পৃথিবী হিমাঙ্কের ছোঁয়ায়
উর্বর ফসল রূপালী হয়ে যায়
ক্ষুধার্ত মানুষের চোখগুলো
শীতের হিমাঙ্কে কাল হয়ে আসে,
পর্ণরাজি পরিবর্তনে স্বয়ংক্রিয় সংকেত
ধীরে ধীরে বসন্তকাল অথবা শরৎ,
এই বিষাদ হঠাৎ এবং ব্যাধিযুক্ত
বর্ণনাতীত ক্রোধ, থাকে অমীমাংসিত।
কে করেছে ভাণ্ডারী চুরি?
কে করেছে পবিত্র কেল্লা লঙ্ঘন?
কে করেছে বস্ত্র হরণে নারীর দেহভোগ?
অথবা ধর্মের আদেশ বিন্যাস
আবার কায়দা কানুন রূপায়িত করে
কে করেছে নিজের ইমেজ আসমান সমান?
কে করেছে উচ্চালাপ বিধাতার বিধানে,
ন্যায়বিচারে অপরিমাপ তর্জন-গর্জন
আশীর্বাদ অবহেলা করে?
জন্ম হয় আরেক প্রিয়জন বিধাতার নিয়ন্ত্রণে
পরিত্যক্ত শৈশব, কৈশোর
যৌবনে যত ক্ষতির পরিমিতি,
পরিমাপ করে বহমান সারা ভূখণ্ডে
তন্য তন্য করে স্থান ভরাটের লালসায়
লীলায়িত আকাঙ্ক্ষার বাগানে
ভরা নদী যৌবনের গান গেয়ে যায়
প্রতীক্ষায় থাকে আত্মতৃপ্তির।
তবুও জীবন চলে
এক নতুন আশা চুরির অশ্রু জলে
মাটিতে বীজ বপনে গভীর বিশ্বাসে
আবার মুকুলিত হয় খচ্চর,
প্রেতাত্মারা অট্টহাসির কারণ দর্শান স্বারকে
মস্তিষ্ক প্রশমিত করে
সঠিক পরিমাপে একদম একা আরও একবার।
তারপর অন্নাভারে আবার
মানুষ অনাহারে থাকে
সবুজ ফসল রূপালী, ধূসর হয়ে মরে,
পৃথিবী হিমায়িত হয়।
শুক্রাণু লাল রক্ত মত পড়ে,
নারী গর্ভে রোপণ করা হয় আরও একটি ইচ্ছা
তার হাড় মাংস আবর্তন হয় মৃত্যু পর্যন্ত
একটি পৃথক আত্মা জাহান্নাম থেকে
জন্ম হয় অশরীরী নষ্ট আকাঙ্ক্ষা।
সাঈদ মোহাম্মদ ভাই
facebook.com/saeedmbhai
[email protected]