দূতাবাস থেকে চিঠি এলো
তোমাকে ফেরত পেতে মুচলেকা দিতে হবে।
আমি উত্তর দেইনি !
ওরা মৃত্যুর পরও তোমাকে ছাড়বে না অরুণ !
ভেবেছি বহুবার সন্ধ্যের বাস ধরে এই বুঝি এলে
শহরে দাঙ্গা থেমে গেছে ঠিক'ই কিন্তু
মানুষের মনের ভেতর রয়ে গেছে ঘৃণার বাজপাখি।
যেনবা উড়ন্ত বল্লমের ন্যায় বুকে এসে বিঁধে অযাচার
এয়ারপোর্ট থেকে যুদ্ধ বিমানগুলো প্রতিনিয়ত মহড়া দেয়
আমার ভয় করে ভীষণ রকম
প্রতিবার ঘুমোতে যাবার আগে ভেবেছি এই বুঝি
পায়রাগুলো ফিরে এলো শান্তির দূত হয়ে
ভোরগুলো ব্যস্ততা ফিরে পাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে
শান্তির কথা বলে যারা মসনদে চেপে বসে
তাদের চোখগুলো ঠিক মাকড়াসার জালে তাক করা থাকে
শিশিরের গ্রন্থাগার থেকে ফোঁটাফোঁটা দুঃখলিপি
আমরা এখনও চুম্বন করি
শহরে টহলরত পুলিশ সদস্যরা এখন সার্চের নামে
পকেটে গুঁজে দেয় মৃত্যুর সনদ
দূতাবাস থেকে ফের চিঠি আসে;
ওরা তোমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে বলে
বিদেশে এখন নাকি তোমার কদর নেই
তোমার গবেষণাপত্র ওঁইপোকা খেয়ে নিয়েছে
আমি মুচলেকা দিতে অস্বীকার করি
আমি ত জানি তুমি ঠিকঠাক বুঝে নেবে আমায়
এখন সংবিধান বদল হয় হামেশাই
পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে নেতারা মানুষের কথা বলে
কারও এলাকায় বিদ্যুৎ নেই ,
কারও রাস্তা পাকাকরণ
আবার কার ক'টা ব্রিজ লাগবে
এইসব নিয়ে বিস্তর আলাপ হয়
কিন্তু ওদের কেউই তোমার কথা বলে না
আমি ভাবি তবে কি তুমি মানুষ নও!
১৪/০১/২০১৬, খিলক্ষেত।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৩