন্ডের জন্য। নিজেই অবাক যে, কি দেখলাম এটা! এত সুন্দর দৃশ্য দেখার ভাগ্য আমার ছিল!
——–
৭১ এর কথা এত শুনেছি এত পড়েছি, আমার খুব খুব ইচ্ছে ছিল খুব কাছ থেকে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে দেখব, তার কথা শুনব, তার সেই যুদ্ধের দিন গুলোর ঘটনা শুনব।
টাঙ্গাইলে আমার সেই সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছে যা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে খুব কাছ থেকে দেখছি। শুধু দুর্ভাগ্য যে তার বর্ণনায় সেই দিন গুলোর কথা শুনতে পারিনি। ইনি ছিলেন আমার স্যার, ইনস্টিটিউট এর এ.ডি., নাম "বিমল চন্দ্র সাহা"। এমন সাদা মনের মানুষ আমি কখন দেখিনি। উনার সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। কি না করেছেন তিনি সবার জন্য! এখনো সেই একই রকম ভাবে কাজ করছেন অবিরাম। শুধু এত টুকুই কষ্ট থাকবে আমি সেই কথা গুলো শুনতে পারলাম না। স্যার আমি মন থেকে আপনার জন্য সব সময় দোয়া করি, আপনি ভালো থাকুন, সুন্থ থাকুন, সৃষ্টিকর্তা আপনার সাথে যেন সবসময় থাকেন।
-------
উপরের ছোট লেখাগুলো আমার নানা সময়ের নানা রকম চিন্তা ভাবনা যা আমাকে নাড়া দেয় খুব এবং তার যেগুলো মনে থাকে সেগুলো ধরে রাখার চেষ্টা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৬