somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন আরো একবার সংগঠিত হই যুদ্ধাপরাধিদের বিরুদ্ধে

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিজয়ের মাসে অর্জন করেছি আরো একটি বিজয়। কিন্তু এ বিজয় কোন নির্দিষ্ঠ দলের নয়, নয় কোন গোষ্ঠির। এ বিজয় আমাদের সমগ্র জাতির, নতুন প্রজন্মের। এই নতুন প্রজন্ম দেশকে ভালবাসে, তাই তারা প্রত্যাখান করেছে স্বাধীনতাবিরোধি শক্তির পৃষ্টপোষক জোটকে। আমরা, নতুন প্রজন্ম, দেশকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন আমাদের বুকে। আমরা এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই অনেক দূরে, এই দেশকে পরিচিত করে দিতে চাই সমগ্র বিশ্বের কাছে, মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই বিশ্বের দরবারে।

কিন্তু স্বপ্ন যতই দেখিনা কেন, বার বার শুকুনীর কাল থাবা আমাদের থামিয়ে দেয়। ভেঙ্গে দেয় আমাদের স্বপ্ন। তখন মনে হয় কি হবে আর এই দেশের, যে দেশের মানুষ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে নিজেদের ভাগ্য বিধাতা করে সংসদে পাঠায়।

কিন্তু না, আমরা নতুন প্রজন্ম এভাবে হাল ছেড়ে দিতে পারিনা। আমরা হার মানার জাতি নই। আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারি। আর সেটা পেরেছি বলে আবারও ভোট দিয়ে এমন কাউকে সংসদে পাঠাতে চেয়েছি যারা সেই সকল অপশক্তিকে ধ্বংস করে আমাদেরকে ফিরিয়ে দেবে আমাদের সেই সোনার বাংলা, যে সোনার বাংলার স্বপ্ন আমরা প্রতিনিয়ত দেখি। আমরা তাদের শুধু সরকার গঠন করার অধিকার দেইনি, দিয়েছি সংবিধান পরিবর্তনের ক্ষমতা, যেন প্রতিবারের মত সংবিধানের দোহায় দিয়ে আর কোন শত্রু পালিয়ে যেতে না পারে, আর কোন অপশক্তি আমাদের বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে না পারে।

আমাদের এই মূহুর্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা আর কোন যুদ্ধাপরাধীকে আমাদের এই মায়ের বুকে দেখতে চাইনা। আমরা চাইনা আর সেই কান্না শুনতে যখন এই মায়ের শত্রুরা তার বুকের উপর দিয়ে হেঁটে যায়। বুক ফুলিয়ে বলে তারা কোন ভুল করেনি। আর শুনতে চাইনা সেই সব শহীদের আত্মার আর্তনার্ত।

আমরা ভুলিনি আমাদের মা-বোনের ইজ্জত হারানোর কথা, আমরা ভুলিনি আমাদের মায়ের বুক খালি হবার সেই সব দিনগুলি, আমরা ভুলিনি আমাদের বাবা, চাচা কিংবা ভাইয়ের রক্তমাখা সেই শার্ট। আমরা ভুলতে চাইওনা। আমরা চাই জাতি আজ চিনুক সেইসব খুনিদের। আমরা চাই জাতি আজ ঘৃণা করুক সেই সব ঘাতক-দালালদের। আমরা চাই শুরু হোক তাদের বিচার অনতিবিলম্বে। আসুন আরো একবার সংগঠিত হই সকল যুদ্ধাপরাধির বিরুদ্ধে, রুখে দেই তাদের কালো হাত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে ফেইসবুক গ্রুপ
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৯
১১টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×