ছোট থেকে একটু একটু করে যখন বড় হতে শুরু করি তখন ছোট্ট কোন ভুল হলেই শুনতাম কথাটি কিন্তু এর অর্থ নিচক মূল্যহীন ছিল তখন । পরিবারের কর্তাব্যক্তিরা পরিশুদ্ধ করে বলে দিতেন আর বলতেন , এমন ভুল যেন না করি । যদি করি যখন বড় হব তখন বুঝব । কিম্বা বলা হত এ কথাটি বলার মানুষ ও পাবা না তখন বুঝবে । কথাটি হাসির ছলে উড়িয়ে দিতাম কিংবা বোঝার চেষ্টাই করতাম না কেন এ কথা বলত বড় রা ।
বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বোঝার ক্ষমতা । চারপাশের পরিস্থিতি সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই ডিমান্ড করে । ছোটবেলার একটি লজেন্সের প্রয়োজনীয়তা একশত টাকার নোটের চেয়েও বেশী । এক হাতে চকলেট আরেক হাতে একশত টাকার নোট নিয়ে কোনটি চাই কেউ জিজ্ঞেস করলেই উত্তর আসতো “চকলেট । বড় হয়ে বুঝতে পারি যে সে বয়সে একশত টাকা দিয়ে এমন অনেকগুলো চকলেট কেনা যেত ।
কোনটি পারতপক্ষে প্রয়োজন কোনটি অ-প্রয়োজন তার প্রকারভেদ না করার আগেই সব এক করে ফেলি । অপ্রয়োজনীয় বস্তু কিম্বা বিষয়টি যখন দ্বায়িত্ববানদের চোখে পড়েন তারা থামিয়ে দেন । এ থামিয়ে দেওয়াটা যে ভালোর অর্থে বলা তা আমরা নিচক অবজ্ঞা করি । আবার অবজ্ঞা করার পরও অনেক সময় মন খারাপ করি । বয়সের শুরুতে কিম্বা তারুন্যতার শুরুতে মানুষ অনেক ভুলই করে । চাওয়ার আগেই সব যেন নিজ গন্ডির ভেতরে, চাওয়ার আগেই যেন পকেটে । অতি প্রাপ্তিই একসময় জীবনকে বিষিয়ে তুলে । মানুষ নিমজ্জিত হয় হতাশায় যার থেকে বেরিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় খুব কম সংখ্যক মানুষ ।
নিজের কথা যদি বলি ছোট থেকে আজ পর্যন্ত কোনকিছুর জন্য এক বারের জায়গায় দুবার বলতে হয় নি । সাত সদস্যের পরিবার সাথে বাবা ও মা সর্বমোট এককম দশজনের আদরে বেড়ে উঠা । সবকিছু যেন মুষ্ঠিবদ্ধ হাতের মধ্যে । গত হল দিন কয়েক আগে জন্ম তারিখ ছিল দেখলাম চোখের পলকে বয়স পরিপূর্ণ যুবকের বয়সে উপনীত হয়েছে । সবকিছুর কাছে জিতে গেলেও আটকে গিয়েছি নিয়তির কাছে । যার হাত আমাদের কাছে থাকেনা, থাকে বিধির কাছে । সাফল্যতার কাছে মনে হয় আমি সেই বানর যাকে তৈলাক্ত কালগাছে উঠতে হবে । যতবার উঠতে যাই ততবার পড়ে যাই । এক হাত উঠি তো পাঁচ হাত নিচে চলে যাই । তখন ভরসার হাতগুলো থাকে পরিবার ও সামান্য সংখ্যক শুভাকাঙ্খী । যারা সময়,অর্থ,সাপোর্ট দিয়ে আমাকে সাফল্যমন্ডিত দেখতে চান ।
কিন্তু আমার নিয়তি আমাকে বিষিয়ে তুলেছে যার নিয়ন্ত্রক সৃষ্টিকর্তা আমি নই । আর এর উপর আমার হাতও নেই । সেই কবে দেশ ছেড়েছি । দেশ ছাড়ার একমাত্র কারন বেপোরোয়া জীবন । থাকলে এতদিনে হয়ত বাদ হয়ে যেতাম যদিও ভালো ছাত্র ছিলাম পড়াশুনায়। ভেবেছিলাম বৃটেনে পড়াশুনার শেষ করে এখানেই কাটিয়ে দিব বাকি জীবন । গ্রেজুয়েন শেষের সাথে সে স্বপ্ন তাসের ঘরে পরিনত হল । ভিসা শেষ হোম অফিস বলল দেশ ছাড়তে । পরিবারের ডিরেক্ট না কারন দেশে গেলে আবার সেই আমি হয়ে যাব । গেলাম না ।
পরিবারের অন্যসদস্যগুলো সেকেন্ড সিটিজেন হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন । চলে গেলাম রোমে । বিলেতের লাইফ স্টাইল স্যুট না করাতে রোম শহর ছেড়ে গেলাম অন্য সদস্যের কাছে প্যারিসে । তার উপর আমি ইতালী যাবার কিছুদিন পূর্বে সেখানকার ইমিগ্রেশন বাংলাদেশী কোঠা বন্ধ করে দেন । প্যারিসে জীবনমান বিলেতের মতন তাই স্বস্তি আসল । প্রথম কিছুদিন যাবার পর শুরু করি হোঁচট খাওয়া । যেইটাই করতে যাই শুধু নাই নাই । চারজন একসাথ হয়ে অভিবাসীর জন্য এপ্লাই করছি সবার হয়েছে রিজেক্ট শুধু আমি ।
এরপর গেলাম কাজের বিনিময়ে অভিবাসী কোঠায় । কাজ করে কিছু কিছু পে স্লিপ জমাই ২০১৬ সালে এসে বাসা পুঁড়ে সেগুলো দাঁত মাজার ছাঁই হয়ে যায় । প্রতিষ্ঠানের মালিক কে জানাতেই সে বললেন তার সোসাইটি বিক্রয় করে দিয়েছেন । হাতে ঠোলা কান্দে মালা । এরপর টাকা নিয়ে আসলাম একটি চুক্তিপত্র কেনার জন্য । জনৈক বাঙালী সাহেব টাকা নিয়েছেন তার প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্র দেওয়ার জন্য তবে তিনি তার প্রতিষ্ঠান থেকে না দিয়ে দিয়েছেন গাঁর দ্যু নর্ড থেকে । কট পরার পর তিনি টাকা ফেরত দিলেন ২০১৮ সালে । তখন কাজ করি ফরাসী প্রতিষ্ঠানে । মনে মনে ভাবলাম এবার মনে হয় কিছু একটা হবে । হোম অফিসের নিয়ম বেধে সব জমা দেওয়ার পর শুরু হয় এশিয়ান রাজনীতি । রাজনীতির মাত্রার ঠেলায় জব ছেড়ে দিতে বাধ্য হই ।
নতুন প্রতিষ্ঠান থেকে টাকার বিনিময়ে আবার কন্ট্রাক কিনে হোম অফিসে পাঠাই । রঁন্ধে ভ্যু সামনের মাসে । পাঁচ মাস অপেক্ষার পর অনেককে বলছেন যে আরও সময় লাগবে । আমি গেলে আবার যেন কোন সূত্র নিয়ে হাজির হয় । সবাই সবার জায়গা থেকে সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন । কিন্তু ভাগ্য আমাকেই পঙ্গু করে দিচ্ছেন । এর মাঝে মা বাবার সাথে দেখা হয় না লম্বা সময় । অর্ধাঙ্গিনীকে বলেছিলাম গত বছর সেপ্টেম্বরে দেখা হবে । গত বছর পার হয়ে এ বছর শেষের পথে । ডিসেম্বরের পর হয়ত তার সাথে আর দেখা হবে না কোনদিন যদি দেশে যেতে না পারি । বিধ্বস্ত আমি ।
হতাশায় ভেঙ্গে পড়া পুরুষ ঘুরে দাঁড়ানো আর পাহাড় কেটে ট্যানেল বানানো সমান কথা । সবাই পাপ করেন আমিও করি তবে এমন কেন পাপের অংশীদার আমি যে সব পিচ্ছিল হয়ে যায় । মানসিকভাবে অনেক কষ্ট পাচ্ছি । হয়ত যাহ আমি কোনদিন ফেস করি নি । এ সময়গুলো হয়ত কেটে যাবে আর বোঝার জায়গায় বুঝে ফেলেছি কি ভুলটাই না করেছি । নিজেকে গোছাতে আরও কত সময় লাগবে তা হয়ত জানি না , নির্মাধীন আমার এ গল্প কবে গর্বের অংশীদার হবে কবে,কবে ভালোর খাতায় উঠবে । সেদিন হয়ত গর্ব করে বলবো আমি আমার কাজ নিয়ে গর্বিত । নতুন কোন প্রজন্ম কে বলব ভুল করো না আর যদি করো বড় হও তখন বুঝবে_______________
প্যারিস ।ছোট থেকে একটু একটু করে যখন বড় হতে শুরু করি তখন ছোট্ট কোন ভুল হলেই শুনতাম কথাটি কিন্তু এর অর্থ নিচক মূল্যহীন ছিল তখন । পরিবারের কর্তাব্যক্তিরা পরিশুদ্ধ করে বলে দিতেন আর বলতেন , এমন ভুল যেন না করি । যদি করি যখন বড় হব তখন বুঝব । কিম্বা বলা হত এ কথাটি বলার মানুষ ও পাবা না তখন বুঝবে । কথাটি হাসির ছলে উড়িয়ে দিতাম কিংবা বোঝার চেষ্টাই করতাম না কেন এ কথা বলত বড় রা ।
বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বোঝার ক্ষমতা । চারপাশের পরিস্থিতি সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই ডিমান্ড করে । ছোটবেলার একটি লজেন্সের প্রয়োজনীয়তা একশত টাকার নোটের চেয়েও বেশী । এক হাতে চকলেট আরেক হাতে একশত টাকার নোট নিয়ে কোনটি চাই কেউ জিজ্ঞেস করলেই উত্তর আসতো “চকলেট । বড় হয়ে বুঝতে পারি যে সে বয়সে একশত টাকা দিয়ে এমন অনেকগুলো চকলেট কেনা যেত ।
কোনটি পারতপক্ষে প্রয়োজন কোনটি অ-প্রয়োজন তার প্রকারভেদ না করার আগেই সব এক করে ফেলি । অপ্রয়োজনীয় বস্তু কিম্বা বিষয়টি যখন দ্বায়িত্ববানদের চোখে পড়েন তারা থামিয়ে দেন । এ থামিয়ে দেওয়াটা যে ভালোর অর্থে বলা তা আমরা নিচক অবজ্ঞা করি । আবার অবজ্ঞা করার পরও অনেক সময় মন খারাপ করি । বয়সের শুরুতে কিম্বা তারুন্যতার শুরুতে মানুষ অনেক ভুলই করে । চাওয়ার আগেই সব যেন নিজ গন্ডির ভেতরে, চাওয়ার আগেই যেন পকেটে । অতি প্রাপ্তিই একসময় জীবনকে বিষিয়ে তুলে । মানুষ নিমজ্জিত হয় হতাশায় যার থেকে বেরিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় খুব কম সংখ্যক মানুষ ।
নিজের কথা যদি বলি ছোট থেকে আজ পর্যন্ত কোনকিছুর জন্য এক বারের জায়গায় দুবার বলতে হয় নি । সাত সদস্যের পরিবার সাথে বাবা ও মা সর্বমোট এককম দশজনের আদরে বেড়ে উঠা । সবকিছু যেন মুষ্ঠিবদ্ধ হাতের মধ্যে । গত হল দিন কয়েক আগে জন্ম তারিখ ছিল দেখলাম চোখের পলকে বয়স পরিপূর্ণ যুবকের বয়সে উপনীত হয়েছে । সবকিছুর কাছে জিতে গেলেও আটকে গিয়েছি নিয়তির কাছে । যার হাত আমাদের কাছে থাকেনা, থাকে বিধির কাছে । সাফল্যতার কাছে মনে হয় আমি সেই বানর যাকে তৈলাক্ত কালগাছে উঠতে হবে । যতবার উঠতে যাই ততবার পড়ে যাই । এক হাত উঠি তো পাঁচ হাত নিচে চলে যাই । তখন ভরসার হাতগুলো থাকে পরিবার ও সামান্য সংখ্যক শুভাকাঙ্খী । যারা সময়,অর্থ,সাপোর্ট দিয়ে আমাকে সাফল্যমন্ডিত দেখতে চান ।
কিন্তু আমার নিয়তি আমাকে বিষিয়ে তুলেছে যার নিয়ন্ত্রক সৃষ্টিকর্তা আমি নই । আর এর উপর আমার হাতও নেই । সেই কবে দেশ ছেড়েছি । দেশ ছাড়ার একমাত্র কারন বেপোরোয়া জীবন । থাকলে এতদিনে হয়ত বাদ হয়ে যেতাম যদিও ভালো ছাত্র ছিলাম পড়াশুনায়। ভেবেছিলাম বৃটেনে পড়াশুনার শেষ করে এখানেই কাটিয়ে দিব বাকি জীবন । গ্রেজুয়েন শেষের সাথে সে স্বপ্ন তাসের ঘরে পরিনত হল । ভিসা শেষ হোম অফিস বলল দেশ ছাড়তে । পরিবারের ডিরেক্ট না কারন দেশে গেলে আবার সেই আমি হয়ে যাব । গেলাম না ।
পরিবারের অন্যসদস্যগুলো সেকেন্ড সিটিজেন হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন । চলে গেলাম রোমে । বিলেতের লাইফ স্টাইল স্যুট না করাতে রোম শহর ছেড়ে গেলাম অন্য সদস্যের কাছে প্যারিসে । তার উপর আমি ইতালী যাবার কিছুদিন পূর্বে সেখানকার ইমিগ্রেশন বাংলাদেশী কোঠা বন্ধ করে দেন । প্যারিসে জীবনমান বিলেতের মতন তাই স্বস্তি আসল । প্রথম কিছুদিন যাবার পর শুরু করি হোঁচট খাওয়া । যেইটাই করতে যাই শুধু নাই নাই । চারজন একসাথ হয়ে অভিবাসীর জন্য এপ্লাই করছি সবার হয়েছে রিজেক্ট শুধু আমি ।
এরপর গেলাম কাজের বিনিময়ে অভিবাসী কোঠায় । কাজ করে কিছু কিছু পে স্লিপ জমাই ২০১৬ সালে এসে বাসা পুঁড়ে সেগুলো দাঁত মাজার ছাঁই হয়ে যায় । প্রতিষ্ঠানের মালিক কে জানাতেই সে বললেন তার সোসাইটি বিক্রয় করে দিয়েছেন । হাতে ঠোলা কান্দে মালা । এরপর টাকা নিয়ে আসলাম একটি চুক্তিপত্র কেনার জন্য । জনৈক বাঙালী সাহেব টাকা নিয়েছেন তার প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্র দেওয়ার জন্য তবে তিনি তার প্রতিষ্ঠান থেকে না দিয়ে দিয়েছেন গাঁর দ্যু নর্ড থেকে । কট পরার পর তিনি টাকা ফেরত দিলেন ২০১৮ সালে । তখন কাজ করি ফরাসী প্রতিষ্ঠানে । মনে মনে ভাবলাম এবার মনে হয় কিছু একটা হবে । হোম অফিসের নিয়ম বেধে সব জমা দেওয়ার পর শুরু হয় এশিয়ান রাজনীতি । রাজনীতির মাত্রার ঠেলায় জব ছেড়ে দিতে বাধ্য হই ।
নতুন প্রতিষ্ঠান থেকে টাকার বিনিময়ে আবার কন্ট্রাক কিনে হোম অফিসে পাঠাই । রঁন্ধে ভ্যু সামনের মাসে । পাঁচ মাস অপেক্ষার পর অনেককে বলছেন যে আরও সময় লাগবে । আমি গেলে আবার যেন কোন সূত্র নিয়ে হাজির হয় । সবাই সবার জায়গা থেকে সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন । কিন্তু ভাগ্য আমাকেই পঙ্গু করে দিচ্ছেন । এর মাঝে মা বাবার সাথে দেখা হয় না লম্বা সময় । অর্ধাঙ্গিনীকে বলেছিলাম গত বছর সেপ্টেম্বরে দেখা হবে । গত বছর পার হয়ে এ বছর শেষের পথে । ডিসেম্বরের পর হয়ত তার সাথে আর দেখা হবে না কোনদিন যদি দেশে যেতে না পারি । বিধ্বস্ত আমি ।
হতাশায় ভেঙ্গে পড়া পুরুষ ঘুরে দাঁড়ানো আর পাহাড় কেটে ট্যানেল বানানো সমান কথা । সবাই পাপ করেন আমিও করি তবে এমন কেন পাপের অংশীদার আমি যে সব পিচ্ছিল হয়ে যায় । মানসিকভাবে অনেক কষ্ট পাচ্ছি । হয়ত যাহ আমি কোনদিন ফেস করি নি । এ সময়গুলো হয়ত কেটে যাবে আর বোঝার জায়গায় বুঝে ফেলেছি কি ভুলটাই না করেছি । নিজেকে গোছাতে আরও কত সময় লাগবে তা হয়ত জানি না , নির্মাধীন আমার এ গল্প কবে গর্বের অংশীদার হবে কবে,কবে ভালোর খাতায় উঠবে । সেদিন হয়ত গর্ব করে বলবো আমি আমার কাজ নিয়ে গর্বিত । নতুন কোন প্রজন্ম কে বলব ভুল করো না আর যদি করো বড় হও তখন বুঝবে_______________
প্যারিস ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪