somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

''এক রাগকন্যা ও অবুঝ বালকের বানানো কাল্পনিক কিছু গল্পাংশ''

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু একটা লিখতে চাচ্ছিলাম । কিন্তু কেন যেন কিছুই খুঁজে পাচ্ছিলাম না লেখার মতো । অনেক দিন হলো এমনটা হচ্ছে । তবে আজকাল জিনিসটা খুব বেশি প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে । কেমন যেন একটা অলিখিত হাহাকার চলছে , যেন কিছু একটা নেই মনে হচ্ছে । আসলেই কি তাই??? হয়তো বা হ্যাঁ , কিংবা না !!!


ভুলো মনের মানুষদের অনেক কিছুই ঠিক থাকে না । দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো তোমার সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাঝে আনন্দ ছিলো , সুখ ছিলো আর ছিলো কিছু শুকনো ভালোবাসা । নিত্য দিনের কাজ একসাথে না করি , দিনশেষে নিজেদের করা কাজের গল্প না করলে হয়তো দিনটা পূর্ণতা পেতো না । সেগুলো খোশ-গল্প না হলেও তার চেয়ে কম কিছু ছিলো না । দিনের শুরুতে ফোনে তোমার কণ্ঠের ''গুড মর্নিং'' না শুনলে হয়তো সকালটাই শুন্য মনে হতো । ফোনে না হলেও , তোমার চেষ্টা থাকতো অন্তত সকাল বেলা একটা এসএমএস পাঠানোর ।
সারাদিন কাজের ফাঁকে কিছু সময় কথা বলার আবদার যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি হয়ে ধরা দিতো দুজনের কাছেই । তারপর শুরু হতো আমাদের কথা বলা । শুধু শুরুই হতো , আদৌ কি সেটা শেষ হবে কিনা সেটা হয়তো নিজেরাই জানতাম না । আচ্ছা, রাগকন্যা !! তোমার কি মনে আছে সেসব??? কথা বলা শুরু করে ঘণ্টা পার হওয়ার পর আমাদের আড্ডা শুরু হতো । সেই আড্ডাও তো শেষ হতে চাইতো না । তবু যেন একসময় সেই আলাপে খানিক বিরতি দিতেই হতো ।

দুপুর শেষে আবার খোঁজ নেওয়ার পালা , অগোছালো ছেলেটা খাওয়ার পাঠ ঠিক মত শেষ করেছে কিনা , ওষুধটা ঠিক মতো খেলো কিনা আরো কত্তো কি !! জানো , আজো প্রতিবার ওষুধ খাওয়ার কথা ভুলে যাই । কি করবো বলো , জানোই তো আমি কেমন ভুলোমনা !
আর ওষুধের কথা মনে হতেই তোমার বলা কথাগুলো মনের জানালায় উঁকি দেয় ।

বিকেল বেলা আবার কথার ঝুড়ি নিয়ে বসতাম আমরা । আড্ডা-গল্পে কখন যে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যেতো , টের পাওয়াই দুষ্কর ছিলো বলতে হবে । সন্ধ্যার শেষে আবারো সেই খোঁজ নেয়ার পালা , এবার পালা ছিলো সন্ধ্যার নাস্তা কিংবা রাতের খাবার খেলাম কিনা ! শুনতে কিন্তু বেশ সিলি মনে হচ্ছে , তাই না??? আমার কাছেও ব্যাপারটা তেমনই ছিলো । কিন্তু ব্যপারটা যে কতোটা আপন ছিলো , কতোটা ভালোবাসার ছিলো তা হয়তো আর বলতে হবে না । যেদিন তোমাকে ''রাগকন্যা'' নামটা দিয়েছিলাম , তুমি বেশ অবাক হয়েছিলে সেদিন । আমায় বলেছিলে , সবাই তার প্রিয় মানুষকে একটু আদুরে নামে ডাকে , আর তুমি কিনা ডাকবে ''রাগকন্যা'' !! তুমি হয়তো কখনোই জানবে না , এই নামের মাঝে কতোটা আদর লুকিয়ে ছিলো তোমার জন্য ।

সাধারণ কিছু জিনিস কখনই কিন্তু পরিবর্তনীয় নয় । সেটার মধ্যে সন্দেহাতীতভাবে এসবও থাকবে । রাত জেগে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা , কিংবা কথা বলতে বলতে একসাথে ভোরের আলো দেখা সবার ভাগ্যে হয় না । তার সব আবদার আমি বরাবরই না করে এসেছি । তবে আমার কোন আবদার মেটানোর ক্ষেত্রে তার আগ্রহ ছিলো অনেক বেশি এবং সে সর্বদাই তা করে এসেছে । কখনো বা কথা বলার আবদার , শত ব্যস্ততার মাঝেও দেখা করার আবদার কিংবা মধ্যরাতে চুপিসারে যখন কথা বলতে হয়েছে তাকে , তখনো সে আমার হঠাৎ গান শোনানোর আবদার ফেলেনি । দিনশেষে একজন বন্ধু , অভিভাবক , গাইড , শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করেছিলো নিজেকে । তাকে নিয়ে লিখে কখনোই শেষ করতে পারবো না আমি । এইযে , কি-বোর্ডের বাটনগুলোও আজ আসাড় হয়ে যেতে শুরু করেছে !

হঠাৎ করেই যেন সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেলো , তাই না!!! কালবৈশাখীর ঝড়ে যেমন সব ধ্বংস হয়ে যায় , ঠিক তেমনি ভাবেই সবকিছু ভেঙ্গে গেছে । হয়তো নিয়তির বিধানটাই এমন ছিলো !! আজও তোমার ডাকা আদুরে সেই নামগুলো , তোমার সাথে খুনসুটির মুহূর্তগুলো ব্যাপকভাবে অনুভব করি । যেনো হাত বাড়ালেই তোমাকে খুঁজে পাই আজও !! গতকাল তুমি ছিলে , আজ তুমি নেই , হয়তো কালও থাকবে না । এটাই ধ্রুব সত্য !!!

রাগকন্যা , তবু তোমার জয় হোক !!!!

[img|
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×