* নিজের আকদ করা স্বামীকে কেউ ভাই বলে? বল "ঊগু" !!!
* দ্য ছুজ ইজ ইয়রস, ইউ লাব মি, অর হেট মি- আই ডোন কেয়ার ! (The choose is yours. You love me or hate me- I don't care)
* গুন্ডা : আর এক পা এগুলেই আমি মঈন সাহেবকে এই ফুটন্ত পানিতে ফেলে দিবো !
জলিল : তুই মঈন সাহেবকে ফুটন্ত পানিতে ফেলে দিলে, তারপর আমিও তোকে ঐ ফুটন্ত পানিতে ফেলে দিবো!
এরকম আরও অসংখ্য অমর ডায়লগের জন্ম দেওয়া স্যার অনন্ত জলিলের
Most Welcome 2 মুভিটা বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে দেখলাম আজ।
মুভিটা নিয়ে কথা বলা শুরু করলে এর কোনো শেষ হবেনা। তবে দু একটা কথা না বললে পেটের ভাত হজম হবেনা আজকে। তাই বলছি.....
১. মুভিতে বাংলাদেশের ডঃ হাসান মইন খান ওরফে সোহেল রানা যুগান্তরকারী ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিষ্কার করেন। তবে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তার আলগা গোফের মেকাপটা ঠিকমত করা হয়নি। কথা বলার সময় মুখের বাতাসে তার আলগা গোঁফটা প্রবল গতিতে কেঁপে উঠছিল এবং সেই সাথে আলগা গোঁফের নিচে আসল গোঁফটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।
আমি অবশ্য কিছু মনে করিনি এতে!
জলিল ভাইয়ের এর নতুন ট্যাকনলজির নাম দিয়েছি "ডুয়েল গোঁফ ডুয়েল স্ট্যান্ডবাই!"
২. মুভিতে একটা পর্যায়ে শহরের অনেক লোক মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এই রোগীগুলোকে যেসব ডাক্তার চিকিৎসা করতে আসে, সেসব ডাক্তার, নার্স সবাই ডুবুরিদের মত এক ধরনের মাস্ক পরে আসে। কসম করে বলছি মাইরি, আমার ৩ বছরের মেডিক্যাল লাইফে এমন অদ্ভুদ মাস্ক আমি কখনো কোনো ডাক্তারকে কোনো হাসপাতালে পরতে দেখিনি।
(ওই মাস্ক এর একটা ছবি ফেসবুকে আপলোড দিতে পারলে পরম শান্তি অনুভব করতাম, কিন্তু সেটা পাচ্ছিনা বলে দুঃখিত!)
তবে ঐ সব ডাক্তারদের পিঠে যদি জাস্ট একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগিয়ে দেওয়া যায়, আমি শিওর তারা ১০০% "ডুবুক্তার" (ডুবুরি+ডাক্তার) হয়ে যাবে!
৩. মুভির আরেকটা আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে গুন্ডারা জলিল ভাইকে যতই গুলি করুক, বম্বিং করুক কিংবা মিসাইল ছুড়ুক না কেন, কোনো কিছুই তার গায়ে লাগেনা, সব গাছের গায়ে লেগে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। শুধু তাই না, কোনো এক অজ্ঞাত কারণে পর মুহূর্তেই সেই বিশাল গর্ত গুলো আবার ভরাট হয়ে যায়, আই মিন গাছ অক্ষত থাকে।
ফটোশপের এই অভূতপূর্ব কাজ দেখে আমি সত্যিই অভিভূত এবং বলৎকৃত! :#>
(ভাব প্রকাশ করার কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা!)
যাই হোক, এমন আরও অনেক অসম্ভব কে সম্ভব করা কাহিনী ও সিন নিয়ে মোস্ট ওয়েলকাম-২ মুভিটা তৈরী হয়েছে যেগুলোর কারণ খুঁজতে যাওয়াটা বোকামিরই নামান্তর।
তবে এইটুক গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, মিঃ বিন বা চার্লি চ্যাপলিন যদি জলিল ভাইয়ের মুভিখানা দেখত, তাহলে সিউর তারা বলত,
"হায়, এতোদিন আমরা কি কমেডি করলাম, জলিল বসের কাছে তো আমরা কিছুই না। ওরে, কে আছিস, আমগোরে মাইরালা!"
পরিশেষে বলতে চাই, জলিল ভাই ছিল বলেই আজ বাংলা মুভি দেখার জন্য বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে গেলাম, প্রাণ ভরে হাসতে হাসতে গাল ব্যাথা, চাপা ব্যথা, মাথা ব্যথা আর পেট ব্যাথা ধরায় ফেললাম।
জলিল ভাই, তুমি এগিয়ে যাও। ফান করি আর যাই করি, আমরা Cineplex এ গিয়ে তোমার মুভি দেখেছি, ফিউচারেও দেখব। আর IMDB তে মুভি রেটিং ১০ এ ১০ দিয়ে তোমাকে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য বানায়ে ছাড়ব!!!