যুদ্ধ না করেই এই দেশের সবচেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা মুতা মামুনকে ট্রাইবুনালে জেরার এক অংশে প্রশ্ন করা হয়
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আপনি অধিকাংশ সময় ধানমন্ডিতে ছিলেন।
উত্তর : হ্যাঁ।
প্রশ্ন : ওই সময় ধানমন্ডি এলাকায় নিহত একজনের নাম বলেন।
উত্তর :স্মরণ নেই।
প্রশ্ন : ওই এলাকায় রেপের শিকার একজনের নাম বলেন।
উত্তর : স্মরণ নেই।
প্রশ্ন : অগ্নিসংযোগ হয়েছে এ রকম একটি বাড়ির নাম বলেন।
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : ওই সময় ধানমন্ডি এলাকায় নিহত একজনের নাম বলেন।
উত্তর :স্মরণ নেই।
প্রশ্ন : ওই এলাকায় রেপের শিকার একজনের নাম বলেন।
উত্তর : স্মরণ নেই।
প্রশ্ন : অগ্নিসংযোগ হয়েছে এ রকম একটি বাড়ির নাম বলেন।
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : ধানমন্ডি কি থানা ছিল?
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : ধানমন্ডি শান্তি কমিটির সভাপতি কে ছিল?
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : আপনি যে এলাকায় ছিলেন সে এলাকার রাজাকার ক্যাম্প বাসা থেকে কত দূর ছিল?
উত্তর : স্মরণ নেই।
প্রশ্ন : ধানমন্ডি এলাকার রাজাকার কমান্ডারের নাম জানা আছে?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : ওই এলাকায় আলবদর অফিস কোথায় ছিল?
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : ওই এলাকার আলবদর কমান্ডারের নাম বলতে পারবেন?
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন : ধানমন্ডিতে কি তখন শুধু বাঙালিরা ছিল, না অবাঙালিরাও ছিল?
উত্তর : বলতে পারব না।
এখন দেখা যাক মুনতাসির মামুনের লেখা বইগুলোর টাইটেল--
ঢাকার প্রথম
ঢাকার স্মৃতি- ১
ঢাকার স্মৃতি- ২
ঢাকার স্মৃতি- ৩
ঢাকার স্মৃতি- ৪
ঢাকার স্মৃতি- ৫
ঢাকার স্মৃতি- ৬
ঢাকার স্মৃতি- ৭
ঢাকার স্মৃতি- ৮
ঢাকার স্মৃতি- ৯
ঢাকার স্মৃতি- ১০
ঢাকার স্মৃতি- ১১
আরো আছে.....
একাত্তরের বিজয় গাথা
দুঃসময়ের দিনগুলি
মুক্তিযুদ্ধ কোষ ৫ খণ্ড
মেজর জেনারেল ও ফেরি
মিছিলে ’কেন’ ছিলাম?
রাজাকারের মন (১ম খণ্ড)
রাজাকারের মন (২য় খণ্ড)
বঙ্গবন্ধু, বাঙালী, বাংলাদেশ
ইতিহাসের আলোয় শেখ মুজিবুর রহমান
ঢাকার জন্মাষ্টমী উৎসবের ইতিহাস
সূত্র: এখানে
মিজানুল ইসলামের জেরার চোটে যখন নাকানি চুবানি খাওয়া শুরু করেন মুতা মামুন তখন নিজের সুশীল ভং ধরে সটকে পড়ার পায়তারা করেন। মামলার সাক্ষ্য দিতে এসে তার অভিযোগ যে কেন তাকে এত প্রশ্ন করা হচ্ছে। উনি ভেবেছিলেন আর দশটা সুশীল সেমিনারের মত এখানেও দুই তিন পৃষ্ঠা রূপকথা শুনিয়ে টিভির পর্দায় নিজের নুরানী চেহারাটা দেখাবেন। কিন্তু যখন দেখলেন একটার পর একটা মিথ্যা আর বানোয়াট গল্পের চাদর তার গা থেকে মিজনুল ইসলাম খুলে নিচ্ছে তখন মানুষের সামনে নেংটা হবার ভয়ে বললেন
"দীর্ঘ এবং বিস্তারিত জেরা বিষয়ে গতকাল সাক্ষী মুনতাসির মামুন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বেশ উষ্মা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি এখানে চুরি ডাকাতির সাক্ষ্য দিতে আসিনি। আমি একটি ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে এসেছি। এটা নিম্ন আদালত নয় যে এভাবে প্রশ্ন করা হবে। আমার ধারণা ছিল এটা অন্য রকম হবে। তিনি বলেন, এভাবে চললে আমাকে মাফ করবেন। এভাবে হলে আমার পক্ষে সাক্ষ্য দেয়া সম্ভব হবে না। পরে কোর্ট তাকে আশ্বস্ত করলে তিনি শান্ত হন।"
সবকিছু দেখেও আমরা না দেখার ভান করি। মুনতাসির মামুন হচ্ছেন সেই ধরনের মানুষ যদের লেখা পড়ে বা কথা শুনে তরুন প্রজন্মের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অবস্হা বুঝার চেষ্টা করে। তাদের লেখা পড়েই তরুন প্রজন্ম ডিসাইড করে কাকে মুক্তিযোদ্ধা ডাকতে হবে আর কাকে রাজাকার। আর তাদের মত সো কলড বুদ্ধিজিবি যদি ইতিহাসের নামে আমাদেরকে রূপকথা শোনায় তাহলে হা হুতাশ করা ছাড়া আর কিছু করার থাকেনা। মন্ত্রী আবুল হোসেনের উপর আজ সবার খুব রাগ কারন সে টাকা মেরে খাওয়ায় আমরা পদ্মা সেতু পেলাম না। কিন্তু রাগের কি আছে? পদ্মা সেতু আজ হয়নি হয়ত একসময় হবে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে সমাজের তরুনদের মাঝে মিথ্যা ইতিহাস ও বিষাক্ত চিন্তাভাবনা স্বপ্রনেদিতভাবে ঢুকিয়ে মুনতাসির মামুনের মত লোকেরা যে ক্ষতি করেছে সেই ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নেব আমরা?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




