অবাক হলেন? মঙ্গলেও মানুষ যাচ্ছে। হা কথা সত্যি।
২০২১ সালে মঙ্গলে নভোচারী প্রেরণ করার লক্ষে কাজ করছে নাসা। মঙ্গলে মানুষ প্রেরণ করতে রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইন্ডিয়া জাপান গবেষণা করে যাচ্ছে। কিন্তু অবস্থা প্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নেত্রিত্বেয় মানুষ জয় করবে মঙ্গল।
এই মঙ্গল কে ঘিরে মানুষের দীর্ঘদিনের কৌতূহল। অনেকের এ ধারণা মঙ্গলে হইত লুকাইত সভ্যতা আছে। অনেকের মতে মঙ্গলে সময় সভ্যতা ছিল কিন্তু কোন এক অজানা কারণে তা ধ্বংস হয়ে যায়। এই সব কথা বা গুজবের জন্যও আমাদের মাঝে মঙ্গল নিয়ে অনেক কৌতূহল আছে। তাছাড়া আদি অনন্ত কাল থেকেও গ্রহ হিশেবে মঙ্গল জ্যোতির্বিদ দের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বিভিন্ন কারণে।
সেই আগ্রহ থেকেই মানুষ মঙ্গল জয়ের সপ্ন দেখতে শুরু করে। সফল চন্দ্র অভিজার পরথেকে মঙ্গল জয়ের সপ্ন আরও দৃঢ় হয়। আর সেই সপ্ন বাস্তবায়নের অনেক কাছে চলে গেছে অ্যামেরিকান স্পেস গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা।
নাসা মঙ্গল অভিজানের জন্য একটি উপগ্রহ ডিজাইন করেছে যার নাম দিয়েছে ওরিয়ন। এই উপগ্রহে ৬জন নভোচারী থাকার বাবস্থা আছে। নাসার টার্গেট এই উপগ্রহের মাধ্যমেই তারা ২০২১ সালে মঙ্গল অভিজানে যাবে।
তাদের সেই অভিজানের প্রস্তুতি স্বরূপ শুক্রবার তারা পরিক্ষামুলক ভাবে ওরিয়নকে লো অরবিটে প্রেরণ করে এবং তা সফল ভাবে লো অরবিটে পৃথিবীকে ৪.১৫ ঘন্টা প্রদক্ষিণ করে। অতঃপর তা আবার সফল ভাবে পৃথিবীতে নেমে আসে। লো অরবিটে ওরিয়নের সফল পরিক্ষার পরে নাসা এখন আরও ডিপ স্পেসে ওরিয়নের পরিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সুতরাং আমরা আসা করতেই পারি ২০২১ সালে প্রথম কোন মানুষ মঙ্গলে যাবে।
বিদ্রঃ সভিয়েত ইউনিয়ন যখন অ্যামেরিকা কে পিছে ফেলে নিজেরা আগে চাঁদ জয় করলো তখন অ্যামেরিকারা ঘোষণা দিয়েছিল তারা সোভিয়েত ইউনিওনের আগে মঙ্গোল জয় করবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন না থাক তাদেরই প্রতিনিধি রাশিয়া আছে। অ্যামেরিকা থিকিই রাশিয়াকে পিছে ফেলে নিজেরা আগে মঙ্গোল জয়ের দ্বারপ্রান্তে। ইনশাহ আল্লাহ বাংলাদেশও একদন সবার আগে প্লুট জয় করবে।
সুত্রঃ পিএনএস