প্রচন্ড রোদে পার্কের বেঞ্চিতে বসে হিমু দপ দপ করে ঘামছে। প্রচন্ড গরমের সাথে মেজাজ খারাপের একটা সমানুপাতিক সম্পর্ক আছে তবে এই মুহুর্তে হিমুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লেবুর শরবতওয়ালাকে খুব আনন্দিত দেখা যাচ্ছে। রহস্যটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না, জিজ্ঞেস করতে হবে। হিমু শরবতওয়ালার দিকে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,
-মামা এত খুশি ক্যান?
-বাইজান গরম পইড়া গেছে শরবতের বিক্রি বাট্টাও বাইড়া গেছে তো তাই! আইজ নতুন এক আইটেম উঠাইছি গুড়ের শরবত একটা টেরাই কইরা দেখুইন।
-ঠিক আছে দাও।
-বাইজান লগে একটা লেবু আর হাল্কা বিট মাইরা দিই? মারাত্নক টেষ্ট পাইবেন!
-আমি তো এক্সট্রা টাকা দিতে পারব না আমার কাছে শুধুমাত্র পাঁচ টাকাই আছে।
-বাইজান যে কি কইন না!
মারাত্নক টেষ্টওয়ালা শরবত খেতে খেতে হিমুর মনে পড়ে গেল গুলশানের একটা নামকরা জুশবারে একবার এ্যাপেল জ়ুশ খেতে গিয়ে ওয়েটারকে বলেছিল জ়ুশের ভিতর একপিস লেবু চিপড়ে দিতে। ওয়েটার ম্যানু খুলে ৩০০ টাকার লেমন জ়ুশের দিকে আংগুল তুলে বলেছিল, স্যার ইউ ওয়ানা ট্রাই দিস ওয়ান!