
প্রকৃতির সৌন্দর্যের সাথে আমার প্রেম । বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়াই, পাখি দেখি, ফুল দেখি, আর মাঝে মাঝে ছবি তোলার চেষ্টা করি। ইচ্ছে করে পাহাড়ে হেলান দিয়ে নীল আকাশ দেখি, ইচ্ছে করে ঘাস ফুলদের সাথে চুপি চুপি কথা বলি, ইচ্ছে করে সাগর, নদী খাল-বিলে সাতার কাটি রাজহংসের মতো। ইচ্ছে করে বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি মাটির সুবাস নেই।
ইচ্ছে গুলো কতটা সফল হবে জানিনা, তবে সংসারের যাতাকল থেকে সুযোগ পেলেই আমি হারিয়ে যাই আমার ইচ্ছে ভুবনে । সেই সাথে আমার দেখা সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য তুলে রাখি অঢেল ছবি, আর সেই ছবিগুলো নিয়েই আমার বনে বাঁদাড়ে সিরিজটা শুরু করলাম, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

(২) বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসর ঘর। বগুড়া শহর থেকে ১০কিঃমিঃ উত্তরে এবং মহাস্থান গড় থেকে ২কিঃ মিঃ দক্ষিণে গোকুল গ্রামের দক্ষিন পশ্চিম প্রান্তে যে স্মৃতি স্তপটি যুগযুগ ধরে অতীতের অসংখ্য ঘটনাবলীর নিদর্শন বুকে জড়িয়ে শির উঁচু করে দাড়িয়ে আছে ইহাই বেহুলার বাসর ঘর নামে পরিচিত। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মতে আনুমানিক খৃস্টাব্দ সপ্তম শতাব্দি থেকে ১২০০ শতাব্দির মধ্যে এটা নির্মিত। ইস্টক নির্মিত এ স্ত্তপটি পূর্ব পশ্চিমে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ এবং ত্রিকোনবিশিষ্ট ১৭২টি কক্ষ, অকল্পনীয় এ কক্ষগুলোর অসমতা এবং এলোমেলো বুনিয়াদ এর বোধগম্যতাকে আরো দুর্বোধ করে তুলেছে। বেহুলার কাহিনী সেনযুগের অনেকপূর্বেকার ঘটনা। বেহুলার বাসরঘর একটি অকল্পনীয় মনুমেন্ট। বর্তমান গবেষকদের মতে এ মনুমেন্ট ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খৃস্টাব্দে দেবপাল নির্মিত একটি বৈদ্যমঠ। এই স্ত্তপটিই বাসর ঘর নয়। এই স্ত্তপটির পশ্চিমার্ধে আছে বাসর ঘরের প্রবাদ স্মৃতিচিহ্ন। পূর্বার্ধে রয়েছে ২৪ কোন বিশিষ্ট চৌবাচ্চা সদৃশ একটি বাথরুম।উক্ত বাথরুমের মধ্যে ছিল ৮ফুট গভীর একটি কুপ। কুপটিতে বেহুলা লক্ষিন্দর মধুনিশি যাপনের পর কুপে রক্ষিত জলে স্নান করে তাতে শুদ্ধতা লাভকরতে সক্ষম হতেন বলে শোনা যায়।

(৩) দুবলার চরের শুটকি পল্লী, সুন্দর বন থেকে তোলা ছবি।

(৪) পিঠাওয়ালী, টঙ্গী স্টেশন থেকে তোলা ছবি।

(৫) মাছ, শহরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে টেকনাফ সৈকতের মাছগুলোকে।

(৬) সজনে ফুল, আমার বাড়ি থেকে তোলা ছবি।

(৭) বেতাব ভ্যালী, কাশ্মীর থেকে তোলা ছবি।

(৮) সেন্টমার্টিন থেকে তোলা ছবি এটা।

(৯) এই ছবিটা তুলেছি বগুড়ার মাহাস্থান জাদুঘর থেকে।

(১০) সাজেক ভ্যালী, রাঙামাটি থেকে তোলা ছবি।

(১১) সামনে পাহাড়, আবার দেখা যাচ্ছে দুটি নাও, ভাবছেন গাজার নাও!

(১২) আদিবাসি দোকানী, রাঙামাটি থেকে তোলা ছবি।

(১৩) নাম না জানা পাহাড়ি ফুল, ভাটিয়ারি লেকের পাড় থেকে তোলা ছবি। তবে কেউ একজন এই ফুলের নাম দিয়েছে "সিদুরে কলমী" নামটা আমার পছন্দ হয়েছে।

(১৪)পশুর নদী, সুন্দর বনের হাড়বাড়িয়া থেকে তোলা ছবি।

(১৫) শীতে জমে থাকা বুলবুলির ছবিটা তুলেছি আমার নিজ বাড়ি থেকে।

(১৬) মুলা ফুল, মাধবদী থানার নুরালাপুর গ্রাম থেকে তোলা ছবি।

(১৭) নাম না জানা এই পাখির ছবিটি তুলেছে চট্টগ্রামের কাট্টলী বীচ থেকে।

(১৮) ঈসাখার রাজধানী সোনারগাঁ।

(১৯) সোনারগাঁ লোকশিল্প মেলার একটা ষ্টল।

(২০) মারমা তরুণীদের এই চমৎকার সাজ সাংগ্রাই উৎসবের জন্য, খাগড়াছড়ি থেকে তোলা ছবি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




