আমি খেলা পাগল একটা ছেলে। আর টা যদি হয় ফুটবল তাহলেতো কথাই নাই। খেলা থেকে দেখা দুইটাই বেশ হাকডাক দিয়ে করি। কিন্তু যখনই ফুটবলে বাংলাদেশের নাম আসবে তখন চুপ মেরে যেতাম। কারণ বাংলাদেশ ফুটবল নিয়ে তেমন কিছুই জানতাম না।
অবশেষে, নিজেকে বদলানোর কাজ নিলাম।যেখানেই যাব দেশের ফুটবলের জয়গান গাইবো। তারপর এই দেশের ফুটবল নিয়ে অধ্যায়ন শুরু করি। চোখের সামনে ভাসতে থাকে - আজাদ স্পোর্টিং, ওয়ারী, ঢাকা মোহামেডান,ভিক্টোরীয়া,ঢাকা আবাহনী বা হালের মুক্তিযোদ্ধা, শেখ জামাল। চিনতে পারি মাঠ মাতানো কাজী সালাউদ্দিন,সালাম মুরশেদী,নকিব, আলফাজ,মতিউর মুন্না, সাইফুল বারী টিটূ,আমিনুল,জয় বা এখনকার এমিলী,জাহিদ,ওয়াহেদ,মামুনদের।
কিন্ত বাফুফে নামক একটা প্রতিষ্ঠান আর এদেশের সুশীল কিছু মানুষের উচ্চ চিন্তার কারনে ৮০-৯০ দশকের জনপ্রিয় ফুটবল আর এখন নেই। এখন ফুটবল আর ভলিবল এর মধ্যে কোন প্রাথক্য নেই।
কিন্তু আমি হতাশ হলাম না। মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে চাইলাম। গিয়ে দেখি হায়!!!!!!! গুটিকয়েক দর্শক মাঠে। মন ভেঙে গেল। আবার শক্ত হলাম। কিছু তরুন গড়ে তুলল ''সাপোটারস অব বাংলাদেশ ফুটবল''। আমি যোগ দিলাম তাদের সাথে। ভাবতে শুরু করলাম বাংলাদেশ ফুটবল নিয়ে নতুন করে।
২৬ তারিখ বাংলাদেশ বনাম নেপাল এর ম্যাচ। দেখতে যাব ইনশাআল্লাহ্।