somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের মজার কিছু গল্প

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মার্কিন বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন, বিদ্যুতিক বাতির আবিষ্কারক হিসেবেই সবাই একনামে চেনেন তাঁকে। ইন্টারনেটে উনার মজার বেশ কয়েকটি কাহিনী পড়লাম, তিনি নাকি অন্ধকারকে খুব ভয় পেতেন, এই ভয় দূর করতেই কিনা কে জানে শেষমেষ বাতিই আবিস্কার করে বসলেন।
অথচ ছোটবেলায় কিন্তু স্কুলের সবচেয়ে খারাপ ছাত্র মানে ছিলেন, মাথামোটা আর কি। সাত ভাই বোনের মাঝে তিনি ছিলেন সবার কনিষ্ট। একে ত বড় ফ্যামেলি তার উপর স্কুল থেকে অভিবাবকের কাছে নালিশ, কাহাতক সহ্য করা যায়? বাবা ছিলেন চরম বিরক্ত, কিন্তু মা? মা তো মা ই!
সেই কাহিনি দিয়েই না হয় শুরু করি,

স্কুল থেকে চিঠি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলো এডিসনকে, ভালো কিছু একটা যে না সেটা অনুমান করতে পেরেছিলেন ঠিকই, সুতরাং বাবাকে না দিয়ে মাকেই দিলেন চিঠিটা, আর মা কি জানি ভাবলেন, তারপর চোখ মুছে উনার সামনেই জোরে জোরে পড়তে লাগলেন চিঠিটা...

"আপনার পুত্র খুব মেধাবী, এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোটো এবং এখানে তাকে শেখানোর মতো যথেষ্ট প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক নেই।দয়া করে আপনি নিজেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করুন।"

আর চিঠির কথা শুনে এডিসনের চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠলো, তারপর থেকে মায়ের কাছেই শিক্ষা নেয়া শুরু করলেন।

এরপর পার হয়ে গেছে অনেকদিন, এডিসন ও অনেক বড় বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, মার্কেটিং এর বড় কেউকেটা। মা ও আর বেঁচে নেই ততদিনে। কি এক কাজে পুরাতন কাগজ নাড়াচাড়া করছিলেন, হঠাত-ই চোখ পড়লো ভাজ করা এক কাগজের দিকে, হাত বাড়িয়ে নিয়ে পড়তে শুরু করলেন, স্কুলের সেই চিঠি। অদ্ভুত এক অনুভুতি, অজানা এক ব্যাথায় যেনো বুকের পাজর ভেঙ্গে আসতে চাইলো, চোখ ফেটে পানি পড়তে লাগলো। তাতে লিখা ছিলো...
"আপনার সন্তান স্থুলবুদ্ধি সম্পন্ন, সে এই স্কুলের উপযুক্ত নয়, আমরা কোনোভাবেই তাকে আমাদের স্কুলে আর আসতে দিতে পারি না।"

তারপর তার ডাইরিতে লিখলেন "টমাস আলভা এডিসন একজন স্থুলবুদ্ধি সম্পন্ন শিশু ছিলেন।একজন আদর্শ মায়ের দ্বারা তিনি শতাব্দীর সেরা মেধাবী হয়ে উঠলেন"

এখন উনার কিছু মজার ঘটনা বলি...
উনি তখন বেশ ছোট হঠাৎ উনাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। সবাই খুজে নেমে পড়লো। খুজতে খুজতে উনাকে পাওয়া গিয়েছিলো এক নির্জন জায়গায় কয়েকটি মুরগির ডিমের উপর উপুর হয়ে শুয়ে আছেন, সবাই জিজ্ঞেস করার পর তিনি যা বললেন তাতে সবার চক্ষু চড়ক গাছ, তিনি নাকি ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা বের কর্তে চেয়েছিলেন, তাঁর অকাট্য যুক্তি ছিলো মুরগির নীচে ডিম রাখলে তা থেকে বাচ্চা বেরোলে আমার পেট থেকে কেনো হবে না?

আগে বলেছিলাম উনার কুটিকালের গল্প...
এখন যেটা বলছি সেটা উনার বড়কালের গল্প, তখন তিনি বেশ টাকাওয়ালা মানুষ, গেছেন ট্যাক্স অফিসে রিটার্ন জমা দিতে, গিয়ে নিজের নাম লিখতে গিয়ে পড়েছেন বিরাট ফ্যাসাদে, কিছুতেই নিজের নাম মনে করতে পারছেন না, মার খেলে মানুষ বাপের নাম ভুলে যায় কিন্তু উনি দিব্যি নিজের নামটাই ভুলে বসে আছেন। বসে বসে চুল ছিড়ছেন আর দাত কিড়মিড় করছিলেন, হটাত প্রতিবেশীর সাথে দেখা "কি ব্যাপার টমাস কি করো এখানে" মুহুর্তেই মনে পড়ে গেলো নিজের নামখানি।

যৌবনকালের কথা বাকি থাকবে কেনো? সেটাও বলে দেই ফাঁকে...
কাজ করছিলেন ল্যবুটরিতে, খেয়াল চাপলো হেলিকপ্টার বানাবেন, আর জালানী হিসেবে থাকবে বারুদ, আগ পিছ না ভেবে যেই চিন্তা সেই কাজ, একটা নমুনা বানিয়ে যেই চালাতে গেলেন, সাথে সাথে বুম! পুরো ল্যাবরেটরি তে আগুন ধরে গেলো। পড়ি কি মরি, কোন মতে বের হয়ে চাচা আপন প্রান বাঁচালেন!

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×