জাতীয় রাজাকার দিবস পালিতঃ
আজ জাতীয় রাজাকার দিবস,যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় রাজাকার দিবস।সকাল ৭:৩০ মিনিটে সকল রাজাকার কে একসাথে জুতাপিটা করে দিবসটি উযযাপন করেন জৈনক মুক্তিযুদ্ধা।
এসময় কারাগারের আশেপাশে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ছেড়াজুতা হাতে অবস্থান করতে দেখা যায়।তখন তুই রাজাকার তুই রাজাকার স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো কারাগার এলাকা।জানাযায়,রাজাকারের সংখ্যা কম এবং তাদের শারীরীক অবস্থার কথা বিবেচনা করে রাজাকারদের সাধারন মানুষের হাতে তুলে দেয়া হয়নি।রাজাকারদের জুতাপেটা করতে না পারায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিশিষ্ট রাজাকার গোলাম আজম বলেনঃ”এই দেশে সুবিচার নেই,নব্বই বছর পর হলেও আমি জুতার বদলা গাম্বুট দিয়ে নিব।
এই সময় দেল্লা রাজাকার কিছু বলতে চাইলে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে তার সেলে পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে জাতীয় রাজাকার দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবন থেকে এক অমঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।এসময় প্রায় সবার হাতে রাজাকারদের ফাঁসি ও জুতাপেটা করার কার্টুন এবং পেস্টুন দেখাযায়।অন্য দিকে বিকেলে শাহবাগ গণজাগরন মঞ্চে “ডিমের খোসায় রাজাকার বন্দী”নামক নাটক মঞ্চস্থ করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
জাতীয় রাজাকার দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্বারক লিপি জমাদেয় “রাজাকারকে জুতামার” নামক একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তা গ্রহন করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজাকার হটাও দেশ বাঁচাও সচিব।
এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত গন রাজাকারদের জুতাপেটা করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন বলে জানা যায়।তবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।রাষ্ট্রদূতদেরকে জুতাপেটা করার সুযোগ দেয়া হলে,সে সব দেশের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা।
এছাড়া সারা দেশে সাধারন মানুষ মিছিল,মিটিং ও নানা ধরনের রাজাকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে দিনটি উযযাপন করেন।তবে জাতীয় রাজকার দিবস উপলক্ষে কোন রাজনৈতিক দলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।