অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে সবাই তাক লাগিয়ে দিয়েছে তরুন ক্রিকেটার তাইজুল। নিশ্চয়ই দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে তার এই কীর্তি সাধন হয়েছে। ক্রিকেটাররা যত দ্রুত মানুষের কাছাকাছি যেতে পারে অন্য কোন পেশায় থেকে তত তাড়াতাড়ি যাওয়া যায়না। আমাদের ক্রিকেটাররা আমাদের দেশের সম্পদ। দেশের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব নিশ্চয়ই তাদের আছে। দেশের ক্লান্তিকালে তারা রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাইজুল যেদিন হ্যাটট্রিক করেছিল সেদিন দেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী মাঠে গিয়েছিলেন। দেশের বৈধ খেলোয়াড়রা কষ্ট করে খেলায় জিতেছে কিন্তু তাদের পুরষ্কার নিতে হয়েছে একজন অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে। তাইজুলের জন্য বেশী খারাপ লাগছে জীবনের প্রথম বড় পুরষ্কারটি নিতে হয়েছে একজন অবৈধ ব্যাক্তির হাত থেকে। অন্যদের জন্য খারাপ লাগেনা কারণ অবৈধ লোকের কাছ থেকে পুরষ্কার নিতে নিতে সেটা তাদের গা সওয়ার হয়ে গেছে। আমি আশা করেছিলাম তাইজুল পুরস্কার নেবার আগে চিৎকার করে বলবে, "আমি অবৈধ লোকের কাছ থেকে পুরষ্কার নিতে চাই না, যারা আমার ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, হাজার হাজার তরুনের শিক্ষাজীবনকে নষ্ট করে দিয়েছে তাদের পুরস্কারের অতিথী হিসাবে মানায় না তাদের মানায় জেলখানার কয়েদি হিসাবে।"
না তাইজুল পারেনি সে সাহসটুকু দেখাতে হয়তো ক্যারিয়ার চিন্তা তাকে সত্য কথা বলা থেকে বিরত রেখেছে। কিন্তু কোন ক্রিকেটার কি এমন নেই দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে অবৈধ সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিবে। এটা রাজনীতির কোন ব্যাপার নয়, এটা ক্যারিয়ারের মতো ক্ষুদ্র স্বার্থের বিসর্জন দিয়ে দেশের মানুষকে মুক্তি করতে দেশপ্রেমের মতো মহত্বের ব্যাপার । আশাবাদী আমি, দেশের ক্লান্তি লগ্নে জন্ম নিবে এমন দেশপ্রেমিকের আর অধিকার ফিরিয়ে দিবে আমাদের মতো কোটি কোটি তরুন বঞ্চিত ভোটারদের।
তবুও শুভকামনা রইলো তাইজুলদের প্রতি। এতো অনাচার কদাচারের মাঝে দেশের ভাবমূর্তি এখনো টিকিয়ে রেখেছে এই দামাল ছেলেরা।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাও, আমরা তোমাদের সাথেই আছি।