যারা শাহবাগের আন্দোলনে ভীত-সন্ত্রস্ত তারা মনে রাখবেন সত্যের লড়াইয়ে এমন পরিস্থিতি কোনও নতুন ব্যাপার নয়। এমন এবং এর চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মহান রাসূলের (স
সে সময়ে ঈমানদাররা চরমভাবে পরীক্ষিত এবং তারা মারাত্মকভাবে কম্পিত হয়ে পড়েছিল। আহযাব-১১
সে সময় মোনাফেক এবং যাদের মনে সন্দেহের ব্যাধি ছিলো তারা বলতে লাগলো, আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুল আমাদের সাথে যে ওয়াদা করেছেন তা প্রতারণা বৈ কিছউ ছিল না। আহযাব-১২
বিশেষকরে যখন তাদের একটি দল এসে বললো হে ইয়াসরেবের অধিবাসীরা, আজ শত্রুবাহিনীর সামনে তোমাদের দাঁড়াবার মতো কোনো জায়গা নেই, অতএব তোমরা ফিরে যাও, এমনকি তাদের একাংশ তোমার কাছে এই বলে অনুমতিও চাইছিলো যে আমাদের বাড়িঘরগুলো সবই অরক্ষিত রয়েছে, তাই আমরা ফিরে যেতে চাই। অথচ আল্রাহ তায়ালা জানেন তা অরক্ষিত ছিলো না। আসলে তারা ময়দান থেকে শুধু পালাতে চেয়েছিল। আহযাব-১৩
যদি শত্রু দল নগরীরর চারপাশ থেকে ওদের ভেতর প্রবেশ করতো এবং যারা মোনাফেক তাদের যদি বিদ্রোহের ফেতনা খাড়া করার জন্য বলতো তবে তারা নির্দ্বিধায় তাও মেনে নিতো, এ ব্যাপারে তারা মোটেও বিলম্ব করতো না।-১৪
যারা ঈমানদার তারা আজকের পরিস্থিতিতে বিবেচনা দেখবেন কতটুকু পার্থক্য সেই সময়ের সাথে বর্তমান পরিস্থিতির। আজ টিভি টকশো, শাহবাগের আন্দোলনকারীরা, সরকার চারিদিক থেকে যেভাবে ঘিরে ধরেছে- একদিকে পুলিশ মারছে প্রকাশ্যে গুলি ঠেকিয়ে, কখনও পায়ে, কখনও মাথায় কখনও চোখ তুলে নিয়ে হত্যা করছে পৈশাচিক কায়দায়। অন্যদিকে মিডিয়াগুলো বলছে পুলিশ নাকি ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছে! আবার যেখানে বিচারিক আদালত একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীও হাজির করতে পারেনি যে লোকের বিরুদ্ধে তাকে দিচ্ছে যাবজ্জীবন সাজা, অথচ যেই বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের খুনীদের সারা দেশবাসী দেখেছে স্পষ্ট চোখে সেই খুনীদের ফাঁসি হচ্ছে না, ন্যুনতম সাজা হচ্ছে না। আবার যে রাষ্ট্র দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে জনগণের প্রাণের দাবি পদ্মাসেতুকে বলি দেয়, তারও বিরুদ্ধে সোচ্চার নয় কারও কণ্ঠ। সোচ্চার নয় যেই ব্যাংক সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জনগণের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে তার বিরুদ্ধে, সোচ্চার নয় সেই মিডিয়ার বিরুদ্ধে যার দরবেশ মালিক শেয়ারবাজারের টাকা চুরি করে পথের ফকির বানিয়েছে তেত্রিশ লাখ বিনিয়োগকারীকে। অথচ ওরা বন্ধ করতে চায় ইসলামী ব্যাংক কে যার জন্ম হয়েছে মানুষকে সূদভিত্তিক অর্তনৈতিক ব্যবস্থা থেকে মুক্তি দিতে, ওরা বন্ধ করতে চায় ফোকাস রেটিনা’র মতো কোচিং সেন্টার কে যারা এ দেশের যুব সমাজকে মেধাবী হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে, ওরা বন্ধ করতে চায় আমারদেশ, নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশনকে যারা সত্যকে তুলে ধরে নির্মোহ নিরপেক্ষভাবে। হে নতুন প্রজন্ম এসব কীসের লক্ষণ? এর অর্থ লড়াই। এই লড়াই সত্য ও মিথ্যার লড়াই। অতএব তোমাকে বেছে নিতে হবে তোমার পথ। হয় সত্যের পক্ষে নয়েো বাতিলের পক্ষে। নিরপেক্ষ বলে আর কোনও দল নেই। যদি থাকে সেটি মুনাফেকদের দল। আল্লাহপাক বলছেন....এমনকি তাদের একাংশ তোমার কাছে এই বলে অনুমতিও চাইছিলো যে আমাদের বাড়িঘরগুলো সবই অরক্ষিত রয়েছে, তাই আমরা ফিরে যেতে চাই। অথচ আল্লাহ তায়ালা জানেন তা অরক্ষিত ছিলো না। আসলে তারা ময়দান থেকে শুধু পালাতে চেয়েছিল। সূরা আহযাব-১৩
সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ে নিরপেক্ষ থাকার কোনও পথ নেই। কেউ বলবে আমিতো চাকরি করি, চাকরি রক্ষাই ঈমানী দায়িত্ব, কেউ বলবে আমিতো সাংবাদিক আমার দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা, কেউ বলবেন আমিতো অসুস্থ আমার যুদ্ধে না গেলেও চলবে, কেউ বলবে আমি শুধু দাওয়াতী কাজ করবো, মানুষকে ডেকে ডেকে যুদ্ধে পাঠাবো (নিজে যাবো না), কেউ বলবে সবাই একসঙ্গে মরে লাভ কী? তাহলে কারা আগামীতে দেশ চালাবে? এরা সবাই মুনাফেকীর লক্ষণাক্রান্ত। এ যুদ্ধে যার যা সামর্থ্য সেই অনুযায়ী এবং একজন ইমাম বা নেতার নির্দেশ অনুযায়ী যাকে যেই দায়িত্ব দেয়া হবে তাকে তা-ই পালন করতে হবে। ময়দান থেকে পালাবার পথ নেই। সেই ঘোষণা স্বয়ং আল্লাহর।
হে নবী এদের তুমি বলো, যদি তোমরা মৃত্যু থেকে পালাতে চাও অথবা কেউ তোমাদের হত্যা করবে এ কারণে পালাতে চাও তাহলে এই পালানো তোমাদের কোনও কাজে আসবে না। যদি কোনওরকম পালিয়ে যতেও পারো তাহলেও তা সামান্য কয়দিনের উপকারই ভোগ করতে দেয়া হবে মাত্র। সূরা আহযাব-১৬
এখন এর আলোকে কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে সত্যের সৈনিকদের। ইসলামী মুক্তিযোদ্ধাদের। প্রথম কাজ একজন আমির বা নেতা নির্বাচন। কে হবেন সেই অগ্রসেনানী? কে নেতৃত্ব দেবেন এই আদর্শ প্রজন্মকে? নেতৃত্ব দেবেন এমন ব্যক্তি যিনি ইসলামের প্রত্যক্ষ অনুসারী, যিনি মনে করেন আল্লাহর নির্দেশিত এবং রাসুলের (স

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




