somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয় Delonix Regia

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চিরকুট
তারিখঃ ২১শে চৈত্র ১৪২৫ বঙ্গাব্দ
প্রিয় Delonix Regia
পত্রারম্ভে পহেলা বসন্তের কোন পড়ন্ত বিকেলে নির্জীব প্রান্তরে শুকনো ডালের ফোঁকরে ফুটে থাকা লাল টগবগে Delonix Regia ফুলের একরাশ দৃষ্টিনন্দন শুভেচ্ছা । কেমন আছো আমার প্রিয় Delonix regia? আমি ভাল আছি বা ভাল নেই তা জেনে নিও পত্রপড়ে। জানো আমি ছুটছি এক Delonix Regia এর পিছু পিছু।
বসন্তের নির্জীব পাতাঝরা দিনের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে, বসন্তও প্রায় বিদায়ের পথে। Red Delonix regia কেন জানি মনে হয় তোমার প্রেমের ফাঁদ পাতা আছে আমার শহরে। অতি নীরব রক্তস্নানে, তুমি ধুয়ে মুছে স্মৃতিগুলো আবার রক্তরাঙা করে দাও।যান্ত্রিকতার এই জীবনের ছক ভেঙে ইচ্ছে করে আবার কাগজের চিঠি পাঠায় তোমার ঠিকানায়। কিন্তু তোমার ঠিকানায় ডাকপিয়ন গেলে সব জানাজানি হয়ে যাবে, তাই তো ভয় হয়। তপ্ত দুপুরে তোমার গলার স্বর ভেসে আসলো আজ আমার সেল ফোনে, কি যেন বলতে চেয়েও বললেনা। ছোট ছোট এই অণুগল্পের নাম দেবো কি ভাবছি!
মাঝে মাঝে আমিও দ্বিধাচ্ছন্ন হয়ে পড়ি, তোমার অদ্ভুদ কান্ড-বান্ড দেখে। বিষন্নতায় বিষন্নিত আমার শহরে যতটা আলো আসে, তার চেয়ে অন্ধকারের দাপট। কেবলি তোমার অভিনয়ের নরম রোদে আকাঁ স্মৃতিগুলো দিয়ে আমি পকেট ভরি। বহু রাত্রির পর রাত্রি লিখেছি দুর্বোধ্য কবিতার চরণ, তোমাকে তর্জমা করে শোনাবো বলে। আমার ফেরারি মন জড়িয়েছিল তোমারই প্রেমে, আমি যে তোমারেই ভালবেসেছিলাম। অবেলার এ অবৈরী সমীরণে তোমার সালাম করেছি সাদরে গ্রহণ।
পৈচাসিক মস্তিষ্ক হতে নিঙড়ে নামা শত সহস্র কবিতার লাইন, কত কথা বলে কিছু তার মিথ্যে আর কিছু নিরেট সত্যি। কবিতাগুলো কি মনে করো মরিচীকা বিভ্রম, সেগুলোর কি কোন অর্থ নেই? ভেতরের রুদ্ধকক্ষে বাতাস গোঙিয়ে গোঙিয়ে ওঠে, রহস্য নিবারণ স্পষ্টতায় আমি বরাবরই ভুল প্রমাণিত। অনাবৃত মলিন বদনে দিগন্তের ধূসর আবছায়া, চোখে জ্বালা ধরায় অনুরাগের নীলবিষ।যেন অবিশ্রান্ত করুণা হয়ে গেছে ধূলিসাৎ, আথালি পাথালি চিন্তায় মাথা যেন ক্রমশ ভারী থেকে ভারী হচ্ছে।
গগণবিদারী চিৎকার দিতে ইচ্ছে করছে কিন্তু তাও দিতে পারছিনা এই নগরের মানুষগুলোর জন্য! ঘুমও ঘোরের আড়ালে নিস্তব্ধ ইচ্ছের ঘুম ভাঙবে কবে? কবে আবার হাসবো প্রাণ খুলে, কবে নেব একটু স্বস্তির নিশ্বাস! জানিনা, আমি কিচ্ছুই জানিনা। ভবিষ্যৎ চিন্তার নিগড়ে বাস্তবতায় আমি পরাজিত হতে চাইনা, আমি জিততে চাই।
ধূলোর আস্তরণে ডুবে ক্লান্ত আমিও ভীষণ ঘুমে নিমগ্ন হয়েছিলাম, এখন ঘুরে দাড়ানোর সময় এসেছে।ল্যাম্পপোস্টের মত আমিও আধাঁরে দাড়িয়ে প্রার্থনায়রত ছিলাম তোমার জন্য, তুমি রাখনি আমার প্রতি আস্থা।কিছু সর্পগন্ধী আবেশে তুমি নিজেকে বিলীন করেছো দিনে দিনে। সেই দিনগুলোর ইতিহাস যেন বিস্ফোরণের নদী হয়ে বয়ে যায় অন্তরে।
তোমার মনের কাছ দিয়ে বহমান আমার ছোট সবুজ নদীতে, ভীষণ বৈশাখী ঝড় ওঠো। সে ঝড়ে স্বপ্ন ভাঙার ভয়ে এখন আর চোখে আসেনা শতরাঙা স্বপ্ন।
তোমার বিরুদ্ধাচারণে ছাই হয়ে গেলে আমার ভালবাসা, আমি নামক বিরক্তির থেকে তোমার মুক্তি মিলে গেছে। অভিশাপ হয়েছে ঝাপসা চোখ, এখনো নাতিদীর্ঘ মনের ক্যাম্পাসে তোমার ছবি ভাসে। অসহায়ের মত আমি আজও তোমার অপেক্ষায়। এই জলরাঙা চশমায় লেগে আছে তোমার চোখের ছাপ। মনের এ আন্তঃনগর ট্রেনে কে আগে যাবে কে পরে তা স্টেশন মাষ্টারও ভালো জানেনা। তোমার এই আসা যাওয়ার মিছিল কোন একদিন থেমে যাবে, সেদিন আমাকে ভুলে যাবে এমন করে যেন কোনদিন তুমি আমাকে দেখনি।
আজ আর নয়। মগজের ঘাম গলে গলে নামা শব্দগুলো ক্রমশ ঝাপসা হচ্ছে, আঙুলগুলো অসাড় হয়ে আসছে আজকের মত ইতি টানছি। তোমার নিগূঢ় মনের অন্দরে আমার জন্য একটু প্রার্থনায় চোখে অশ্রু নামিও। বিদায়....
ইতি
তোমার অদ্ভত প্রেমিক।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৪৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×