somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারের ব্যাপক সাফল্য, উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ

২২ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোট্ট্ একটি নমুনাঃ

চারদিকে যখন সরকারের সাফল্যের জয়জয়কার তখন জনশক্তি রপ্তানিতে ভাটা ও প্রবাসী আয় অনবরত কমতে থাকা সরকারের কোন জাতীয় সাফল্য সেটা হয়তো বের করা একটু মুশকিলই। তবে বলা যায় এতে দেশ ১% হলেও লাভবান হয়েছে যদিও বাকি ৯৯% ক্ষতি হয়েছে।দেশের মানুষ দেশেই থাকছে স্ত্রী সন্তান বাবা মায়ের কাটাকাছি থাকছে এটাও বা কম কিসে।একটি পরিসংখ্যানই বলে দিবে এই দুই খাতে আমাদের বর্তমান অবস্থা।

২০০৭ সালে যেখানে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছিল ৮ লাখ ৩২ হাজার ৬০৯ জন সেখানে ২০১৪ সালে প্রথম ৬ মাসে জনশক্তি রপ্তানি ২ লাখ ৭ হাজার ৯৫৭ জন। হয়তো বছর শেষে দাঁড়াতে পারে সেটা ৪ লাখ ১৫ হাজার জনে। অর্থাৎ জনশক্তি রপ্তানির হার অর্ধেকে নেমে এসেছে।

এছাড়াও স্বাধীনতার পর দেশে প্রথমবারের মতো দেশে রেমিটেন্স কমেছে। জনশক্তি রপ্তানির হার কমার পাশাপাশি প্রবাসী আয়ও অনেক কমে গেছে। ২০১২ সালের চেয়ে ২০১৩ সালে রেমিটেন্স কমেছে ৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা যা মোট রেমিটেন্সের ৭% এর সমান। ২০১৪ সালেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা যায়।

আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই এক এক করে বন্ধ হতে থাকে বিদেশে শ্রমের বাজার। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শ্রমবাজার সেীদি আরবে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায় বর্তমানেও বন্ধ রয়েছে। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সেীদিতে গড়ে দেড় লাখ জনশক্তি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ সেখানে গত সাড়ে ৫ বছরে মোট জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৭৭ হাজার।

বাংলাদেশের ২য় জনশক্তি রপ্তানি করা দেশ হল আরব আমিরাত । ১৯৭৬ সালের পর থেকে প্রতিবছরই সেদেশে জনশক্তি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ কিন্তু ২০১২ সালে আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেয়া বন্ধ করে দেয়। অনেক চেষ্টা করেও রপ্তানির দুয়ার খুলতে পারেনি এই সরকার। জানা যায় সরকারের অদূরদর্শিতায় ‌'ওয়াল্ড এক্সপো-২০২০' কে সামনে রেখে আরব আমিরাতের পরিবর্তে রাশিয়াকে সমর্থন করায় আমিরাত সরকার বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০০৯ সালে কুয়েতের শ্রমবাজার বাংলাদেশীদের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।২০১০ সালে শেখ হাসিনা কুয়েত সফর করে এখন পর্যন্ত কোন রাস্তা খুলতে পারেননি ।গত সাড়ে পাঁচ বছরে কুয়েতে জনশক্তি গেছে মাত্র ৭৭৬ জন।

এছাড়াও আরব অন্যান্য দেশগুলোতেও জনশক্তি রপ্তানির হার একবারেই হতাশা জনক।

বাংলাদেশের আরেকটি বড় শ্রমবাজার হল মালয়েশিয়া যেখানে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে চার লাখ কর্মী সেদেশে গেছে। কিন্তু ২০০৯ সালে মালয়েশিয়াও সেদেশে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে শ্রম বাজার খুলে দিয়ে মাসে দশ হাজার কর্মী নেয়ার কথা থাকলেও গত দেড় বছরে কর্মী গেছে মাত্র ৫ হাজার।

ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগ নতুন কোন শ্রমবাজার সৃষ্টি না করতে পারলেও হারিয়েছে দেশের বৃহৎ শ্রমবাজারগুলো আর নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টির নামে বিদেশ ভ্রমন করে লুটপাট করা হচ্ছে দেশের জমানো সম্পদ।

সরকারের একগেঁয়েমি, অদূরদর্শিতা ও অতিমাত্রায় ভারতপ্রীতি আমাদের জনশক্তি রপ্তানি খাতকে একবারে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে। আশাকরি সরকার নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে খুব দ্রুত বিদায় নিয়ে দেশের এই খাতগুলোকে রক্ষা করবে, দারিদ্রতার কষাঘাত থেকে মুক্তি দেবে দেশের কোটি কোটি মানুষকে।
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×