somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অভাগী মা

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অভাগী মা
লেখাঃ Sabuj SB (স্বপ্ন চোর)
,
,
,
-মা, মা, মা আমার স্কুলের বেতন দিতে হবে। স্যার খুব বকেছেন গতকাল। (নীল)
-দ্বারা বাবা দেখছি। (রেণু বেগম)
,
মা চোখ মুছতে মুছতে ভিতরের ঘরে চলে গেলেন। তবে সেটা নীল এর চোখ এর আড়ালে। রেণু বেগম ভাবছেন স্কুল এর বেতন কোথা থেকে দিবেন? তার কাছে তো কোনো টাকা নেই। কিন্তু আবার ছেলের স্কুলের বেতন দেওয়াটাও যে জরুরী।
,
কোনো উপায় না পেয়ে রেণু বেগম টিনের কৌটোটা হাতে নিলেন। এই কৌটেতে তার শেষ কিছু সম্বল জমা করে রেখেছেন ছয়মাস ধরে। পুরোনো শাড়ি দুটো ছিড়ে গেছে। তিনি ভেবেছিলেন সামনের মাসে গঞ্জের হাট থেকে দুটো শাড়ি কিনে আনবেন। কিন্তু তা আর হবে না। পুরোনো শাড়ি দুটোই সেলাই করে পড়তে হবে। চোখের জল মুছে টিনের কৌটোয় হাত দেন রেণু বেগম।
,
মুখটা হাসি হাসি করে ছেলের সামনে এসে টাকাগুলো এগিয়ে দেন ছেলের দিকে।
-দেখো মা সামনের মাসে যদি আবার স্যার এর কাছে আমার বেতন নিয়ে কথা শুনতে হয় তাহলে কিন্তু আমি স্কুল যাওয়া ছেড়ে দিবো। এভাবে টাকার জন্য সবার সামনে আমার অপমানিত হতে ভালো লাগে না। এই বলে দিলাম।
-ঠিক আছে বাবা সামনের মাসে ঠিক সময়ে বেতন দিব। তুই ভালো করে পড়াশোনা কর বাবা।
,
নীল মুখ ঘুড়িয়ে চলে গেল।
,
রেণু বেগম প্রতি মাসেই ঠিক সময়ে বেতন দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তিনি পেরে ওঠেন না। আর পারবেন ই বা কি করে? একা মহিলা মানুষ কত টাকাই আর রোজগার করতে পারেন?
,
,
নীল এর বাবা ছিলেন একটা বেসরকারী কোম্পানির গাড়ির ড্রাইভার। ভালোই ছিল ওদের জীবন। তিন জনের পরিবার ওর বাবার একার আয়েই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে চলছিল। কিন্তু কপালে সুখ না সইলে যা হয় আরকি। এক গাড়ি দুর্ঘটনা নীল দের জীবন পাল্টে দেয়। ওর বাবা মারা যায়। নীল আর ওর মা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। টাকা পয়সা নিয়ে সংসার এর অচল অবস্থা বিরাজ করে।
বর্তমানে রেণু বেগম সেলাই মেশিনে সেলাই করে সংসার চালান,নীল কে পড়ান। নীল এর বাবার স্বপ্ন তিনি পূরণ করবেন। তাই কষ্ট করে হলেও নীল কে পড়াচ্ছেন।
,
,
নীল এর মা সারাদিন সেলাই করেন। বাজার থেকে বিভিন্ন কাজ এর অর্ডার আনেন,আর সেই কাজগুলো করে বাজারে পৌছে দেন । এতে যে টাকা তিনি পান তা দিয়েই সংসার চালান।
,
,
নীল এর স্কুল থেকে আসার সময় হয়ে গেছে। অথচ এখনও কিছু রান্না হয় নি। এই ভেবে খারাপ লাগছে নীল এর মা এর। কারণ শেষ একমাস ধরে তিনি নীল কে ঠিক সময়ে খেতে দিতে পারেন না। আর দিলেও তা ভালো কোনো খাবার দিতে পারেন না। প্রতিদিন তিনি বাজার থেকে ভালো কিছু আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু টাকার কারণে আর তা হয়ে ওঠে না। যখন জিনিস আনার জন্য সামনে যান তখন টাকার দিকে তাকিয়ে আবার থমকে যান তিনি।
আজ একবার মাছ এর বাজারে ঢুকবেন মনে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। দোকানে তার সেলাইয়ের কাজ পৌছে দিয়ে টাকা নিয়ে তিনি মাছের বাজারে যান।
,
মাছ কিনবেন এমন সময় তার পুরোনো এক পাওনাদার রমিজ মিয়া এসে হাজির।
-এই যে বড়লোক রেণু বেগম, মাছ কেনা হচ্ছে নাকি?
-জ্বি, না মানে।
-তা খাওয়াতো ঠিক মতোই হচ্ছে, আমার টাকা টা যে দেওয়ার নাম নেই ?
-সামনের মাসে ঠিক দিয়ে দেব।
-সামনের মাস সামনের মাস শুনতে শুনতে তো আর শেষ ই হয় না।
,
এই বলে রেণু বেগম এর হাত থেকে তিনি টাকাগুলো ছো মেরে নিয়ে যান।
অনেকবার অনুনয় - বিনয় করার পর ও তিনি টাকা দিলেন না। রেণু বেগম নীল এর জন্য মাছ কেনার জন্য কয়টা টাকা চাইলেও তিনি দিলেন না। উল্টা ব্যঙ্গ করে বললেন, ইসস নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তার আবার মাছ ?
,
রেণু বেগম শাড়ির আঁচলে মুখ ঢেকে বাড়ি চলে আসেন।
,
,
নীল স্কুল শেষ করে বাড়ি এসে মা এর সাথে ঝগড়া শুরু করে কেন কিছু রাধেনি তার মা তাই নিয়ে?
রেণু বেগম কোনো কথা বলতেছেন না। কিইবা বলবেন? তার যে বলার কিছুই নেই। তার ছেলেটাকে যে এসব তিনি বলে বোধাতেও পারবেন না। কতই বয়স ওর? এসব বোঝার ক্ষমতা কি এখনি ও হয়েছে? ভাত আর মরিচ থালায় দিয়ে রেণু বেগম পাশের ঘরে চলে যায়। কারণ শুধুমাত্র মরিচ ভাত খাওয়া তার ছেলের তিনি দেখতে পারবেন না।
,
অনেক রাত হয়েছে, নীল পড়তেছে আর রেণু বেগম নীল কে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করে দিচ্ছেন। হঠাৎ নীল তার মাকে বলল ,
মা এবারের ঈদে আমাকে একটা জামা কিনে দিও ।
রেণু বেগম সম্মতির সুরে বললেন হুম । কিন্তু তিনি সম্মতি দিলেন কিনা কা ভালো বোঝা গেল না।
,
,
পড়াশোনার চাপ অনেক নীল এর। সামনেই এসএসসি পরীক্ষা তার। কিন্তু বেশী রাত করে পড়তো পারে না সে। কারণ যে তেল তার মা প্রতিদিন আনে তাতে বেশী রাত পর্যন্ত হ্যারিকেন জ্বলে না। এ নিয়েও মা এর সাথে কথা কাটাকাটির শেষ নেই নীল এর।
,
পরীক্ষা বেশ ভালোই দিয়েছিল নীল। রেজাল্ট ও ভালো হয়েছে। এবার কলজে ভর্তির পালা। এছাড়া নীল কে এখন পড়তে হলে শহরে গিয়ে পড়তে হবে। কারণ তাদের গ্রামে ভাল কোনো কলেজ নেই।
তাহলে কলেজে ভর্তি, থাকা এত টাকা কোথা থেকে আসবে? দিনরাত চিন্তায় রেণু বেগম এর শরীর দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
,
রেণু বেগম ভাবলেন রমিজ মিয়া এর কাছে গেলে হয়ত তিনি একটা ব্যবস্থা করে দেবেন । কিন্তু রমিজ মিয়া ও বাধ সাজলেন। তিনি রেণু বেগম কে উল্টা উপদেশ দিতে লাগলেন । বললেন পোলারে এত লেখাপড়া শিখাইয়া হবে ডা কি? এর চাইতে কাজে লাগাও ওরে। নয়তো আমার খামারে কাজে পাঠাইও।
,
কিন্তু রেণু বেগম নিজ ইচ্ছায় অটল। পরে রমিজ মিয়া সুদ এর বিনিময়ে টাকা দিতে রাজি হলেন।
,
রেণু বেগম তাও টাকা আনলেন। নীল শহরে গেল। শুরু হল কলেজ জীবনের লেখাপড়া। আর এদিকে রেণু বেগমের টাকা আয়ের মরণ খাটনি।
,
,
দুই মাস যেতে না যেতে রেণু বেগম প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি আর পারছিলেন না। অবশ্য ততদিনে নীল তার মা এর কষ্ট টা বুঝতে শুরু করে। নীল কোনো একটা কাজ এর সন্ধানে ব্যকুল হয়ে পড়ে।
শেষে কলেজের এক বন্ধুর সহায়তায় সে কয়েকটা টিউশনি যোগাড় করে। মোটামুটি ভালোই চলছিল তখন নীল এর। আর রেণু বেগম ও কিছু টাকা মাসে পাঠাতো।
,
এইভাবে নীল তার কলেজ জীবন টাও বেশ ভালোভাবে পার করে ফেলে।
,
কিন্তু বাধ সাজল আবার সেই রমিজ মিয়া। এবার সে তার টাকার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ওদিকে রেণু বেগম যে টাকা এনেছিল, দু বছরে তা সুদে আসলে পাঁচগুন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা দেওয়া রেণু বেগম এর পক্ষে এক কথায় প্রায় অসম্ভব।
,
,
নীল এর ইচ্ছা হল সে ভার্সিটিতে পড়বে। কিন্তু এত টাকা কোথা থেকে আসবে। কিভাবে সে ভার্সিটি কোচিং করবে? শুরু হল দুর্বিষহ জীবন মেঘ আর রেণু বেগম এর।
,
,
,
এবার রেণু বেগম তার বসত ভিটা বেঁচে দিয়ে রমিজ মিয়া কে তার টাকা দিয়ে দেয় আর বাকি টাকা নীল এর হাতে দিয়ে তাকে ভার্সিটিতে ভর্তি হতে দেয়।
,
কিন্তু সেই অল্পকিছু টাকা দিয়ে কিছু হবে না। নীল কি করবে বুঝে উঠতে পারে না। ওদিকে তাদের বসত ভিটা ও শেষ। নীল তার মাকে শহরে তার কাছে নিয়ে আসে।
,
,
রেণু বেগম আবারো সেই মেশিন হাতে তুলে নেয়। আর শুরু হয় অক্লান্ত পরিশ্রম। নীল ও তার পড়ার ফাকে কয়েকটা টিউশনি করে। শেষমেষ অনেক কষ্ট সহ্য করে নীল ভার্সিটি তে ভর্তি হয়।
,
,
নীল এর লেখাপড়ার মাঝে আর এক বাধা এসে দাঁড়ায় নেশা।
,
,
ভার্সিটি তে পড়ার সুবাদে বড়লোক কিছু বন্ধুদের সাথে তার পরিচয় গড়ে ওঠে। প্রথম তেমন একটা মেলামেশা না করলেও বর্তমানে নীল প্রায়শই তাদের সাথে বিভিন্ন যায়গায় যাতায়ত করে। যে নীল আগে নিয়মিত ক্লাস করত আজ তাকে আর কোনো ক্লাসে পাওয়া যায় না । তার বদলে ভার্সিটির ছাদে কিংবা তাকে পাওয়া যায় কোনো বদ্ধ কামরায়। যেখানে সে তার বন্ধুদের সাথে ড্রাগ নেওয়ায় ব্যস্ত।
প্রথম তার বন্ধুরা তার কাছ থেকে টাকা না চাইলেও বর্তমানে তারা ওকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে।
,
নীল নিয়মিত টাকার জন্য তার মায়ের সাথে ঝগড়া করতে থাকে একসময়।
,
লেখাপড়া না করায় পরীক্ষা দিতে গিয়ে নীল খেয়াল করে সে কিছুই পারে না। পরীক্ষার খাতায় সে একটা বর্ণ ও লিখতে পারেনি। যার বদলৌতে তার বছর টা গ্যাপ যায়।
,
,
রেণু বেগম নীল এর সাথে কথা বলেন না। নীল এর মুখ ও যেন দেখতে পারেন না তিনি। নীল তার ঘরে এলেই তিনি মুখ ঘুরিয়ে অন্য ঘরে চলে যান।
,
নীল সব বুঝতে পারে। সে ভাবে এভাবে সে থাকতে পারবে না। তার মা তার জন্য অনেক কিছু করেছেন। মাকে সে এভাবে কষ্ট দিতে পারবে না। তাকে তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।
,
,
কিছুদিনের মধ্যে নীল এর মাঝে আবারও এক ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করলেন রেণু বেগম। তিনি দেখলেন নীল এতটুকু সময় ও বসে থাকে না। ভার্সিটি যায়, লেখাপড়া করে আবার সময় পেলে টিউশনি করায়।
,
তবে নীল জানে তার এতটুকু পরিবর্তিত হতে কতটা কষ্ট হয়েছে? কারণ কোনো জিনিস এর উপর একবার নেশা হয়ে গেলে আর সেটা সহজে যায় না। নীল এর ও ড্রাগ এর উপর খুব পরিমাণ নেশা হয়েগিয়েছিল। যেটা কাটিয়ে উঠতে নীল এর অনেক কষ্ট হয়।
,
,
দুই বছর পর ...............
,
নীল এর মা একদিন রাতে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলেন নীল বিরাট একজন অফিসার হয়েছে। কোট-টাই পড়ে নীল গাড়িতে চরে অফিসে যায়। আর তারা যে বাড়িটাতে থাকে সেটা অনেক বড়।
,
সকাল বেলা নীল কে নাস্তা দেওয়ার সময় রেণু বেগম নীল কে এসব বলায় নীল বলল তুমি যে কি বল না মা? রেণু বেগম বললেন দেখিস আমার এই স্বপ্ন সত্যি হবে। তুই একদিন অনেক বড় হবি। তোর ছেলেমেয়েদের তোর মতো কষ্ট করে বড় হতে হবে না। তাদের তুই সুখে রাখতে পারবি। নীল লজ্জা পেয়ে উঠে চলে গেল।
,
,
কিছুদিনের মাঝে নীল এর পরীক্ষা। এটাই শেষ বর্ষ নীল এর। বেশী হলে ছয় মাস বাকি। কিন্তু নীল চিন্তায় পরে গেল। ফরম ফিলাপ করকে অনেক টাকার প্রয়োজন। এত টাকা কোথায় পাবে সে? মা কে বলেও যে কোনো লাভ নেই তা নীল ভালো করে জানে। কারণ মা এখন আর উপার্জন করতে পারেন না। এতদিনে সে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ডাক্তার তাকে সম্পূর্ণ বিছানায় থাকতে বলেছেন। নীল এর রাতের ঘুম বন্ধ হয়ে যায় টাকার কথা ভেবে। কোনো উপায় খুঁজে পায় না সে।
,
,
হঠাৎ একদিন রেণু বেগম নীল কে তার কামরায় ডাকে ............
-মা
-নীল এসেছিস, বোস বাবা।
-মা কিছু বলবে?
-হ্যাঁ। তোর না পড়াশোনার শেষ বছর এটা?
-হ্যাঁ মা।
-তোর পরীক্ষা কবে?
-এইতো মা সামনে?
-পরীক্ষার ফি দিতে হবে না? ( তিনি ফরম ফিলাপ ব্যাপার টা বুঝতেন না)
-হবে মা।
,
রেণু বেগম বিছানা ছেড়ে নামলেন। সেই পুরোনো টিন এর কৌটোটা আবার ও রেণু বেগম হাতে নিলেন। অনেকগুলো টাকা বের করে নীল এর হাতে দিয়ে তিনি বললেন নে এই টাকা দিয়ে পরীক্ষার ফি দিস।
,
নীল বলল, মা তুমি এত টাকা কোথায় পেলে?
,
আমি তোর জন্য রেখেছিলাম জমিয়ে। তোর পড়াশোনার জন্য লাগবে ভেবে।
,
নীল ওর মাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে।
,
কিরে পাগল কাঁদছিস কেন?
,
নীল কোনো জবাব দেয় না ।
,
,
,
নীল ভাল ফলাফল নিয়ে ভার্সিটি জীবন শেষ করে। কিন্তু নীল এর মা রেণু বেগম হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন। ক্রমাগত তার শরীর খারাপ হতে থাকে।
,
,
মাসখানেক পর একদিন ... ... নীল দৌড়াতে দৌড়াতে হাসপাতালে এসে ঢুকে। ওর মা যেখানে ছিল সেখানে গিয়ে দেখে ডাক্তারদের ভির। ও কিছু বুঝতে পারে না। সবাইকে সরিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। ওর মা এর পাশে যাওয়ার পরই সবাই বের হয়ে যায় রুম থেকে।
,
,
নীল ওর মা কে ডাকছে, কিন্তু তিনি কোনো সাড়া দিচ্ছেন না। নীল বলতে লাগল জানো মা আমি বড় চাকুরি পেয়েছি। আর কোনো কষ্ট হবে না আমাদের। বাবা আর তোমার সব স্বপ্ন পূরণ করব আমি। কোনো উত্তর নেই রেণু বেগম এর। নীল ওর মাকে হাত ধরে ডাক দিল। কিন্তু তিনি তাও সাড়া দিলেন না। হাত ধরে নীল স্তব্ধ। কোনো কথা বলতেছে না। শ্বাস ও যেন নিতে পারছে না।
,
,
আজ এক বছর পর নীল ওর মা এর কবর এর পাশে বসে চিৎকার করে কাঁদছে আর বলতেছে। দেখো মা তোমার সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি বড় অফিসার হয়েছি। কোট-টাই পরে গাড়িতে চরে অফিসে যাই। আমার বড় বাড়ি আছে মা। মা তুমি কেন আমার সুখের সময় নেই? কেন তুমি আমার জন্য সারাজীবন শুধু কষ্ট করে গেলা? মা তুমি ফিরে এসো।
,
,
,
নীল এর মা আর কোনোদিন ফিরে আসবেন না। তিনি যে না ফেরার দেশে পারি জমিয়েছেন। সত্যি নীল এর মা অনেক অভাগী। তিনি ছেলের সুখ দেখে যেতে পারলেন না ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্টে যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×