যে চক্তি দেশের জন্য ক্ষতিকর সে চুক্তি কোন যুক্তিতে করা হয়?
এখন অনেকেই বলবে,সরকার জেনে বুঝেই সবকিছু করছে।কোন চুক্তি দেশের জন্যে কল্যানকর আর কোনটি ক্ষতিকর সরকার সেটি ভালো করেই জানে।সরকারকে জ্ঞান দিতে হবেনা।
সরকারের সব চুক্তিই সঠিক হবে এমন না।কিছু কিছু চুক্তি আত্নঘাতি,দেশের স্বার্থবিরোধী।যা অতীতে প্রমাণিত হয়েছে।যেমন ফুলবাড়ির কয়লা উত্তোলন চুক্তিঃ Click This Link সমুদ্রবক্ষের গ্যাসব্লক চুক্তিঃ http://ncbd.org/?p=1030। কুইক রেন্টাল, বিদ্যুৎকেন্দ্রঃbdnews.com
http://bangla.bdnews.com/news/10306। বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ - রুপপুর প্রকল্পঃ বিরোধীতার কারণঃ # পারমাণবিক বর্জ কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে । অথচ দেশের প্রান-প্রকৃতি-পরিবেশের কথা ভেবে এ বিষয়টি সবার আগে সুরাহা হওয়া দরকার। কেন্দ্র থেকে বর্জ্য হিসেবে নির্গত স্ট্রনসিয়াম ৯০ ও সিজিয়াম ১৩৭ মারাত্মক তেজস্ক্রিয় এবং এগুলোর যথাযথ নিষ্কাশন না করা হলে তা দেশের সর্বনাশ ডেকে আনবে। # ফারাক্কা বাঁধের কারনে ইতিমধ্যেই শুকিয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শীতলীকরণের জন্য পর্যাপ্ত পানির প্রাপ্যতা ও পদ্মা নদী থেকে পানি প্রত্যাহারের প্রভাব। # বাংলাদেশের মতো একটি ইতিমধ্যেই বৈদেশিক ঋণ এবং তার সাথে যুক্ত শর্তের জালে আবদ্ধ দেশের জন্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপুল আর্থিক দায়। # বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপুর্ন ও প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকা একটি দেশে আমদানি করে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার ঝুঁকি। - See more at: Click This Link সুন্দরবনের পাশে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পঃ রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র, এর উপযোগিতা, ভয়াবহতা এবং নির্মম বাস্তবতা - নীল_সুপ্ত এর বাংলা ব্লগ । bangla blog | সামহোয়্যার ইন ব্লগ - বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ
http://www.somewhereinblog.net/blog/neel_supto/29870609।
শেষ কথাঃ
আমরা সব সময় একটি বিষয় লক্ষ করি, যে কোন বড় চুক্তি হলে তা করা হয় গোপনে , জনগণকে রাখা হয় অন্ধকারে। সংসদে এই নিয়ে আলোচনা হয় না। লোক দেখানো পরিবেশ সমীক্ষা করে। ভালোভাবে গণ শুনানি হয় না। কিন্তু সবাইতো সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকে না, কেউ কেউ নিজের প্রয়োজনে, নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে এসব গণবিরোধি চুক্তি মানুষকে জানানোর ব্যবস্থা করে। আরেকটি বিষয় জাতীয় কমিটি বার বার বলে যে, আমাদের দেশীয় কোম্পানি বাপেক্সকে শক্তিশালী করা হোক, কিন্তু কে শুনে কার কথা দিনে দিনে বাপেক্সকে আরও পরনির্ভরশীলতা করে তোলা হচ্ছে। দেখা গেছে বহুজাতিক কোম্পানি থেকে বাপেক্সের দক্ষতা মূলত বেশিই ছিল । এখানে একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, বিদেশী কোম্পানি টাল্লোর হয়ে বাঙ্গোরায় ওয়ার্ক ওভার কূপটি খনন করতে পেট্রোবাংলা সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বাপেক্স নেয় ৭ কোটি টাকা এই কাজে তাদের খরচ হয় ৫৩ লাখ টাকা। বাপেক্সের লাভ হয়েছে ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। কিন্তু এই লাভ কোন লাভই না। কারণ টাল্লো তার কস্ট রিকভারিতে এই টাকাটা পেট্রোবাংলার কাছ থেকে তুলে নিয়েছে। কিন্তু যদি আমাদের হাতে থাকতো সবকিছু এই বিপুল মুনাফা বহুজাতীকের হাতে যেত না।
উপরে উল্লিখিত চুক্তিগুলো যে দেশ বিরোধী, দেশের জনগনের স্বার্থে না তা বুঝতে কি খুব শিক্ষিত হওয়া লাগে? মাস্টার্স পিএইচডি লাগে? না এসব কিছু লাগে না , যে বুঝতে পারে যে তার গাছের আম সে নিজে পাড়তে পারে না (তাকে পাড়তে দেয় না) বলে অন্য একজনকে নিয়ে এসেছে পেড়ে দিতে, পাড়ার পর সে নিয়ে গেলো ৯৪ টা কিংবা ৮০ টা কিংবা ৮৫ টা আর বাকি গুলো গাছের মালিক বলে সে নেবে। এই হিসাব বুঝলেই যথেষ্ট।
আমরা এমন সকল চুক্তির বিরোধীতা করে যাবো। সরকারের কিংবা ভাড়াটে বিজ্ঞানী - সুশীল বুদ্ধিজীবীদের কথায় কান না দিয়ে।
কারণ সবাই স্রোতে গা ভাসায় না। অল্প কয়জন থাকে যারা স্রোতের বিপরীতে দাঁড়ায় বুক টান করে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩২