খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার যিকির বা মর্যাদাকে সমুন্নত করেছি।’
উম্মতের জন্য ফরয হলো, তাদের যিনি নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে জানা।
অতঃপর উনার সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা পোষণ করে উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করে উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি হাছিল করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার যিকির বা মর্যাদাকে সমুন্নত করেছি।’ উম্মতের জন্য ফরয হলো, তাদের যিনি নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে জানা।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এক স্থানে বসে (অতীতের হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে) আলোচনা করছিলেন। এ সময় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের নিকটবর্তী স্থানে পৌঁছে (আড়াল থেকে) উনাদের কথাবার্তা-আলোচনাগুলি শুনলেন। উনাদের একজন বললেন, নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আরেকজন বললেন, হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এমন ছিলেন যে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। অপর একজন বললেন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন কালীমাতুল্লাহ ও রূহুল্লাহ এবং আরেকজন বললেন, হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছফীউল্লাহ বানিয়েছেন অর্থাৎ উনাকে কুদরতী হাত মুবারক-এ সৃষ্টি করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সময় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে বললেন: আমি আপনাদের কথাবার্তা-আলোচনা শুনেছি এবং আপনারা যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তাও আমি জেনেছি। নিশ্চয়ই হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি যে খলীলুল্লাহ ছিলেন ইহা সত্যই। হযরত মূসা কালীমাতুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যে সরাসরি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা বলেছেন ইহাও সত্য কথা। হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি যে রূহুল্লাহ ও কালীমাতুল্লাহ ছিলেন ইহাও সত্য। এবং হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত ছিলেন অর্থাৎ উনাকে কুদরতী হাত মুবারক-এ সৃষ্টি করেছেন ইহাও সম্পূর্ণ সত্য।
তবে সাবধান! আমার সম্পর্কে আপনারা জেনে রাখুন, আমি হলাম খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, এতে আমার কোনো ফখর নেই। ক্বিয়ামতের দিন প্রশংসার পতাকা আমার হাত মুবারক-এ থাকবে আর উক্ত পতাকার নিচে হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনিসহ অন্যান্য সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা অবস্থান করবেন, এতেও আমার কোনো ফখর নেই। ক্বিয়ামতের দিন আমিই হবো সর্বপ্রথম শাফায়াতকারী এবং সর্বপ্রথম আমার সুপারিশই কবুল করা হবে। এতে আমার কোনো ফখর নেই। এছাড়া আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজায় কড়া নাড়া দিবো, স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার জন্য তা খুলে দিবেন এবং আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর আমার সাথে থাকবেন কতিপয় আল্লাহওয়ালা মু’মিন-মুসলমান। এতে আমার কোনো ফখর নেই। সর্বোপরি আমিই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের চেয়ে সম্মানিত, এতেও আমার কোনো ফখর নেই।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অপর এক রিওয়াতে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “ক্বিয়ামতের দিন আমিই হবো সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্বায়িদ (পরিচালক), এতেও আমার কোনো ফখর নেই এবং আমিই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের আগমনের সিলসিলা সমাপ্তকারী, এতেও আমার কোনো ফখর নেই।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- উম্মতের জন্য ফরয হলো, তাদের যিনি নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে জানা। অতঃপর উনার সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা পোষণ করে উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করে উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি হাছিল করা। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘যদি তারা (বান্দা-বান্দি ও উম্মত) মু’মিন হয়ে থাকে, তাহলে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো, তারা যেনো খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট করে। উনারাই সন্তুষ্টি পাওয়ার সমাধিক হকদার।’ (সূরা তওবা : ৬২)
-০-

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




