আমি সচরাচর এসব নিয়ে লিখি না। ভালো লাগে না।কিন্তু আজকে লিখতে ইচ্ছা করছে।বর্ণনার শুরুতেই বলে রাখি এখানে হয়তবা কিছুটা নিজের গুনগান গেয়ে ফেলব।আআশা করি সবাই সেটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমি এবারের এইচ এস সি পরীক্ষার্থী।চট্টগ্রামের সেরা কলেজ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছি।এই কলেজে আসতে এস এস সি তে আমাকে ১১০০ তে ১০২০-১০৩০+ নাম্বার পেতে হয়সে।এমন আরো ৫০০ শিক্ষার্থী এমন নাম্বার পেয়ে এই কলেজে।এবং ৫-১০ নাম্বারের ব্যবধানে অন্য ভাল কলেজে আরো দেড় হাজার শিক্ষার্থী পড়ছে।লিখাটা তাদের হয়ে, আমার নিজের হয়ে লেখা।১১০০ তে ১০২০, গড়টা দেখুন।৯০+.. অথচ সেই শিক্ষার্থীগুলোকে আজ নাকানি চুবানি খেতে হচ্ছে "৮০" নম্বরের আশায়।সমস্যাটা কোথায়? সময় কম ইন্টারের?ছেলে বখে যাওয়া?প্রেম করা? আমার কলেজের উদাহরণ দিই।৫০০ এর মধ্যে ৪৭৫-৪৮০ জন পিওর ভদ্র ও পড়ালেখা করা ছেলে।এদের মধ্যে হলেও হাতে গুনা ৫০-৬০ জন প্রেম করল।বাকি ৪০০ জন ত সারাবছর পড়া নিয়েই ছিল।তাও প্রতিবছর ঐ চারশ জনের একশ বাদে বাকিরা কাঁদে কেন গোল্ডেন না পেয়ে? সময় কম,মানলাম।১৮ মাসে ২ বছর।এরপরের দিকগুলা যাচাই করি আসেন।এখনো ৭ টা পরীক্ষা গেছে মাত্র,৬ টা বাকি।৭ টার এভুলেশনই দিই।
১.বাংলা। ২ পত্র মিলাই এ প্লাস টানা কষ্ট।প্রথম সারির কলেজের স্টুডেন্ট বলে এ প্লাসের হিসাবটা করছি।তাহলে বাকি সবার কি অবস্থা চিন্তা করুন।
২. ইংরেজী।আচ্ছা,ছোটোবেলায় শিয়ালের আঙুর না খেতে পারার ঘটনাটা জানেন না? ইংরেজীতে রি এরেঞ্জে দিল এমন একটা সিচুয়েশন, যে শিয়াল মুরগি না পেয়ে জঙ্গল এ ঢুকল,নাকি, মুরগি খুঁজতে।আমার ব্যর্থতা আমি আসল গল্পে মুরগি ছিল জানতামই না।হাততালি!! যারা মনে করসে সেকেন্ড পেপার দিয়ে এ প্লাস টানবে সেকেন্ড পেপার দেয়ার পর তারা ফারস্ট পেপারে এক্সট্রা কিছু মারেক খুজতাসিল সেকেন্ড পেপার কভারের জন্য।তো বুঝতাসেনই বেপার!
৩.আইসিটি।মাশাল্লাহ।তিন বছর ধরে প্রোগ্রামিং এর সাথে আছি।এটুকু বলতে পারি প্রশ্ন কনফিউজিং ছিল।
৪.এবার সেই ঐতিহাসিক বায়োলজি।আমার কলেজের মানুষের নাকের পানি চোখের পানি দেখি নাই এমন মানুষ কম।কোথা থেকে কি প্রশ্ন আসছে কেউ খুজেও পায় না সহজে।
এতটুকু দিয়ে আপাতত প্রশ্নের এভুলেশন শেষ করলাম।পরবর্তী লিখায় কিছু জিনিস স্পষ্টভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব।দোয়া করবেন সবাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭