রিকশা সি.এন.জি, ট্যাক্সিক্যাব ব্যবহার কালে কিছুটা সাবধানতাঃ
রিকশা, সি.এন.জি বা ক্যাব দিয়ে চলার সময় চালক যদি কোনো কারণে চলার বাহনটি রাস্তার পাশে অপ্রয়োজনীয় ভাবে রাখতে চায় বা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য দাড়াতে চায়, অথবা যাত্রী নামানোর জন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গা বেছে নেয়, তা হলে কোনো মতেই চালককে রিকশা, সি.এন.জি., বা ক্যাবটি থামাতে দিবেন না। রমযান মাস শুরুর সাথে সাথে ই বেশ কিছু অপরাধী চক্র এই সব রিকশা ও সি.এন.জি. চালকদের সাথে যোগসাজশ করে যাত্রীদের শুধু সর্বস্ব ই লুটেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, যাওয়ার সময় যাত্রী যেন কমপক্ষে এক সপ্তাহ হাসপাতালে অবস্থান করতে পারে, তাও নিশ্চিত করতে মরিচের গুড়া, মলম, চেতনা-নাশক সরবত বেশ দক্ষহাতে ব্যবহার করে যাচ্ছে !!!
প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়াটা যেহেতু তাদের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার, তাই এই ক্ষেত্রে মোটেও মানবিকতার পরিচয় দেখাতে যাবেন না। কারণ আপনার এই মানবিকতার মূল্য নিজের মোবাইল ফোন, টাকা পয়সা, গহনা ও ক্ষেত্র বিশেষে এ জীবনের মূল্য দিয়ে শোধ করতে হতে পারে। চালক কিছুটা নির্জন স্থানে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার মনোবাসনা জ্ঞাপন করলে, সেই মূহূর্তে ই তাকে প্রতিহত করুন। যাত্রার শুরু পূর্বেই চালককে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে নিতে বলুন।
সি.এন.জি. বা ক্যাচ চালক যদি যাত্রাপথে মোবাইলে কথা বলতে থাকে, তা হলে সেই মুহূর্তে ই তাকে সেই কাজের থেকে বিরত করুন। চালক মোবাইলে কথা বলা থেকে বিরত না হলে সেই মুহূর্তে সি.এন.জি বা ক্যাব থেকে নেমে পড়ুন।
যাত্রাকালে কোনো পুলিশের গাড়ি ব্যতীত যেকোনো প্রাইভেট কার, মাইক্রো-বাস বা জিপ আপনার সি.এন.জি. বা ক্যাব থামিয়ে চালকের কাছে লাইসেন্স দেখার আগ্রহ প্রকাশ করে, নিজ উদ্যোগে জীবন বাজি রেখে চিল্লা-ফাল্লা শুরু করুন। উনারা যদি আসলেই পুলিশ হয় ( যা হওয়ার সম্ভাবনা ১%) তা হলে ও তো আর ক্ষতি নেই, আর যদি লুণ্ঠন-পার্টি হয়, তা হলে হয়তো চিল্লাচিল্লিতে তারা কিছুটা হলেও বিচলিত হবে।
সবশেষে একটা ই কথা, নিজে নিরাপদ থাকুন, আপনার আশে পাশের সবাইকে নিরাপদে থাকতে সাহায্য করুণ।
সবাইকে ধন্যবাদ !!!
বি.দ্র. উপরের লিখাটি সম্পূর্ণরূপে নিজের এবং আশেপাশের বন্ধুদের অভিজ্ঞতার আলোকে লিখা। তাই একদম ই হেলায় উড়িয়ে না দিয়ে একটু হলেও সচেতনতার ও গুরুত্ব-সহকারে ব্যপারগুলা নেয়ার চেষ্টা করন !!!