সারাদেশে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরের প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক এখন জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন। তারা সরকারের ‘মান্থলি পে-অর্ডার’ বা এমপিও পেয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা বেতন-ভাতা তুলে নিচ্ছেন। কেবল চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ২৬৮ শিক্ষকের সনদ জাল বলে তদন্তকালে ধরা পড়েছে।
ভুয়া সনদধারী শিক্ষকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ
করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ডিআইএ। সূত্র-দৈনিক সমকাল
এই যদি হয় আমাদের শিক্ষক (!) সমাজ তবে ছাত্রছাত্রীদের অবস্থা কেমন হবে বলুনতো?
আবার আরেকটু গভীরে চিন্তা করি। বলুনতো এই শিক্ষকরা এই সনদ পেল কিভাবে? কারা দিচ্ছে এসব সনদ? প্রশাসন কি করেছে?
আপনি রাতদিন কঠোর পরিশ্রম করে, স্যারদের বকাঝকা খেয়ে একটা অনার্স পাশ সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে বাবা মায়ের সামনে গিয়ে শুনলেন আপনার অন্য এক বন্ধু অনার্সের অরিজিনাল সার্টিফিকেট কিনে চাকুরী করতেছে। অথচ যে কিনা এইচএসসি পাশ করেছিল তিনবার পরীক্ষা দিয়ে! তখন আপনার সার্টিফিকেট টাকে কি করতে মন চাইবে?
হায়রে! অভাগা দেশ! তোর ভাল আর কেউ চায় না। তোর সন্তানেরা শুধুই টাকা চিনতেছে মা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৪৪