ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ২
পূর্বের দুটি পোষ্টের ধারাবাহিকতায়...
মুজিব নগর সরকারের সচিববৃন্দ
রুহুল কুদ্দুস - মুখ্য সচিব
হোসেন তৌফিক ইমাম - মন্ত্রী পরিষদ সচিব
নুরুল কাদের খান - সংস্থাপন সচিব
খন্দকার আসাদুজ্জামান - অর্থ সচিব
এম. এ. খালেক - স্বরাষ্ট্র সচিব
মাহাবুবুল আলম চাষী - পররাষ্ট্র সচিব
আবদুস সামাদ - প্রতিরক্ষা সচিব
ডঃ টি. হোসেন - স্বাস্থ্য সচিব
নুরুদ্দিন আহমেদ - কৃষি সচিব
আবদুল হান্নান চৌধুরী - আইন ও সংসদ বিষয়ক সচিব
জয় গোবিন্দ ভৌমিক - ত্রাণ সচিব
আনোয়ারুল হক খান - তথ্য সচিব
আঞ্চলিক প্রশাসন
দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চল - ১ : নুরুল ইসলাম চৌধুরী (প্রধান), সৈয়দ আব্দুস সামাদ (প্রশাসক)
দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চল - ২ : জহুর আহমেদ চৌধুরী (প্রধান), কাজী রকিব উদ্দিন (প্রশাসক)
পূর্বাঞ্চল : কর্নেল এম. এ. রব (প্রধান), ডঃ কে. এ. হাসান (প্রশাসক)
উত্তর পূর্ব অঞ্চল - ১ : দেওয়ান ফরিদ গাজী (প্রধান), এস. এইচ. চৌধুরী (প্রশাসক)
উত্তর পূর্ব অঞ্চল - ২ : শামসুর রহমান খান (প্রধান), লুতফর রহমান (প্রশাসক)
উত্তরাঞ্চল : মতিউর রহমান (প্রধান), ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ (প্রশাসক)
পশ্চিমাঞ্চল - ১ : মোহাম্মদ আবদুর রহিম (প্রধান), এ. কাশেম খান (প্রশাসক)
পশ্চিমাঞ্চল - ২ : আশরাফুল ইসলাম (প্রধান), জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া (প্রশাসক)
দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল - ১ : আবদুর রউফ চৌধুরী (প্রধান), শামসুল হক (প্রশাসক)
দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল - ২ : ফনিভূষণ মজুমদার (প্রধান), বি. বি. বিশ্বাস (প্রশাসক)
দক্ষিণাঞ্চল : আবদুর রব সেরনিয়াবাত (প্রধান), এ. মোমিন (প্রশাসক)
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি (পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সহযোগী)
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ছিল আধুনিক অস্ত্রে সুসজ্জিত। ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহার করতে না পারায় পাকিস্তানী তাদের সৈন্য এবং যুদ্ধ সরঞ্জাম বিমান পথে কলম্বো হয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসতো। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশে তাদের সহযোগীদের শান্তি বাহিনী, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস নামে সংগঠিত করেছিল। এই স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুরা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে গনহত্যা, ধর্ষণ এবং ধংসযজ্ঞের মত অমানবিক কার্যকলাপে সহায়তা করেছিল।
আধুনিক অস্ত্রে সুসজ্জিত ও সুপ্রশিক্ষিত পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও যুবকদের সমন্বয়ে গঠিত স্বল্প প্রশিক্ষিত মুক্তবাহিনীর সংগ্রাম সমগ্র পৃথিবীকে বিস্মিত করেছিল।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী:
সদর দপ্তর : ইষ্টার্ন কমান্ড
চীফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর : লে: জে: টিক্কা খান (মার্চ - আগষ্ট, ৭১), লে: জে: এ. এ. কে. নিয়াজী (আগষ্ট - ডিসেম্বর, ৭১)
সিভিলিয়ান অ্যাডভাইজার : মে: জে: রাও ফরমান আলী
চীফ অফ স্টাফ : ব্রি: বকর সিদ্দিকী
রিজিওনাল কমান্ডার : মে: জে: নাজির হোসাইন শাহ, মে: জে: এম. এইচ. আনসারী, মে: জে: রহিম খান
সমর শক্তি
ডিভিশান : ৫
ব্রিগেড : ১৩
আর্মড রেজিমেন্ট : ৩৯
আর্টিলারি ইউনিট : ১
পাকিস্তানী বেসামরিক প্রশাসন
গভর্ণর : লে: জে: টিক্কা খান (৬ই মার্চ - আগষ্ট, ৭১), ডঃ এ. এম. মালিক (সেপ্টেম্বর - ডিসেম্বর , ৭১)
চীফ সেক্রেটারী : সাইফুল আজম, কফিল উদ্দিন মাহমুদ
স্থানীয় সহচর:
যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দখলকৃত স্থানসমূহে মুসলিমলীগ, জামায়াত ইসলামী, পিডিপি, ডেমোক্রেটিক লীগের মত মৌলবাদী দল এবং তাদের ছাত্র সংগঠন সমূহ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অমানবিক এবং পৈশাচিক কার্যকলাপে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিল। পাশাপাশি তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষদের উপর অত্যাচার-নিপীড়ন, ধর্ষণ, হত্যা এবং সমগ্র দেশে লুটতরাজ চালায়। তারা স্বাধীনতাকামী নর-নারীদের পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিত এবং গনহত্যায় অংশ নিত।
শান্তিবাহিনী:
গঠনকাল: এপ্রিল, ১৯৭১
আহবায়ক: খাজা খায়রুদ্দিন
সংগঠক: গোলাম আযম, এ. কিউ. এম. শফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাসুদ
রাজাকার:
গঠনকাল: মে, ১৯৭১ (খুলনা)
অধ্যাদেশ: জুন, ১৯৭১
আহবায়ক: এ. কে. এম. ইউসুফ
পরিচালক: এ. এস. এম. জহুরুল হক
আলবদর ও আলশামস:
জামায়াত ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ দ্বারা গঠিত।
সমগ্র পাকিস্তান প্রধান, আল বদর : মতিউর রহমান নিজামী, বর্তমান আমির, জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ।
পূর্ব পাকিস্তান প্রধান, আল বদর : আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, বর্তমান সেক্রেটারী, জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে এখন পর্যন্ত ৭১ এর এইসব ঘাতক, দালাল, বেইমানদের তাদের কৃতকর্মের জন্য কোন বিচার হয়নি।
চলবে.....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


