অভিমানীনি,
একদিন হঠাৎ করেই খবর পাবে, আমি নেই। তখনো কি পৃথিবীটা শুন্য মনে হবে না? লুকিয়ে রাখা চিরকুট গুলো খোজে দেখবে? নাকি এক ফুটা অশ্রু ঝড়বে? হোক সেটা আনন্দাশ্রু। নাকি দিগন্তপানে একবার তাকিয়ে পরক্ষনেই ভুলে যাবে
আচ্ছা, ধরো, যদি এমন হয়, আরেহ ধরেই নাও, কোন বেওয়ারিশ লাশের পাশে আমার লাশটার ছবি দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়, তবে? ধুর ছাই!! আমার নামটা তো ভুলেই গেছো, চেহাড়া কি আর মনে থাকে? কি যে সব ভাবী আমি! পারিও বটে?
আচ্ছা, একটি ছেলে হয়েছিলো তোমার, সেই শেষবার যখন দেখা হয়েছিলো, তখন দেখেছিলাম। ওকেও কি তোমার মতো বানিয়েছো, স্বপ্ন ভাংগার সুনিপুণ কারিগর?? তোমার যা শিক্ষা সে কি ভুলার মতো!!
ভালোকথা, বলতে চেয়ে আর পারিনি, তোমার হাসব্যান্ড কে দেখলাম, লম্বা শ্বাসে সিগারেট খায়, এখনো কি গন্ধটা বিশ্রী লাগে?? নাকি মানুষ আমি বেশি গন্ধ ছিলাম?
কে যেনো বলছিলো, তুমি আমার বৌয়ের খোজ চেয়েছো, কি পাগল তুমি!! এসব কি কেউ আর খোজ নেয়? উত্তর টা দিয়ে দিচ্ছি- আমার স্ত্রী ও তিন সন্তান বাইশ বছর আগে পরলোকগমন করেছে, ঐ যে যেদিন মনের সাথে স্বপ্নগুলোকে ভেংগেছিলে ঠিক সেইদিন!
অবাক হচ্ছো!! তুমি সংসার করছো স্বামী-সন্তান নিয়ে, আর আমি অনেকগুলো আশ্বাস নিয়ে, আর হাজার কতক প্রশ্ন নিয়ে। উত্তরগুলো দিয়ে যেয়ো, সময় করে এসো একদিন, চা খাওয়াবো, শফিক চাচার লেবু চা!!
আচ্ছা বলোতো, স্বপ্নগুলো ঠিক কি দরে বিকিয়ে দিয়েছিলে জানতে যে খুব ইচ্ছে হয়। আরোও জানতে ইচ্ছে হয়, ভালো আছো তো??
ওহ!! আমি! সে খুব ভালো আছি!! একবুক অভিমান নিয়ে।।
ইতি
কোন একজন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


