আগের পোষ্টের ধারাবাহিকতায় ......
১লা মার্চ ১৯৭১ - পাকিস্তানের সামরিক সরকার নবনির্বাচিত সংসদের প্রথম অধিবেশন স্থগিত করে দেয়।
৭ই মার্চ ১৯৭১ - শেখ মুজিবর রহমান ঐতিহাসিক এক ভাষনে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন এবং বলেন "এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ।"
মার্চের মাঝামাঝিতে সমঝোতার নামে জেনারেল ইয়াহিয়া, পশ্চিম পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো এবং আর কয়েকজন ঢাকা আসে। আলোচনার নামে তারা কালক্ষেপন করে এবং তার মধ্যে সামরিক হামলা ও গনহত্যার পরিকল্পনা করে।
২৫শে মার্চের মধ্য রাত্রি থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী "অপারেশন সার্চলাইট" শুরু করে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্বল্প সময়ে সবচেয়ে ভয়ংকর গনহত্যা।
তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল ছাত্রাবাসসমুহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস এবং পুলিশ ব্যারাক। তাদের এই নৃশংস আক্রমনে ইঃপিঃআর এবং পুলিশ প্রাথমিকভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা চালায়।
স্বাধীনতার ঘোষনা -
২৫শে মার্চ কালরাতের পর ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে শেখ মুজিবর রহমান তার গ্রেপ্তারের পূর্বে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। ২৭ এবং ২৮শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাটে নবনির্মিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে রেডিওতে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দেন।
মুক্তিযুদ্ধ ২৫শে মার্চ - ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১
প্রাথমিক বাধা দেবার পর তথকালীন সুসজ্জিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে আমাদের সাধারন মানুষ পেরে উঠছিলোনা এবং অপরদিকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে আমাদের সাধারন মানুষ হত্যা করে যাচ্ছিল। যার ফলে আমাদের সাধারন জনগন প্রাণভয়ে নিজেদের সব ছেড়ে পার্শবর্তী ভারতে আশ্রয় নিতে থাকে।
১০ই এপ্রিল ১৯৭১ - ৭০ এর সাধারণ নির্বাচনের নির্বাচিত সদস্যগন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেন।
১৭ই এপ্রিল ১৯৭১ - কুষ্টিয়ার মেহেরপুরে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। এরপর থেকে শুরু হয় সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধ।
সশস্র মুক্তিযুদ্ধ এবং যাবতীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম এই সরকার দ্বারাই পরিচালিত হয়। একজন সেক্টর কমান্ডারের অধিনে একটি করে সারা দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। পরবর্তীতে ৩টি নিয়মিত সশস্র ব্রিগেড, নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনী গঠন করা হয়।
প্রশাসনিক গঠনতন্ত্র হয়েছিল আঞ্চলিক প্রশাসন এবং মন্ত্রনালয়ের সচিববৃন্দের নিয়ন্ত্রনে।
শেখ মুজিবর রহমান - রাষ্ট্রপতি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম - উপরাষ্ট্রপতি এবং ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি
তাজউদ্দিন আহমেদ - প্রধানমন্ত্রী
সৈয়দ মনসুর আলী - অর্থ, শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী
এ এইচ এম কামরুজ্জামান - সরাষ্ট্র, কৃষি, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী
খন্দকার মোশতাক আহমেদ - পররাষ্ট্র মন্ত্রী
[চলবে]