
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে,
সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ
সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে।
সংসারবিরাগী প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের জীবন প্রদীপ নিভে গেছে আজ ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৪।
১৯৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থানের সময় তার লেখা " এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়" লেখাটা ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও পরবর্তী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিপ্লবের নিশানা পেয়েছিল তরুণ যোদ্ধারা। স্বৈরাচার এরশাদ কিংবা হাসিনা বিরোধী মিছিলে ছিল তার লেখা তরণ্যের স্রোতে। এমন একজন বিপ্লবী কবির দেহ পড়েছিল নিঃসঙ্গ এক ছোট্ট প্রকাষ্ঠে ।
এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
মিছিলের সব হাত
কন্ঠ
পা এক নয় ।
সেখানে সংসারী থাকে, সংসার বিরাগী থাকে,
কেউ আসে রাজপথে সাজাতে সংসার ।
কেউ আসে জ্বালিয়ে বা জ্বালাতে সংসার
শাশ্বত শান্তির যারা তারাও যুদ্ধে আসে
অবশ্য আসতে হয় মাঝে মধ্যে
অস্তিত্বের প্রগাঢ় আহ্বানে,
প্রেমের কবি লিখলেন...
ইচ্ছে ছিল রাজা হবো
তোমাকে সাম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো,
আজ দেখি রাজ্য আছে
রাজা আছে
ইচ্ছে আছে,
শুধু তুমি অন্য ঘরে।
তাই তিনি রয়ে গেলেন একাকিত্ব কে সঙ্গী করে হোটেলের এক কক্ষে লোক চক্ষুর আড়ালে নিজের মত করে নীরবে। যার লেখা পড়ে মানুষ দুঃখ ভুলতে চেয়েছে, প্রেমে পড়তে চেয়েছে সেই মানুষটার কষ্টগুলো কেউ নিলো না।
ঘরের কষ্ট পরেরর কষ্ট পাখি এবং পাতার কষ্ট
দাড়ির কষ্ট
চোখের বুকের নখের কষ্ট,
একটি মানুষ খুব নীরবে নষ্ট হবার কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট।
নিঃসঙ্গ এই মানুষটির কলম আর চলবে না তবে তাঁর লেখা বেঁচে থাকবে বাংলার তারণ্যের ভালোবাসায় বিদ্রোহে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


