এই নিউজটি পড়ে আমি হতবম্ভ, কিংকর্তব্যবিমুড়। একোন হিড়ক রাজার দেশে আমরা বসবাস করছি। বিশটি দিন এই মেয়েটির উপর দিয়ে কি ঝর বয়েগেছে তা সবাই অনুমান করতে পারবেন। না, মজাক উড়ান আমার উদ্দেশ্য নয়। জাস্ট একবার ভাবুনতো “এই মেয়েটির স্থানে আজ আপনার বোন হলে আপনার অনুভূতি কি হত?” আজ এই হিড়ক রাজার দেশে ”মা-বোনদের” বাচার একটিই উপায় আছে যা হল হিজাব। তাই আজ থেকে হিজাব ব্যবহার করুন। নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে অনাকাংখিত বিপদ থেকে রক্ষা করুন।
সম্পুর্ণ নিউজ:
ফরিদপুর: অপহরণের ২০ দিন পর অপহরণকারী ছাত্রলীগ নেতার পরিবারের সঙ্গে আপোষের তিন দিনের মাথায় ফেরত পাওয়া গেল অপহৃত কলেজ ছাত্রী ফাবিহা রহমান মিষ্টিকে।
রবিবার দুপুর ৩টার দিকে ফরিদপুর শহরের লক্ষীপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার এসআই নজরুল ইসলাম নাটকীয়ভাবে তাকে উদ্ধার করেন।
এসআই নজরুল ইসলাম জানান, তিনি বোয়ালমারী থানার মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ফরিদপুর শহরে এসেছিলেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেন।
বিকেলে মিষ্টিকে ফরিদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।
তিনি জানান, এরই মধ্যে মিষ্টির পরিবার আসামি ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুর রহমান লিখনের পরিবারের সঙ্গে আপোষ মীমাংসা করে থানায় লিখিত দিয়েছেন। তবে মিষ্টিকে উদ্ধারের সময় অপহরণ মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা যায়নি।
গত ১১ মে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার কম্পিউটার বিষয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুর রহমান লিখন ও তার সহযোগীরা বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সামনে থেকে মিষ্টিকে অপহরণ করে নিয়ে যান।
ঘটনার পর দিন মিষ্টির মা শেফালী বেগম থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার পর থেকেই মিষ্টির পরিবারকে বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেওয়ার চাপ সৃষ্টি করেন লিখন ও তার পরিবার।
এদিকে পুলিশও মিষ্টিকে উদ্ধারের ব্যাপারে তার পরিবারকে আশানুরুপ কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে না পারায় কোনো কুল-কিনারা না পেয়ে ৩০ মে আসামিপক্ষের সঙ্গে আপোষ করেন মিষ্টির পরিবার।
মিষ্টির পিতা হাবিবুর রহমান জানান, মিষ্টি ফরিদপুর শহর থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপোষ করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না। মেয়ে পাওয়ার স্বার্থে আপোষনামায় কি লেখা হয়েছে তাও জানি না।
লিংক: Click This Link