অগণিত কোটিপতির শহরে ৭ লক্ষ শিশু রাস্তায় ঘুমায় সে শহরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা হবেনা তো কি হবে ?
একটি ফুল যেমন পরিশুদ্ধ, একটি শিশুও তেমন । নিজেকে বাঙাল পুরুষ বা বেটা দাবী করতে আজকাল লজ্জা নয় শুধু বিবেকেও বাঁধে । মনে হয় নিজেকে অন্যকোন জন্তু জানেয়ারের অন্তর্ভুক্ত করন করি তাও ভালো । অবাক লাগে ৯২.৮শতাংশ মুসলিম দেশে অবুঝ শিশু ধর্ষন ও হত্যা হয় আর সেখানে আমি জন্মেছি ।সামাজিক ও ধর্মীয় অবক্ষয় মানুষের বিবেক শক্তি কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমার মাথায় ধরে না । চোখে পানি ধরে রাখতে পারি নি কারন শিশু তো শিশুই । শিশুর শরীরে কামনা খুঁজে পায় এরা কোন পুরুষ ? পুরুষ সেই মানুষ যার প্রেমেতে রক্ত দোলে, যার প্রেমে অর্ধাঙ্গিনী ভরসা খুঁজে পায় । আর ছোট্ট খুকুটার কাছেই বাবা নাম মানেই সারা দুনিয়া । পুরুষত্ব মানেই নিজেকে ইভটেজার,বর্জিত রুচীওয়ালা,বিকৃতিকারী হতে হবে তা কিন্তু নয় ।
আপনি মানুন কিম্বা না মানুন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শিশু নয় শুধু বায়েজৈষ্ঠ মহিলারাও মোটামুটি পুরুষ চক্ষু এবং কথার মাধ্যমে নিগৃহীত হয় । টংয়ের দোকানের সামনে দিয়ে যদি মায়ের বয়সী কেউ হেঁটে যান ষাট বছররে কাকু থেকে ১৬ বছরের তরুন সবাই ড্যাব ড্যাব করে তাকায়ে থাকবেন পারলে কেউ দুয়েক বাজে শব্দ বলে নিজেকে হাইফাই পুরুষ দাবী করাতে চেষ্টা করবেন । একটি মেয়ে পরিবারের উপার্জন করতে ঘর থেকে বেরিয়ে ঘরে ফেরার আগ পর্যন্ত ধর্ষনই হতে থাকেন প্রতিনিয়ত । বসের কাজে চায় চাকুরী বস চায় শুইতে, সহপাঠীর কাছে চায় সাহায্য সে চায় শুইতে, কলিগকে ব্যক্তিগত সমস্যা বললে সেও এ সুযোগে দু চারটে সেক্স রিলেটেড কথা শুনায়ে দিবেন । সমাজিক মাধ্যমে যেই ছেলেটিকে বড় ভাই ডাকা হয় তিনিও মাশাল্লাহ দিন না যেতেই লুইচ্ছ্যা নদীর মাঝি হয়ে কপিলারে নিয়ে ময়নার দীপে যেতে চায় ।বাংলাদেশে পুরুষ নামক বস রা মেয়েদোর যোগ্যতার মাপকাঠি মাপেন শোয়ার উপর । শোয়ার থেকে বড়কোন যোগ্যতা নেই বাংলাদেশে ।
খেলাধূলা,বিনোদন,রাজনীতি,ধর্মীয়,প্রাশাসনিক প্রতেকটি জায়গায় বলা হচ্ছে মেয়েদের জন্য সমান অধিকার বা সুযোগ রাখা হচ্ছে বাস্তবতা আসলে অনেকটাই বান্দর আর কলা গাছের মতন । রাষ্ট্র যে পর্যন্ত ফেমিনিজম হবে না তার আগ পর্যন্ত কোনদিন নিরাপদ রাষ্ট্র হতে পারবে না মেয়ে ও সুদের জন্য । আর দক্ষিন এশিয়ার উদিয়মান স্যাকুলার ভারত সেখানেও মেয়েদের জন্য থ্রেট জোন আর বাংলাদেশের কথা নাই বলি । সব জায়গায় মেয়ে দেখলেই খাই খাই । আকারে আদা হইলেও সে এমন ভাব নিবে মনে হয় রকেট লইয়্যা ঘুরে । পৃথিবীর একমাত্র বিরল দেশ বাংলাদেশ যেখানে বোরকা পরার পরও মেয়েরা ধর্ষন হয়, শিকার হতে হয় ইভটিজিংয়ের
বললে সারাদিন লিখতে পরাবো প্রতিকার কি হবে তা বলতে পারবো না তবে গতকাল রাত থেকে ঘুমোতে পারি নি । যে দুটো শিশু ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে এ বয়সের আমার তিন চারটে মেয়ে আছে যাদের সাথে আমি স্বাচ্ছন্দ মনে খেলি, ওরা বায়না ধরে চকলেটের জন্য, পুতুলের জন্য । যখন কিনে দেই দৌড়ে এসে বুকে চলে আসে । যে মেয়েরা সারাজীবন দুনিয়া সাজায় বাবাদের নিয়ে অন্ত্যত নিজেদের পুরুষ দাবী করতে গিয়ে বাবার জায়গটা নোংরা করবেন না । সকালে দেখলাম এ জানেয়ার দুটো জীবিত পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে । এরা তো পশু, পশুতো মানুষের মাঝে থাকে না । আমার কাছে সুযোগ এলে এমন পশু হত্যা করার জন্য হত্যাকারী হতে দ্বিতীয়বার ভাবতাম না আর আপনার বিবেক কি বলে ?
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮