মনের স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। মানসিক দক্ষতা বাড়ানো এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ন। নিজের মন ও শরীর ভালো রাখার জন্য খুব জরুরী এবং সাধারণ কিছু বিষয় আমাদের মেনে চলা উচিত। কিছু সময় ব্যয় করুন এ উপায়গুলো আপনার ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলছে তা বোঝার জন্য ।
• মানসিক যুক্তিগুলো অভ্যাস করুন। অধিকাংশ সময় আমরা সরাসরি না বলে কিছু কথা ঘুরিয়ে বলে থাকি। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এটি অভ্যাস করা প্রয়োজন।
• কাজ করুন সহজ উপায়ে। অনেক সময় আমরা কাজ কঠিনভাবে করি যা আমরা সহজভাবেও করতে পারি। সহজ উপায়ে কাজ করার অভ্যাস আমাদের মানসিক জটিলতা থেকেও মুক্ত রাখে।
• আন্তরিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করুন। শুধুমাত্র দায়িত্ব পালনের কথা না ভেবে, পারষ্পারিক দ্বন্দ্ব মিটিয়ে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন। আন্তরিক সম্ভাষণ আপনার সমস্যাকে মিটিয়ে দেবে এবং দুইপক্ষই ভালো অনুভব করবেন। সম্মানের ভয়, খ্যাতির বিরম্বনা, লাভের তীব্রতা এবং রাগ ও হতাশার ক্ষেত্র, এই অনুভূতিগুলো ক্ষতিকর। এগুলো নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না।
• যতটুকু পারেন ততটুকু করার চেষ্টা করুন। যখন আপনি আপনার সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন তখন আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকবে কাজের প্রতি। আসলে আমরা প্রতি মুহূর্তে নিজের সাধ্যকে অতিক্রম করার চেষ্টা করি। তাই চেষ্টা করুন নিজের সাধ্যমতো কাজ করতে। সব সময় মনে রাখবেন আপনি আপনার চারপাশের অবস্থাকে কখনই অতিক্রম করতে পারবেন না।
• নিজের প্রতি সচেতন থাকুন কিন্তু সতর্ক নয়। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি উপায় হলো নিজের প্রতি খেয়াল রাখা। এটা সিদ্ধান্ত নিতে এবং নিজের অনুভূতিকে উপলব্ধি করার জন্য সহায়ক। আবার যারা মাত্রাতিরিক্ত আত্মসচেতন তারা সিদ্ধান্ত নিতে এবং কাজে পদক্ষেপ নিতে দুশ্চিন্তায় ভোগে। সেক্ষেত্রে আত্মসতর্কতা কাজ করার ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তাহীন মানসিকতার পরিচয় দেয়।
• নিজেকে প্রশ্ন করুন? দেখুন আপনার মনোবল এবং শক্তি আপনাকে কী উত্তর দিচ্ছে এবং সেটি সঠিক কিনা?
• দুশ্চিন্তা পরিহার করুন। আমরা দুশ্চিন্তা করে অনেক সময় নষ্ট করি যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। আপনি যদি আপনার দুশ্চিন্তার বিষয়কে কাজে পরিণত করতে পারেন তাহলে আপনি ভালো থাকবেন। তাই আপনার দুশ্চিন্তাকে কর্মক্ষমতায় রূপান্তরিত করুন।
• নিজেকে সময় দিন। উদ্দেশ্যহীনভাবে কাজ এবং চিন্তা করবেন না। অগোছালোভাবে জীবনযাপন না করে নিজেকে গুছিয়ে চলার চেষ্টা করুন। এটি অত্যন্ত জরুরি যে আমাদের লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে এবং সময়ের সদ্ব্যবহার করতে হবে, কর্মশক্তিকে যোগ্য কাজে লাগাতে হবে।। একটু বেশি সময় নিন এবং ধীরে ধীরে বুঝে নিন আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না।
• ভুল হলে সাময়িক মন খারাপ করুন কিন্তু অপরাধবোধ ও লজ্জাবোধে ভুগবেন না। যখন আপনি মন খারাপ বোধ করবেন তখন ভুল শুদ্ধির চেষ্টা করুন। এটা নিজেকে নিয়ন্ত্রণের একটা ভালো পদ্ধতি। লজ্জা ও সামগ্রিক অপরাধবোধ আপনার আত্মোপলব্ধিকে নষ্ট করবে।
• মানসিক যন্ত্রণাকে কাজে পরিণত করার চেষ্টা করুন।এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। সমস্যাকে জীবন পরিবর্তনের চাবিকাঠি হিসেবে নিন। কষ্টের মুখোমুখি হোন। যদি তাতে আপনার জীবনে উন্নতি না হয় তবে ব্যবহার অথবা পরিস্থিতির পরিবর্তন করুন।
• ভালো লাগার বিষয় গুলোর কথা ভাবুন। এটি আপনাকে মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। আমাদের প্রত্যেকের শখের বিষয় রয়েছে। আমাদের সাথে যা ঘটে তার ওপর বেশিরভাগ সময় আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। শখ এবং অনুভবের মধ্যে একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের নিজেদের প্রতি নিয়ন্ত্রণের একটা নির্দিষ্ট ও আশানুরূপ মাত্রা রয়েছে। তাই শখের প্রতি বা পছন্দের কাজের প্রতি গুরুত্ব দিন।
• অন্যের চিন্তা ভাবনা, মন মানসিকতার কথা চিন্তা করুন। আত্মসতর্কতা, আত্মসম্মানবোধ, আত্মদায়িত্ববোধ এবং আত্মজ্ঞান অন্যকে ভালোবাসার মতো। যখন আপনি নিজের জন্য কাজ করবেন তখন আপনি অন্যের জন্য, পৃথিবীর জন্য ও অবদান রাখতে পারেন। আপনার যদি কিছু না থাকে আপনি অন্যকে কিছুই দিতে পারবেন না।
• ভুল স্বীকার করার মতো সাহসী হোন। মানুষ মাত্রই আমরা সবাই কমবেশি ভুল করে থাকি এবং সমালোচনার ভয়ে তা অস্বীকার করি। যদি ভুলকে স্বীকার করে তা সংশোধন করার জন্য সময় ব্যয় করি তবে আমরা সফল হবো এবং আমাদের মধ্যে মানবিকতা গড়ে উঠবে।
• এই অভ্যাসটি গড়ে তুলুন। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ভাববেন না। । আমরা আমাদের জীবনে একটি বিরাট অংশ ব্যয় করি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে যা আমরা এক সময় ভুলে যাই। তাই কিছুক্ষণ বসুন এবং চিন্তা করুন কোনটি আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং কোনটি নয়।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।