অফিস থেকে বাসায় আসার সময় সিএনজি দিয়ে আসছি। শিবগঞ্জ
মজুমদার পাড়ার সামনে আসার পর দেখি এক মোটরসাইকেল
ওয়ালা এক রিকশাচালককে বেদম পিটাচ্ছে। তা দেখে আমার মাথায়
রক্ত উঠে গেল। সিএনজি ড্রাইভারকে থামিয়ে আমি নামলাম।
নেমে রিকশাচালককে মাইরের হাত থেকে উদ্ধার করলাম। তারপর সেই
বীরপুরুষ (!)কে জিজ্ঞেস করলাম রিকশা চালককে এভাবে মারছেন কেন?
সে আমাকে বলল যে রিকশাটা নাকি তার
মোটরসাইকেলে লাগিয়ে দিয়েছে! আমি বললাম তাই
বলে এভাবে তাকে মারা উচিত হয় নাই। সে তো আর ইচ্ছা করে লাগায়
নি। সে বীরপুরুষ ভদ্রলোক অভদ্রের মত
আমাকে বলে রিকশা ওয়ালাকে মারা নাকি 100% রাইট!এইখানে আমি নাক গলানোর কে ? !
আমি ক্ষেপে গেলাম। বললাম মার আরেক বার। আমার
সামনে আরেকবার মেরে দেখ। শালা তুই রাইট রং আইন কপচাস.? তুই
নিজে তো মাথায় হেলমেট পড়িস নি। দাড়া শিবগঞ্জ পয়েন্ট
থেকে পুলিশ নিয়ে আসছি। আইন আজকে শিখিয়ে ছাড়বো। এই
গুলা বলার পরে স্থানীয় পাবলিক ও আমার পক্ষে সায় দিল। তখন
মোটরসাইকেল ওয়ালা দেখি তার বাইক স্টার্ট দিয়ে চম্পট!! হাহাহা!!
আসলে আমরা প্রায়ই দেখি কিছু কাপুরুষের বাচ্চারা রিকশা ওয়ালা,
সিএনজি ওয়ালাদের গায়ে হাত তোলে। এইগুলা আসলে ঠিক না। তাদের
কিছু কিছু আচরণ যা অনেক সময় আমাদের রাগান্বিত করে তুলে। যেমন
যেতে চায় না বা ভাড়া বেশী চাওয়া ইত্যাদি। এর জন্য আমিও
মাঝে মাঝে হালকা ধমক দেই। তাই বলে গায়ে হাত তোলা অন্যায়।
এটা ছোটলোকি !