somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"একজন হুমায়ুন আহমেদ ও আমার একান্ত কিছু নিজস্ব ভাবনা "/প্রিয় লেখকের জন্মদিনে এক "শুভ্রর"কিছু কথা

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাড়ি যাবার তাগাদা, তারপরও পারিনি প্রিয় লেখকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ভালো কিছু লিখতে, মাত্র রাত(১।০০-৫।০০) ৪ ঘন্টায় টায় কি তার সম্পর্কে সব লেখা সম্ভব । ভুলভ্রান্তিগুলো নিজ গুনে ক্ষমা করবেন সবাই
লেখাটি ই বুকে প্রকাশিত লিঙ্ক স্বপ্নলোকের কারিগর


হুমায়ুন আহমেদ ,যার লেখনির কথা ভাবলেই মধ্যবিত্ত সমাজের একটা সাধারণ
প্রতিচ্ছবি আমাদের সামনে ভেসে উঠে। যেখানে এক ঝাকে চলে আসে কত গুলো
পরিচিত চেহারা । এরা যেন আমাদের নিত্য দিনের জীবনের ই কোন এক কোণায়
বসবাসরত একেকজন বাস্তব চরিত্র ,হুম আসলেই তো তাই ।কারণ তার লেখা পড়লেই
আমরা যেন আমাদের সামনে বাস্তব চিত্র টাই দেখতে পাই ।


তার বই পড়া শুরু করার কথা বলতে গেলে অনেকটাই নাটকীয় ,সেই ষষ্ঠ শ্রেনীতে
নিন্ম মাধ্যমিক বই কিনার সময় খালামণির কিনে দেয়া “হিমুর দ্বিতীয়
প্রহর” এরপর থেকেই শুরু তার একের পর এক বই পড়া । এই বইটা পড়ার পর মনে
হয়েছিল যেন আমার আগ্রহ যেন শেষ হয়নি আরেকটু রয়ে গেছে ।কারণ এরপর হিমু
কি করলো রুপার ই বা কি হল এই হিমুর শেষ গতি কোথায় ।তার এই অজানা চলার
পথের কি আসলেই কোন শেষ আছে নাকি বোহেমিয়ান এর মত সে সারাজীবন চলতেই
থাকবে। এখানেই হুমায়ুন আহমেদ এর লেখার আসল আকর্ষণ ।“শেষ হয়েও হইলো না
শেষ”এরকম একটা আকাঙ্খা ও দুঃখ বোধ থাকলেও পাঠক কিন্তু এই শেষ না হওয়া তা
তেই যেন বেশি তৃপ্তি পায় ।



সেই প্রথম লেখা “নন্দিত নরকে” দিয়ে শুরু । এটা পড়ে শেষ করার পর কতক্ষন
স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম । ব্যাপার টা এরকম ছিল যেন আমি মোহাগ্রস্ত হয়ে
চারদিক দেখছিলাম। যেন ঘটনা টা আমার চারপাশে কোথায় ঘটলো ।মধ্যবিত্তের
চাওয়া পাওয়া তাদের আকুলতা ব্যাকুলতা স্বভাবতই তার লেখাকে নিয়ে গিয়েছে
অন্য একমাত্রায় । এরপর এলো “শঙ্খনীল কারাগার” একই ……… এই দুই বই যেন
আমার ভিতর থেকে কিছু ভাবার মত সত্তা টাকে বের করে নিয়ে আসলো । এই দুই বই
পড়েছে অথচ তার অন্তরে লেখার প্রতিটি অক্ষর অক্ষরে প্রতিটা শব্দে বাক্য
কে নিয়ে আমি বার বার করে পড়েছি । তবে আমি তো আর সেই গবেষক নেই যে এর
তাৎপয বের করাও আমার পক্ষে সম্ভব নয় ।তবে আমার
অসম্ভব প্রিয় একটা লাইন “"জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা
আমায় ডাকে..একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিসঙ্গ্তায় ডুবেছি”
জানি না কেন
বা কো মুহূর্তে এই লাইন টা আমার পড়া হয়েছিল তবে অনেক জায়গাতই আমি আমার
এই প্রিয় লাইন টা না দেখলে আসলে শান্তি পাই না। যেমন নিজের ব্লগ । সেই
সাথে পড়ন্ত বেলার চিন্তা ভাবনায় ।


শুভ্র ,আমার মনে হয় আমার নিজের জীবনে শুভ্রর মত অনেকটা ছায়া হিসেবে
পেতে চায় ।এখানে অনেকেই হয়ত অবাক হবেন যে , কেনো এতো জন থাকতে শুভ্র
কেন । সবাই চায় হিমু হবে। এমন কি হুমায়ুন আহমেদ নিজেও প্রায় ই বলেন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই নাকি দিন দিন হিমুগামীদের সংখ্যা বাড়ছে । তবে আমি
কেন এই দিকে। আমার ব্যক্তিগত ধারনা হল বাস্তব কে নিয়ে । যদিও হিমুর
ব্যপার টাও আবার কাল্পনিক নয় ।সবটাই তার একান্ত “হিমুতালীয় ” ব্যাপার
স্যাপার ।তবুও আমি কেন যেন নিজেকে শুভ্র ভেবে ভেবে মজা পাই ।দারুচিনি
দ্বীপের শুভ্রর মত কারো হাত ধরে হাটতেই পছন্দ আমার হিমুর মত রুপাকে এতো
কষ্ট দেবার দলে আমি নেই । অন্যদিকে আমরা দেখি এক পুতুল রাজপুত্রের মত
শান্ত শুভ্র কে ।যে সবজান্তা েক সন্তান বাবা মায়ের কাছে আর বন্ধুর কাছে
তথাকথিত আতেল!! ।
তবে সে নিজের শিখা ও মেনে নেয়া নীতিতে অটল ।যার ফলে
বাবার ব্যবসার অন্ধকার দিক গুলো জেনে সে অনেক অবাক হয়। সবদিক থেকে ধনীর
আদরের দুলাল হিসেবে তকে উপস্থিত করা হলেও ,তর স্পষ্টবাদীতা আমাকে তার
চারিত্রিক দিক গুলো আকর্ষণ করে।


মিসির আলি দ্যা মিস্ট্রি সলভার , তার চিন্তা ধারার গতিপথ টা কেমন যেন
অদ্ভুত । সব ব্যাপারে তার চিন্তা ধারার গতিপথ টা যাকে সাসপেন্স বা
অনুমান করা হয় বলে মনে করা হয় ।তবে যুক্তি তর্কের বহুদুর গিয়ে । নিজেও
মাঝে মাঝে অবাক হই হুমায়ুন আহমেদ এর এই কাল্পনিক সৃষ্ট চরিত্র টি নিয়ে
। তবে “দেবী” তার ব্যর্থতা আমি মেনে নিতে পারি নি ।


কাল্পনিক গল্প সল্প নিয়ে ভাবলে আমার প্রথম পছন্দ “তারা তিন জন ”মাকড়সা
নামক প্রাণীটার প্রতি আমার আজও ভীতি থাকলেও ,এই গল্পের ওয়ি তিন প্রানীর
প্রতি একরকম মায়াই জন্মে গিয়েছিল । যেন আজও শুনি সেই নিওলিথিক সভ্যতার
সেই পাগল করা সুর । এখানেও আবেগ এর কোন ঘাটতি নেই ।

সেই সাথে আরো কিছুর কথা না বললেই নয় “পারুল ও তিনটি কুকুর ”এর পারুল এর
প্রতীক্ষা , “নী”তে শিক্ষকের আদর্শ আমার ছোটো বেলার সরলমনে দাগ কাটার
মত একেকটা উপন্যাস
ছিল ।

আমার এই প্রিয় লেখক আজ অসুস্থ,দেশের বাইরে চিকিৎসায় রত ,জানি না এই
লেখা তার চোখে পড়বে কিনা , তবে পড়লেও জানতে পারতেন যে হিমু নয় একজন
শুভ্র তার শুভকামনা করছে । আমার প্রিয় লেখক সুস্থ হয়ে উঠুক এই আমার
একান্ত কামনা ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৭
৩০টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×