সেই কখন থেকে মোবাইলে এলার্ম বাজছে।যতোবারই বেজেছে ,বালিশের নিচে মাথা চেপে রাখা মানুষটি ততোবারই আলগোছে সেটি অফ করে দিয়েছে। শেষে যখন দরজায় জোরে ধাক্কা দেয়ার শব্দ হলো এবং একজন মহিলার কন্ঠস্বর শোনা গেলো,বালিশ চাপা মানুষটা তখন সামান্য সচকিত হলো।
‘অয়ন...,এই অয়ন,আর কতো ঘুমাবি?আজকেও কিন্তু বাস মিস হয়ে যাবে...।অয়ন,বাবা ওঠ...!’
‘হোক,মিস হোক,আজ যাবো না ভার্সিটিতে...!’ ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলে উঠে অয়ন নামের মানুষটি।
‘সে কি!কাল না বললি,আজ তোর পরীক্ষা !’
‘পরীক্ষা!ও গড !আমি তো একদম ভুলে গেছি।‘
বালিশ ছুঁড়ে ফেলে ধপ করে উঠে বসে অয়ন।চিলের মতো ছুঁ মেরে মোবাইল টা তুলে দেখে সাতটা পঞ্চাশ বাজে।তাদের বাসার কাছের মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস আসে আটটা পাঁচে।বাসা থেকে মোড়ে যেতেই লাগে সাত- আট মিনিট। আজ সাড়ে আট টায় পরীক্ষা।রাতে ঘুমাতে দেরী হওয়ায় আজ এই অবস্থা।অবশ্য,এমনিতেই সকালের বাস ধরা ঘুম কাতুরে অয়নের জন্য বেশ কষ্টের।
ঝট করে বাথরুমে গেলো অয়ন।
বেসিনে মুখে পানির ঝাপ্টা দিতেই আয়নায় চোখ যায় অয়নের।এক সপ্তাহের শেভ না করা দাঁড়ি মুখ জুড়ে রয়েছে।প্রাকটিক্যাল প্রীক্ষার পরই মৌখিক পরীক্ষা হবে।এখন এই অল্প সময়ে কিভাবে শেভ করবে সে!দাড়ি রাখা ভিন্ন কথা,কিন্তু শেভ না করে এই খোঁচা খোঁচা দাড়ি নিয়ে গেলে ভাইভা বোর্ড থেকেই বের করে দেবে !
ঝটপট মুখে শেভিং জেল মেখে রেজর গালে চাপতেই রুমের দরজায় শোনা গেলো জোরে ধাক্কার শব্দ,হতচকিত অয়নের হাত কেঁপে ক্যাচ করে কেটে গেলো গাল!
‘অয়ন,বাবা উঠেছিস ঘুম থেকে...?’ মা’র কন্ঠ !
‘উফ,মা,উঠেছি তো!’ জবাব দেয় অয়ন।
রক্তে গাল লাল হয়ে গেছে।সাবধানে শেভ শেষ করে গালে সেভলন লাগায় সে।ভীষণ জালা করছে গালে।
কিন্তু রক্ত পড়া থামছে না।বাসায় কোনো প্লাস্টারও নেই।তাড়াতাড়ি বাথরুম থেকে বের হয়ে গালে তুলা চেপে ধরে কাপড় বদলায় অয়ন।জুতা-মোজা পড়ে প্রবেশ পত্র আর কলম নিয়ে ছুটে।
‘এই নাস্তা খাবি না?...অয়ন...’ মা ডাকলেন।
জবাব দেয়ার সময় নেই অয়নের।মাত্র পাঁচ মিনিট সময় আছে।দৌঁড়াতে লাগলো সে।
মোড়ের কাছে আসতেই দেখতে পেলো,বাস ধীরে ধীরে এগুচ্ছে। দৌঁড়ের গতি বাড়ালো অয়ন।বাসের গতিও বাড়ছে।
‘সামি!সামি!’চেঁচিয়ে বাসের পেছনের সিটে বসে থাকা সামির দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাইল সে।কিন্তু গাধাটা কানে হেডফোন দিয়ে চোখ বন্ধ করে গান শোনছে।
অয়ন বাসের পেছনে পেছনে দৌঁড়াতে লাগলো।সামনের মোড়ে গিয়ে একটুক্ষণ অপেক্ষা করবে বাস।আজ বাস মিস করলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।তাড়াহুড়ো করে মানিব্যাগ ফেলে এসেছে।মোবাইলও নিশ্চই বিছানায় পড়ে আছে।নির্ঘাত পৌনে এক ঘন্টা শেষ হয়ে যাবে।এখান থেকে রিকশায় ভার্সিটি যেতে পৌনে একঘন্টা লাগে।এক ঘন্টার পরীক্ষায় যদি পৌনে একঘন্টা শেষ হয়ে যায়,তবে তো পরীক্ষা ই মিস।
কিন্তু আজ তার কপালটাই খারাপ।সামনের মোড়ে একটা শিক্ষার্থীও নেই।তাই বাস আর থামলো না।গতি বাড়িয়ে চলে গেলো। হতাশায় চেঁচিয়ে কাদতে ইচ্ছা করছে অয়নের।
দৌঁড়ানোর কারণে খুব জোরে হাঁপাচ্ছে সে।দরদর করে ঘাম পড়ছে কপাল বেয়ে।গালের রক্তও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি ।নিজেকে খুব অসহায় লাগছে তার। একটা পয়সাও নেই সাথে।পরীক্ষা দিতে হলে এখন আবার ছুটে বাসায় যেতে হবে,টাকা এনে সি.এন.জি. বা ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে।আচ্ছা,একটা সিএনজি ভাড়া করলেই তো হয়ে যায়,ক্যাম্পাসে গিয়ে কারো কাছ থেকে ধার নিয়ে ভাড়া দিয়ে দেবে।
দর কষাকষি না করেই একটা সিএনজি ঠিক করে ফেলে অয়ন।এমনিতে অয়ন ভাড়া ঠিক না করে রিকশাতেও চড়ে না।কিন্তু,এখন দর কষাকষির সময় না।মিনিট পনেরো চলার পর বিকট একটা শব্দ হয়।সিএন জি ডান দিকে খানিকটা হেলে পড়ে। পরক্ষণেই গতি কমিয়ে গাড়ি থামিয়ে ফেলে ড্রাইভার।
‘ভাই,চাকা পাংচার হয়ে গেছে।আর যাবে না।আপনি আরেকটা সি এন জি তে করে চলে যান।’
ভীষণ মেজেজ টা খারাপ হয় অয়নের।এখন লোকটাকে ভাড়া দেবে কিভাবে!
‘ভাই,আপনার ভাড়া কতো হয়েছে?’
‘পঞ্চাশ টাকা দিয়ে দেন!’
কি করবে বুঝতে পারে না অয়ন।তার হাত ঘড়িটা খোলে লোকটির হাতে ধরিয়ে বলে,
‘ভাই,আমার সাথে একটা টাকাও নেই।ক্যাম্পাসে গেলে কারো কাছ থেকে নিয়ে আপনাকে দিয়ে দিতাম...এই ঘড়িটা রাখেন।সস্তা ঘড়ি,কিন্তু পঞ্চাশ টাকা থেকে বেশিই হবে।’
পা চালায় অয়ন।লোকটি ঘড়ি হাতে নিয়ে অদ্ভুত চোখে অয়নের দিকে তাকিয়ে থাকে।
এখনো অনেক পথ বাকি।পরীক্ষা এতোক্ষণে শুরু হয়ে যাওয়ার কথা।খুব দ্রুতো হাঁটতে থাকে সে। হেরে যাওয়ার মানুষ সে না।খানিকক্ষণ হাঁটার পর টেনশনে দৌঁড়াতে শুরু করে।দৌঁড়ে এতো দূর চলে যাবে,অন্য সময় এটা চিন্তাও করেনি।কিন্তু,এখন পরিস্থিতি ভিন্ন।ফাইন্যাল ইয়ার।এই পরীক্ষা দিতে না পারলে,কেবল এই একটি পরীক্ষার জন্য তাকে এক বছর বসে থাকতে হবে।এই কোর্সে ভাইভাতে মার্ক্স খুব কম রাখা হয়েছে।কেবল ভাইভা খারাপ হওয়ার কারণে অন্যান্য বছর এই কোর্সে ফেল করে।তাই,নতুন কোর্স টিচার আজমল স্যার নম্বর বন্টন করেছেন অন্যভাবে।টার্ম টেস্ট,প্রাকটিক্যাল ও লিখিত অংশে বেশী মার্ক্স রেখেছেন আর ভাইভাতে রেখেছেন খুবই কম মার্ক্সস।অসুস্থ থাকায় অয়নের টার্ম টেস্ট ভালো হয় নি। ভেবেছিলো,ফাইন্যাল এর লিখিত অংশে ভালো করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেবে।কিন্তু,এখন লিখিত দেয়ারই তো সুযোগ পাচ্ছে না।
ক্যাম্পাসের কোনো সিনিয়র জুনিয়র কাওকেই আজ পথে পাচ্ছে না অয়ন।এমনিতে অযথা একশ জনের সাথে দেখা হয়।আজ পরিচিতো কাওকেই দেখছে না।একজন অন্তত পরিচিত পাওয়া আজ খুব প্রয়োজন ছিলো।লিফট অথবা কিছু টাকা ধার দিলেও তো তার চলতো।উল্টো, দৌঁড়ানোর সময় আড়চোখে একটা রিকশাতে ক্যাম্পাসের অন্য ডিপার্টমেন্ট এর জুনিয়র দুটি মেয়েকে দেখলো।তাকে হন্য হয়ে দৌড়াতে দেখে মেয়ে দুটা খুবই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
কানের কাছে বিকট শব্দে হর্ণ বাজলো।দৌঁড়াতে থাকা অয়নের যেনো আত্মা কেঁপে উঠলো।মাথা ঘুরিয়ে দেখে বিশাল একটা ট্রাক,ঠিক তার পেছনেই।ছুটতে ছুটতে কখন অয়ন রাস্তার মাঝখানে চলে এসেছে, খেয়াল নেই।
-‘কি ভাই,অলিম্পিকে যাওনের শখ উঠছে নাকি?রাস্তা থাইকা সইরা অলিম্পিক দৌঁড়ান!’ বিরক্ত কন্ঠে বলে উঠে ট্রাকের জানালা দিয়ে মুখ বাড়ানো হেল্পার।
-‘ভাই,আমার খুব ইমারজেন্সি ।আমাকে একটু লিফট দিবেন,প্লিজ?’
-‘কই যাইবেন?’
অয়ন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বলে।
-‘হ,আমরা তো ঐ দিকেই যাইতাছি!...তয়,ভিতরে তো জায়গা নাই।আপনি পেছনে উঠেন।’
অয়ন আল্লাহকে ধন্যবাদ দেয়।কোনো দ্বিধা না করে দ্রুত ট্রাকের পাছনে উঠে পড়ে।এখন এতো ভাবের সময় না।পরীক্ষার অর্ধেক সময় তো মনে হয় চলেই গেলো।
ত্রিমোহনায় আসতেই অয়ন কিছুটা চমকে গেলো।ওহ গড!নাফিসা!মাথা আড়াল করতে করতে অয়নকে দেখে ফেলে নাফিসা।তাদের পাড়াতেই থাকে।তমাল ভাইয়ের ছোটো বোন। ভীষণ ফাজিল। অয়ন একবার তমাল ভাইয়ের গিটার টা নিয়ে টুংটাইং করছিলো।সে গিটার বাজাতে পারে না,শুধু কৌতুহল বশতঃ স্ট্রিং নাড়াচাড়া করছিলো।বেখেয়ালে স্ট্রিং এ জোরে চাপ দেয়।ফার্স্ট স্ট্রিং ছিড়ে যায়।এরপর থেকে মেয়েটা অয়নকে ‘তারছেঁড়া’ ডাকে।এই নাম টা পাড়ায় রীতিমতো প্রতিষ্টিত করে ফেলেছে।এখন ট্রাকে করে তার ভার্সিটি যাওয়া দেখলে মেয়েটা পাড়ায় কি যে ছড়াবে ,আল্লাহ ই জানেন।
হঠাৎ করে ট্রাকের গতি কমে একসময় থেমে যায়।গলা বাড়িয়ে দেখে,পুলিশের একজন সার্জেন্ট ট্রাক থামিয়েছেন।তিনি ট্রাকের কাগজ পত্র নিয়ে দেখতে থাকেন।ইতিমধ্যে,ট্রাকের ড্রাইভার নেমে সার্জেন্টকে ট্রাক ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানায়।কিন্তু,তাদের কথাবার্তা শোনে অয়ন বুঝতে পারে,সার্জেন্ট এতো সহজে ট্রাক ছাড়বে না।হেল্পারটা বেশ ফাজিল টাইপের।গলা বাড়িয়ে তার হলুদ দাঁত বের করে অয়নকে বলে,
-‘ভাইজান।খাড়াইয়া থাইকা লাভ নাই। নাইমা আবার অলিম্পিক দৌঁড়ান।’
তবে,অয়নের সেটাই যৌক্তিক মনে হয়।এখন আরেকটা সিএনজি নেয়া যায়।ক্যাম্পাস পর্যন্ত যেতে পারলে তো হয়েই গেলো,না পারলে দেখা যাবে।
অয়ন আরেকটা সিএনজি ধরে।তার ভাগ্য ভালো,এবার আর কোনো ঝামেলা হয় নি।একদম,তার ডিপার্টমেন্ট এর সামনে গিয়ে থামে।ঝট করে নেমে ডিপার্টমেন্ট এর সিঁড়িতে বসা সেকেন্ড ইয়ারের অর্নবকে ভাড়া দিতে বলে।
অয়ন দৌঁড়াতে থাকে পরীক্ষা হলের দিকে।তাকে এই সময়ে হলে ঢূকতে দেখে সবাই অবাক।পরিশ্রম আর টেনশনএ রীতিমত মুখ হাঁ করে হাঁপাতে থাকে অয়ন।
দেরি করার জন্য স্যারকে সরি বলে নিজেই আন্সার স্ক্রিপ্ট আর প্রশ্ন নিয়ে ডেস্কে বসে পড়ে।উত্তর পত্রে নিজের আই ডি,রেজিঃ নম্বর লেখে। “Answer to the question no.” লেখার সাথে সাথেই আজমল স্যারের বজ্রকন্ঠ, “টাইম ইজ ওভার! ড্রপ দ্য পেন...!আই সে,ড্রপ দ্য পেন...!”
অনেক অনুরোধ করেও সময় বাড়াতে পারে না অয়ন।স্যার উত্তর পত্র নিয়ে নেয়।হতবিহ্বল হয়ে বসে থাকে অয়ন।এই একটা কোর্সের জন্য তার জীবন থেকে এক বছর নষ্ট হয়ে যাবে!
কে যেন তার কাঁধে হাত রাখে।অয়ন মাথা রাখে ডেস্কের উপর।কাঁধে হাত রাখা মানুষটা নিশ্চই তাকে সান্তনা দেবে।কিন্তু,এই সান্তনার কি কোনো মূল্য আছে?এই সান্তনা কি তার এক বছর ফিরিয়ে দেবে!
“অয়ন...!” বণ্যার কন্ঠ।
ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেলে অয়ন।সে এতোটা খারাপ ছাত্র নয়।তার বন্ধুরা পাশ করে চলে যাবে,আর আর তাকে আরও একটা বছর এখানে থাকতে হবে।এটা ভাবতেই তার দু চোখ উপছে পানি আসছে।সামান্য ঘুমের জন্য ঘুম কাতুরে অয়নকে এতো বড় মূল্য দিতে হবে!অয়ন ব্যাপারটা হজম করতে পারছে না।
-‘অয়ন...’ বন্যা আবার ডাকে।“কি হলো তোর?কাঁদছিস কেনো?
এতো কষ্টের মাঝেও অয়নের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
-‘এক বছর পিছিয়ে পড়লাম।আমি কাঁদবো না? তো খুশিতে নাচবো?’
এতো ঝাঁঝালো উত্তর শোনে বণ্যারও মনে হয় মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।রেগে গিয়ে বলে উঠে, ‘তোর পাড়ার সবাই তোকে যে ‘তার ছেঁড়া’ ডাকে ,সেটা একদম ঠিক আছে।’
-‘বন্যা,তোকে এতো ভালো বন্ধু ভাবতাম,আর তুই এই পরিস্থিতে আমার সাথে ফাজলামো করছিস!”
-‘তুই তোর ছেঁড়া তারের কারণে যদি পাগলামি - ছাগলামি করিস,তো আমি ফাজলামো করলে সমস্যা কি?’
অয়ন বন্যার কথায় রীতিমতো হতবাক হয়ে পড়ে।মানুষ এতো নিষ্ঠুর হয় কি করে?
-‘আমি একটার সমস্যার কারণে দেরী করে এসে পরীক্ষা মিস করেছি।এটা আমারই দোষ হতে পারে,তাই বলে তুই আমাকে পাগল-ছাগল বলছিস?’
-‘দেরি করে এসে যদি কাঁদতি,পাগল-ছাগল বলতাম না।কিন্তু চব্বিশ ঘন্টা আগে এসে যদি কান্না কাটি করিস,তবে পাগল ছাগল না বলে কি বলবো?
-‘চব্বিশ ঘন্টা আগে মানে?’
-‘আরে স্ক্রু ঢিলা,আজ আমাদের “এ” গ্রুপের পরীক্ষা! তোদের “বি” গ্রুপের পরীক্ষা আগামী কাল!’
-‘কি বলিস,আজ পঁচিশ তারিখ না?’
-‘তারছেঁড়া কোথাকার,আজ চব্বিশ তারিখ!’
-‘মাই গড,আমার মোবাইলে তারিখ তাহলে একদিন এগিয়ে আছে।আমি ভেবেছিলাম,আজকে পঁচিশ !’
-‘সাধে কি তোকে সবাই তারছেঁড়া ডাকে!’
এই প্রথম তারছেঁড়া শোনেও অয়নের মুখ কালো হয় না ।বরং,এক ঝলক হাসি ফোটে উঠে তার মুখে !আজ যে তার পরীক্ষা হচ্ছে না,তার এক বছর নষ্ট হচ্ছে না,এই অনুভূতিতে অয়ন রীতিমত স্বর্গীয় সুখে ভাসছে।একবার কেনো,হাজার বার তারছেঁড়া বললেও আজ তার মুখ কালো হবে না!