বিশ্ব এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। পরির্ব্তন আসছে সকল ক্ষেত্রে । তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশও। বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে আসছে পরির্ব্তন। ২০১০ সালে প্রণীত শিক্ষানীতির আলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা । প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে ৮ম শ্রেণি পযন্ত । মাধ্যমিক স্তর হচ্ছে ৯ম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত । সুতরাং ঢেলে সাজাতে হবে এই দুই স্তরের শিক্ষকদের পদবিন্যাসও । তাই আজ আমি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নতুন পদবিন্যাস এর প্রস্তাব দেশবাসির সামনে তুলে ধরতে চাই। যেহেতু নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি থাকবে , সেহেতু শিক্ষকদের পদ বিন্যাসও সেইভাবে নির্ধারিত হতে হবে। “সহকারি শিক্ষক” এর নাম পরিবতন করে “সহকারি প্রভাষক” হিসাবে নতুন নাম দিতে হবে। এটি হবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের এনট্রি লেভেল পদ। বিদ্যালয়ের মোট পদ সংখ্যার এক পঞ্চমাংশ হবে “সহকারি প্রভাষক” এর পদ। “সহকারি প্রভাষক” হিসাবে চাকুরীর পাঁচ বছর পূর্ণ্ হলে ‘প্রভাষক’ হিসাবে পদোন্নতি পাবে । বিদ্যালয়ের মোট পদ সংখ্যার এক পঞ্চমাংশ হবে ‘ প্রভাষক’ এর পদ। ‘প্রভাষক’ হিসাবে চাকুরীর আট বছর পূর্ণ্ হলে সহকারি অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি পাবে। বিদ্যালয়ের মোট পদ সংখ্যার এক পঞ্চমাংশ হবে ‘সহকারি অধ্যাপক’ এর পদ। ‘সহকারি অধ্যাপক’ হিসাবে চাকুরীর চার বছর পূর্ণ্ হলে ’সহযোগি অধ্যাপক’ হিসাবে পদোন্নতি পাবে। বিদ্যালয়ের মোট পদ সংখ্যার এক পঞ্চমাংশ হবে ‘সহযোগি অধ্যাপক’ এর পদ। ‘সহযোগি অধ্যাপক’ হিসাবে চাকুরীর চার বছর পূর্ণ্ হলে ‘ অধ্যাপক’ হিসাবে পদোন্নতি পাবে। বিদ্যালয়ের মোট পদ সংখ্যার এক পঞ্চমাংশ হবে ‘ অধ্যাপক’ এর পদ। যেহেতু মাধ্যমিক স্তর হবে দ্বাদশ পর্য্ন্ত সেহেতু কলেজের আদলেই পদন্যিাস করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশের সকল ইন্টারমিডিয়েট কলেজের (যেখানে শুধূ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্য্ন্ত পড়ানো হয়) এবং আলিম স্তরের শিক্ষকদের এন্ট্রি লেভেলের পদ হলো প্রভাষক । এবং এইসব কলেজে পদোন্নতি পেয়ে সহকারি অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক , অধ্যাপক হন। আর এইসব বিদ্যালয়ের প্রধানের পদ হবে অধ্যক্ষ এবং সহপ্রধানের পদ হবে উপাধ্যক্ষ। বতমানের কলেজের অধ্যাক্ষ ও উপাধ্যক্ষের মত মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্যে থেকে অধ্যাক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ করতে হবে। এই দাবি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে শিক্ষকদেরকে । সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখতে হবে নতুন শিক্ষকদের। যারা এখনো তিনটি টাইম স্কেল পান নি।নিজেদের অধিকার আদায়ে নিজেরা এগিয়ে না আসলে অন্য কেউ এগিযে আসবেনা। ব্যাচ ৯৯ থেকে সবশেষ নিয়োগ প্রপ্ত শিক্ষকভাইদের এই আন্দোলনে আমাদের সহযোগীতা করার আহবান জানাচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৯