somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট ছোট কথামালা (৩) রান সিফাত রান

০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৭।
জন্ম থেকেই চলছি , বিভিন্ন গাড়িতে লেখা থাকে । গরুর বাছুর তো জন্মের পরই লাফানো আর দৌড়ানো শুরু করে দেয়। কে জানে কচ্ছপেরা কয়েকশ বছর বাঁচে বলে তাদের কোন তাড়া নাই । কি ধীরস্থির ভাবে চলাফেরা করে ! মানুষ জন্মের পর চলতে পারেনা , লাফাতেও পারেনা । তাই পরবর্তী যে কয় বছর বাঁচে দৌড়ের উপরই থাকে । যে কয়েকবছর ঘুমায়া ঘুমায়া আঙ্গুল চুষে আর ফিডার চাবায় তার ঘাটতি পুষিয়ে ফেলে । কামে-আকামে , দরকারে-বে দরকারে সবসময় খালি দৌড় আর দৌড় । দৌড় আর দৌড় । এটা হলফ করে বলতে পারি আমরা আকাজেই বেশি দৌড়াই । ইস্কুট দৌড় , বিস্কুট দৌড় , ব্যাঙ্গাচি দৌড় , এক ঠ্যাঙ্গে দৌড় আরও কত দৌড় ! দৌড়াতে দৌড়াতে হাফিয়ে গেছি । এবার বোলতা দৌড়ের কাহিনী বলি ।

বোলতা দৌড়ঃ
আগে আমি নিশানা প্র্যাকটিস করতাম । বোলতার ঘর ছিল আমার নিশানা । বন্দুকের রেঞ্জের মধ্যে ওদের কলোনিটা না থাকাতে বাধ্য হয়ে আমাকে ফ্রি হ্যান্ড ইট মারিং প্র্যাকটিস করতে হত । আহ বোলতার ঘর ! ওদের জ্বালা-জ্বালা করতে কেন জানি ভালই লাগত ।

প্রথম দিকে খুব একটা ঝামেলা না করলেও পরে তারা তীব্র প্রতিরোধ করা শুরু করল । আর আমরাও চোরাগুপ্তা হামলা বাদ দিয়ে প্রবল বিক্রমে সরাসরি তীব্র আক্রমন চালানো শুরু করলাম । আক্রমন তারপর দৌড় , বোলতারাও আমাদের পিছন পিছন তেড়ে আসত । ঘটনা এমন দাড়ালো যে বোলতার বাসার আশেপাশে আমাদের কেউ গেলেই ওরা তেড়ে আসত । আমরাও যুদ্ধক্ষেত্র দৌড় দিয়েই পার হতাম ।


একবার হামলা করে দৌড় দিয়ে সেফ জোনে এসে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলাম । তারপর চিৎকার দিলাম আউ !! মনে হলেই ব্যাথা করে । এখনো ব্যাথা করতেছে । (বোলতার কামড় যারা খেয়েছে তারা জানে কেমন মজা । ) তারপর ঘাড়ে ঠান্ডা বরফ ঘষে ঠান্ডা মাথায় একটা ঠান্ডা ফান্টা খেয়ে শীতল রাসায়নিক যুদ্ধের পরিকল্পনা আঁটলাম । এখন কেমিক্যাল ট্যাংক নিয়ে আমাকে যুদ্ধক্ষেত্রে কয়েকবার দৌড়াতে হবে, সহজ কাজ ।

সব কিছুই প্রস্তুত । বন্ধুবান্ধব কাউকে ব্যাকআপ হিসেবে রাখিনি । ( আমি একাই একশ কিনা ! ) দৌড় তারপর বোলতার বাসার দিকে এরোসল থেকে কেমিক্যাল ছুড়ে দেওয়া আবার দৌড় সেফ জোনে চলে যাওয়া, খুব সহজ কাজ । অতিরিক্ত উত্তেজনা বশত আর দৌড়ানোর কারনে কখন যে কেমিক্যাল বের হওয়ার মুখটা বোলতার বাসা ছেড়ে আমার দিকেই চলে এসেছে আমি নিজেই জানি না ।

পাম্প করার পর বেশিরভাগ অংশই হাতে এসে লাগে বাকি অল্প কিছু চোখে । তারপর আর কি হবে । রান সিফাত রান, বোলতার ভয়ে আর চোখের জ্বালায়, রান রান রান।

রিলেটেড পোস্টঃ
১। ছোট ছোট কথামালা (১) বেইজ্জতি কান্ড
২। ছোট ছোট কথামালা (২) বেইজ্জতি ঘটনা
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×