somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুরবানী না করে কুরবানীর পশু কৃষকদের মাঝে দান করে দিলে অথবা বন্যা, মহামাড়ি ও ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত বা দুঃস্থদেরকে কুরবানীর অর্থ দিলে কুরবানী তো হবেই না, বরং ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমাদেরকে যা আদেশ করা হয়েছে তার উপর ইস্তিক্বামত থাক।’
সামর্থ্যবান প্রত্যেকের পক্ষ থেকেই কুরবানী করতে হবে এটা শরীয়তের নির্দেশ।
কুরবানী না করে কুরবানীর পশু কৃষকদের মাঝে দান করে দিলে অথবা বন্যা, মহামাড়ি ও ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত বা দুঃস্থদেরকে কুরবানীর অর্থ দিলে কুরবানী তো হবেই না, বরং ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে।
পাশাপাশি শরীয়তের বিধান পরিবর্তন করার কারণে কাট্টা কুফরী হবে।
কাজেই এরূপ কুফরী বক্তব্য ও আমল থেকে বিরত থাকা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, মুহ্ইস সুন্নাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, টর্নেডো ইত্যাদি এদেশের ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা এবং তাদের দ্বারা বিভ্রান্ত শাসক ও সাধারণ মানুষের হাতের কামাই। কারণ, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যমীনে পানিতে ফিতনা-ফাসাদ, আযাব-গযব, বিপদাপদ এসে থাকে মানুষের (বদ) আমলের কারণে। যেন তারা তাদের (বদ) আমলের স্বাদ গ্রহণ করে। আশা করা যায় তারা ফিরে আসবে।” (সূরা রূম)

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কিছু ধর্মব্যবসায়ী ও তাদের দ্বারা বিভ্রান্ত শাসক এবং সাধারণ মানুষ আর ইহুদী পোষ্য কিছু সাংবাদিক ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবী অর্থনীতিবিদ গযব থেকে পানাহ চাওয়ার পরিবর্তে উল্টো ‘ইসলামকে’ নিয়ে খেলায় মেতে উঠে। তারা কুরবানীর বিরুদ্ধে বলে। কুরবানী করার পরিবর্তে তারা মনগড়া পরামর্শ দিচ্ছে। এদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “অতঃপর আমি তাদেরকে অভাব, অনটন ও রোগব্যাধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম। যাতে তারা আকুতি মিনতি করে। অতঃপর তাদের কাছে যখন আযাব-গযব আসলো তখন তারা আকুতি মিনতি করলো না। মূলতঃ তাদের অন্তর কঠোর হয়ে গিয়েছিলো এবং শয়তান তাদের কাছে আকর্ষণীয় করে দেখিয়েছিলো যে কাজ তারা করেছিলো।” (সূরা আনয়াম)

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কুরআন শরীফ-এ মহান খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামতসমূহ পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য একমাত্র দ্বীনরূপে মনোনীত করলাম।” এ আয়াত শরীফ দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, ইসলামের হুকুম-আহকাম ক্বিয়ামত পর্যন্ত নির্ধারিত ও অপরিবর্তিত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামায আদায় করুন এবং কুরবানী করুন।’ (সূরা কাওছার : আয়াত শরীফ ২)

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ ফরমান, “প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি যবেহ্র বিধান দিয়েছিলাম যা তারা অনুসরণ করে। সুতরাং আপনার সাথে এ ব্যাপারে বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া তাদের উচিত নয়।” (সূরা হজ্জ)

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইসলাম বিরোধী চিহ্নিত মহলটি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কুরবানী না করার বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছে। তারা আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কার্যতঃ ‘আখিরী রসূল’ হিসেবে অস্বীকার করেছে এবং প্রকারান্তরে নিজেদেরকেই রসূল হিসেবে সাব্যস্ত করে কুরবানী সংক্রান্ত নতুন শরীয়ত জারি করছে। নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক!

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাকাত এবং কুরবানী খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশ। এ নির্দেশ পরিবর্তনের ক্ষমতা কোনো জ্বিন-ইনসানের নেই। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তবে কি তোমরা ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো নিয়মনীতি তালাশ কর। যে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো নিয়মনীতি তালাশ করে তার থেকে কখনই তা গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাকাত ও কুরবানীর পরিবর্তে অন্য কোন নেক কাজ যে করা যাবে না এমনকি প্রতিকূল অবস্থায়ও যে তা বন্ধ রাখা যাবে না হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা তার দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। আফজালুন্ নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম তনি বলেছেন, সাবধান! যাকাতের একটি রশিও দিতে যে অস্বীকার করবে আমি তার বিরুদ্ধে জিহাদ অব্যাহত রাখব। তদ্রুপ কুরবানীকে যারা অস্বীকার করবে তারাও মুসলমান হিসেবে থাকতে পারবে না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে কুরবানী করবে ইসলামের প্রতি অটল বিশ্বাসের কারণে সে আরো বেশি মুসলিম দরদী হবে তথা দুর্গতদের আরো বেশি সাহায্য করবে। আর যে কুরবানী না করে সে অর্থ দুর্গতদের দিতে চায় তারা প্রকৃতপক্ষে লোক দেখানো আমলকারী বা রিয়াকার। তাদের কাজ মনগড়া, শরীয়তবিরোধী। অর্থাৎ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কুফরী আমলের অন্তর্ভুক্ত। যা জাহান্নামী হওয়ার কারণও বটে। কারণ তারা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে শিরককারী।

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সামর্থ্যবান প্রত্যেকের পক্ষ থেকেই কুরবানী করতে হবে এটা শরীয়তের নির্দেশ। কুরবানী না করে কুরবানীর পশু কৃষকদের মাঝে দান করে দিলে অথবা বন্যা, মহামাড়ি ও ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত বা দুঃস্থদেরকে কুরবানীর অর্থ দিলে কুরবানী তো হবেই না, বরং ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে। পাশাপাশি শরীয়তের বিধান পরিবর্তন করার কারণে কাট্টা কুফরী হবে। কাজেই এরূপ কুফরী বক্তব্য ও আমল থেকে বিরত থাকা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। অন্যথায় জাহান্নামী হওয়া ব্যতীত কোনো ব্যবস্থা থাকবে না।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×