somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

খালেদ সাইফুল্লা
কবে আসবে তুমি ভালোবাসা...আমারও পেতে ইচ্ছে করে তোমার স্পর্শ..ইচ্ছে হয় ভোরের শিশির হয়ে হারিয়ে যাই...মনের জমে থাকা কষ্টগুলো তোমায় বলতে ইচ্ছে হয়...ইচ্ছে হয় তোমার হাতটি ধরে অজানা কে পাড়ি দিতে,বলনা কবে আসবে??

প্রাণের মানুষ

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাহিদ আরেকবার আয়নার সামনে দাঁড়ায়। হলুদ-সাদা চেকশার্টের বুকপকেটের বোতামটি নেই। এটা আগে খেয়াল করেনি সে। বিশেষ দিনে পোশাক বিড়ম্বনা যেন বীজগণিতের সূত্রের মতো তার জীবনে সার্বজনীন সূত্রে পরিণত হয়েছে। অবশ্য জাহিদের প্রতিটা বিশেষ দিনের একটাই অর্থ- মা আর দুলাভাইয়ের সাথে মেয়ে দেখতে যাওয়া। ঠিক মেয়ে দেখতে নয়, নিজেকে দেখাতে যাওয়া।

নিরীহ গোছের ভদ্রলোক জাহিদ একটা স্কুলে শিক্ষকতা করে। মায়ের জেদের কারণেই টানাপোড়েনের সংসারে তৃতীয় মানুষের খোঁজ। এই তৃতীয় মানুষের খোঁজাখোজির মাধ্যমেই জাহিদ মুখোমুখি হয় স্বার্থের পৃথিবীর, যেখানে বুকের ভিতর ধারণ করা আকাশের কোন মূ্ল্য নেই, মূ্ল্য আছে আকাশটাকে মুঠোয় রাখা শক্ত হাতের। জাহিদের হাত শক্ত নয়। উচ্চশিক্ষা, বড়চাকরী, বাপের সম্পদ কোনটাই নেই ওর। তার উপর গায়ের রং কুচকুচে কালো। হয়তো এজন্যেই কালো বুকের সাদা হৃদয়ের খোঁজ কেউ করেনি।


জাহিদ জানে আজও সেরকমই হবে যেমনটা সবসময় হয়। লম্বা হাসি দিয়ে কনেপক্ষ অভ্যর্থনা করবে তাদের, এটা ওটা প্রশ্ন হবে। জাহিদের উত্তর শুনে সেই হাসিটা আস্তে আস্তে ছোট হয়ে একসময় পুরোপুরি বিলীন হয়ে থুতনী ঝুলে যাবে। তারপর কনের বড়ভাই, মামা বা চাচা ইনিয়ে বিনিয়ে, হাত কচলে, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে দাড়ি-কমা জুড়ে দিয়ে, মুছে দিয়ে যা বলবে, সেটা সোজা বাংলায় বলা যায়- কালা ফকিরচানকে নিয়ে তোমরা বিদায় হও।

আয়নার সামনে জাহিদের পাশে উদয় হলেন দুলাভাই। আলতো ভাবে জাহিদের কাঁধে হাত রেখে বলেন- ওরা ফোন করে জানিয়েছে, কী একটা সমস্যার জন্য আজ কনে দেখানোর প্রস্তুতি নিতে পারেনি।

হাসে জাহিদ। ভালোই হলো, এই না কথাটা ও বাড়িতে গিয়ে শুনতে হলোনা। সে তো প্রাণহীন কালো পাথর নয়, সে সজীব প্রাণের কালো মানুষ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাইনারি চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি: পূর্ণাঙ্গ তুলনার ধারণা এবং এর গুরুত্ব

লিখেছেন মি. বিকেল, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩০



সাধারণত নির্দিষ্ট কোন বস্তু যা শুধুমাত্র পৃথিবীতে একটি বিদ্যমান তার তুলনা কারো সাথে করা যায় না। সেটিকে তুলনা করে বলা যায় না যে, এটা খারাপ বা ভালো। তুলনা তখন আসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×