আমরা আমাদের আশেপাশের জীবনের সাথে এত বেশি অভ্যাস্ত যে মাঝে মাঝে ভুলে যায় এই বিশ্বজগতটা কত বড়। নিজেদের তৈরী করা ব্যাস্ততার কারণে আমরা ভাবার সময় পায়না আল্লাহর বানানো এই দুনিয়ার ব্যাপারে। কোটি কোটি তারা, সেসব তারাকে ঘিরে কোটি কোটি গ্রহ উপগ্রহ ঘুরপাক খাচ্ছে। অথচ আমরা আমাদের পৃথিবী ও তার আশেপাশের কয়েকটি গ্রহ ছাড়া অন্যসব জগতের ব্যাপারে কিছুই জানি না। কি আছে সেসব জায়গায়? কে আছে সেসব জায়গায়? এই পৃথিবীর বাইরেও কি আছে আল্লাহর সৃষ্ট জীবন্ত বুদ্ধিসম্পন্ন জীব? আসুন দেখি কুরআনে এ বিষয়ে কিছু পাওয়া যায় কিনা।
সূরা হা-মিম এর ২৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন : আর তার নিদর্শনগুলোর মধ্যে হচ্ছে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি আর এর দুইয়ের মধ্যে জীবজন্তুর যেসব তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন সেগুলি আর যখন তিনি চান তখনই জমায়েত করেন তিনি পরম খমতাবান।
এখানে মহাকশমন্ডলীর ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্হানে জীবিত প্রাণীর ছাড়িয়ে দেবার কথা বলা হয়েছে। আমারা ধারণা করতে পারি যে এই পৃথিবী ছাড়াও অন্য স্হান আছে যেখনে আল্লাহ তার সৃষ্ট জীব পাঠিয়েছেন।
সূরা তালাকের ১২ নম্বার আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন: আল্লাহই তিনি যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান, আর পৃথিবীর বেলায়ও তাদের অনুরূপ।
এখানে সাত আসমান বলতে আকাশের ৭ স্তরকে বুঝানো হয়েছে। একই আয়াতে ৭টা পৃথিবীর কথাও বলা হয়েছে। আর পৃথিবী মানে তো কেবল ফাকা গ্রহ হতে পারে না। এই পৃথিবীর মত সেসব জায়গাতেও জীবনের অস্তিত্ব থাকবে।
কুরানের বিশ্লেষন করার সামান্যতম শক্তি আমার নাই। তাই এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারলাম না। আমার এই পোস্ট কোন কিছু প্রমাণ করার উদ্দেশ্য নয়। আমাদের মাঝে যেসব ব্লগার কুরানকে নিয়ে সময় ব্যায় করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন তাদের মতামত পেলে ভাল হত।
ভয় লাগছে উল্টাপাল্টা কিছু বলে ফেললাম নাকি একারনে। কিন্তু মনের মাঝে এই বিষয়টা অনেকদিন থেকে ঘুরপাক খাচ্ছে। আল্লাহ আমাদের মাফ করুন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




